সঙ্গরোধে রোদকেও সাথে রাখুন
নিজ বাসায় সবার থেকে আলাদা থাকার মাধ্যমেই নিজেকে ও পরিবারের সবাইকে নিরাপদে রাখা সম্ভব হবে করোনাভাইরাসের হাত থেকে। কিন্তু নিজ বাসায় ও ঘরে দিনের পর দিন কাটানোর ফলে দূরে থাকা হবে রোদের আলোর কাছ থেকেও। অথচ সুস্থতার জন্য রোদের আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাভাবিকভাবেই নিজের ঘরে লম্বা সময়ের জন্য থাকা হলে রোদের সংস্পর্শে যাওয়া হবে খুব কম। দীর্ঘদিনের জন্য এই নিয়ম বজায় থাকলে শরীরে দেখা দিবে ভিটামিন-ডি’র ঘাটতি। আমরা যখন রোদের আলোতে থাকি, তখন প্রাকৃতিকভাবে শরীরে ভিটামিন-ডি উৎপাদন তৈরি নয়।
এ কারণে ভিটামিন-ডি কে অনেক সময় ‘সানশাইন ভিটামিন’ হিসেবেও আক্ষ্যায়িত করা হয়। এই ভিটামিন-ডি শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণের ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। যা হাড়ের জন্য আবশ্যিক এক পুষ্টি উপাদান।
রোদের আলো কেন প্রয়োজন?
এখানে বলতেই পারেন, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার থেকেই তো পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়, আলাদাভাবে রোদের আলোর আর প্রয়োজন আছে কি? উত্তর হল, খাদ্য উপাদান থেকে ভিটামিন-ডি পাওয়া গেলেও তা আমাদের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত নয়। এর সাথে রোদের পরিমিত আলোও প্রয়োজন। মূলত এ কারণেই ইদানিংকালের সময়ে ভিটামিন-ডি’র অভাবজনিত সমস্যা বেড়ে গেছে অনেক বেশি।
এদিকে বেশ কিছু গবেষণার ফল থেকে দেখা গেছে শুধু হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য নয়, সার্বিকভাবে সুস্বাস্থ্যের জন্য রোদের আলো ও ভিটামিন-ডি জরুরি। বেশ বড় দুইটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ভিটামিন-ডি’র অভাবের সাথে হৃদরোগ ও ক্যানসারের সম্ভাবনা জড়িত থাকে।
এছাড়া খাদ্য উপাদান থেকে প্রাপ্ত ভিটামন-ডি’র চাইতে রোদের আলো থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন-ডি’র উপকারিতা বেশ কিছু দিক থেকে বেশি কার্যকর।
সঙ্গরোধে কীভাবে রোদের সংস্পর্শে থাকা যাবে?
সঙ্গরোধে থাকাকালীন সময়ে রোদের কাছাকাছি থাকতে চাইলে সকালের নরম রোদটাকে বেছে নিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে জানালার কাছে ও বারান্দায় সময় কাটানোর জন্য, যেখানে রোদের আলো সহজেই পাওয়া সম্ভব।
অনেকের বাসাতেই রোদের আলো এসে পৌঁছায় না। সেক্ষেত্রে একদিন পরপর বাসার ছাদে গিয়ে আধা ঘন্টা সময় কাটানোর চেষ্টা করতে হবে। তবে ছাদে যাওয়ার জন্য যেহেতু বাসার বাইরে বের হতে হবে, সেক্ষেত্রে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লভস পরতে হবে এবং বাসায় ফিরে দ্রুত জামা পরিবর্তন করে গোসল করে নিতে হবে।