কেন খাবেন ক্যাপসিকাম?
বাজারে অন্যতম সহজলভ্য একটি সবজি হল ক্যাপসিকাম। ছোট থেকে বড় সুপার শপ, সবখানেই দেখা মিলবে প্রাকৃতিক এই উপাদানটির। আমেরিকায় সর্বপ্রথম ক্যাপসিকাম উৎপন্ন হলেও খুব দ্রুতই পুরো বিশ্বে বিস্তার পায় তার পরিচিতি ও চাহিদা।
সাধারণত ভিনদেশীয় খাবার তৈরিতে ক্যাপসিকাম ব্যবহারের চল থাকলেও, দেশীয় খাবারের সাথেও মানিয়ে যায়। সাধারণত বাসায় নতুন কোন রেসিপি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ক্যাপসিকাম। তবে উপকারী এই সবজিটি শুধু খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতেই নয়, উপকার পেতেও খেতে হবে।
মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে
ক্যাপসিকাম গ্রহণে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা হ্রাস পায়, যা মেটাবলিজমকে বাড়াতে কাজ করে। মেটাবলিজম বৃদ্ধির পাওয়ার ফলে ক্যালোরি বার্ন হয় বেশি, যা কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে করে ওজন বৃদ্ধি ও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।
ব্যথা নিরাময় করে
বলা হচ্ছে, ক্যাপসিকামে উপস্থিত ক্যাপসাইসিন ব্যথাভাবকে ত্বক থেকে স্পাইনাল কর্ড পর্যন্ত পৌঁছাতে বাধা দান করে। এতে করে প্রবল ব্যথাভাব কমে যায়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার পরবর্তী সময়ে খাদ্যাভ্যাসে ক্যাপসিকাম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার সাথে ইনফেকশন ভালো করতে কাজ করে। এছাড়া এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড সমূহ শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ইনফেকশনের মত শ্বাসযন্ত্রের রোগ দ্রুত ভালো করতে ভূমিকা রাখে।
পেটের সমস্যা দূর করে
ক্যাপসিকামে উপস্থিত ট্যানিন গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল ডিসঅর্ডার অর্থাৎ ডায়রিয়া, আমাশয় ও অন্যান্য পেটের সমস্যা কমায়। ক্যাপসিকামের ট্যানিন থেকে উৎপন্ন মিউকেলেজ গ্যাস্ট্রিক লাইনিংকে সুরক্ষিত রাখে এবং পেপ্টিক আলসার হতে বাধা দান করে।
সুস্থ রাখে হৃদযন্ত্র
প্রাকৃতিক এই খাদ্য উপাদানে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড হৃদরোগ প্রতিরোধ রাখে। ফল ও সবজির মিশেলের উপকারী এই খাবারটি হাইপোটেনশন ও হার্ট রেটকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সঙ্গে রক্ত প্রবাহকে নিয়মিত রাখে।