লোফাহ ব্যবহারে এই ভুলটি আপনিও করছেন না তো!
গোসলের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হল লোফাহ। নরম, স্পঞ্জি, হ্যান্ড স্ক্রাবারটি গোসলের সময় এক্সফলিয়েট করতে তথা শরীরের ময়লা দূর করতে ব্যবহার করা হয়।
পানির বালতি, টয়লেট সিট, বাসান, শ্যাম্পু যেহেতু পরিবারের সবার সাথেই শেয়ার করে ব্যবহার করা হচ্ছে, অনেকেই ভেবে থাকেন এক লোফাহ সকলে মিলে ব্যবহারে কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু এটা খুবই ভুল একটি কাজ।
কারণ পরিবারের মানুষের সাথে যতই ঘনিষ্ঠটা থাকুক না কেন, নিজের ব্যবহৃত লোফাহ কোনভাবেই অন্যের সাথে শেয়ার করা যাবে না। নর্থওয়েল হেলথ-গোহেলথ আর্জেন্ট কেয়ার প্রতিষ্ঠানের এমডি ডেবরা ব্রুকস জানান, বিজ্ঞানের তথ্য জানাচ্ছে, লোফাহ শেয়ারের মাধ্যমে ব্যবহারে চিন্তাতীত ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ লোফাহতে সহজেই ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার হয়।
ডেবরা ব্যাখ্যা করে বলেন, একেকজন মানুষের শরীর একেক ধরনের, তাদের শরীরে থাকা রোগের ধরণ ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাতেও রয়েছে পার্থক্য। লোফাহ যেহেতু মানুষের শরীরে সরাসরি সংস্পর্শে আসে, এতে সহজেই একজনের শরীরের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। যা অন্যের জন্য হতে পারে বড় ধরনের ঝুঁকির কারণ। বিশেষত ডায়াবেটিসের রোগীদের স্বাভাবিকভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে এবং সহজেই ইনফেকশনের সমস্যাটি দেখা দেয়।
ডেবরা আরও বলেন, যেহেতু লোফাহ মাইক্রোস্কোপিকভাবে ত্বকের উপরের অংশের স্তর ও মরা চামড়া তুলে ফেলে, এটা জীবাণু শরীরে প্রবেশের একটি দ্বারও খুলে দেয়।
এছাড়া লোফাহর অবস্থান হয় ওয়াশরুমে, আর্দ্র ও ভেজা জলবায়ুর মাঝে। এমন পরিবেশ যেকোন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জন্ম ও বিস্তারের জন্য উপযোগী। এছাড়া লোফাহর ক্ষুদ্র ছিদ্র জীবাণু লুকিয়ে থাকার জন্য খুবই ভালো স্থান।
সবমিলিয়ে কোনভাবেই একজনের ব্যবহৃত লোফাহ আরেকজনের ব্যবহার করা উচিত নয়। টুথব্রাশের মত এটাও নিজের জন্য আলাদা করে রাখতে হবে। সেই সাথে মনে করে প্রতিবার লোফাহ ব্যবহারের আগে কুসুম গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে এরপর ব্যবহার করতে হবে। এতে করে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব হবে।