লোফাহ ব্যবহারে এই ভুলটি আপনিও করছেন না তো!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গোসলের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হল লোফাহ। নরম, স্পঞ্জি, হ্যান্ড স্ক্রাবারটি গোসলের সময় এক্সফলিয়েট করতে তথা শরীরের ময়লা দূর করতে ব্যবহার করা হয়।

পানির বালতি, টয়লেট সিট, বাসান, শ্যাম্পু যেহেতু পরিবারের সবার সাথেই শেয়ার করে ব্যবহার করা হচ্ছে, অনেকেই ভেবে থাকেন এক লোফাহ সকলে মিলে ব্যবহারে কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু এটা খুবই ভুল একটি কাজ।

কারণ পরিবারের মানুষের সাথে যতই ঘনিষ্ঠটা থাকুক না কেন, নিজের ব্যবহৃত লোফাহ কোনভাবেই অন্যের সাথে শেয়ার করা যাবে না। নর্থওয়েল হেলথ-গোহেলথ আর্জেন্ট কেয়ার প্রতিষ্ঠানের এমডি ডেবরা ব্রুকস জানান, বিজ্ঞানের তথ্য জানাচ্ছে, লোফাহ শেয়ারের মাধ্যমে ব্যবহারে চিন্তাতীত ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ লোফাহতে সহজেই ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার হয়।

loofah

ডেবরা ব্যাখ্যা করে বলেন, একেকজন মানুষের শরীর একেক ধরনের, তাদের শরীরে থাকা রোগের ধরণ ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাতেও রয়েছে পার্থক্য। লোফাহ যেহেতু মানুষের শরীরে সরাসরি সংস্পর্শে আসে, এতে সহজেই একজনের শরীরের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। যা অন্যের জন্য হতে পারে বড় ধরনের ঝুঁকির কারণ। বিশেষত ডায়াবেটিসের রোগীদের স্বাভাবিকভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে এবং সহজেই ইনফেকশনের সমস্যাটি দেখা দেয়।

ডেবরা আরও বলেন, যেহেতু লোফাহ মাইক্রোস্কোপিকভাবে ত্বকের উপরের অংশের স্তর ও মরা চামড়া তুলে ফেলে, এটা জীবাণু শরীরে প্রবেশের একটি দ্বারও খুলে দেয়।  

এছাড়া লোফাহর অবস্থান হয় ওয়াশরুমে, আর্দ্র ও ভেজা জলবায়ুর মাঝে। এমন পরিবেশ যেকোন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জন্ম ও বিস্তারের জন্য উপযোগী। এছাড়া লোফাহর ক্ষুদ্র ছিদ্র জীবাণু লুকিয়ে থাকার জন্য খুবই ভালো স্থান।

সবমিলিয়ে কোনভাবেই একজনের ব্যবহৃত লোফাহ আরেকজনের ব্যবহার করা উচিত নয়। টুথব্রাশের মত এটাও নিজের জন্য আলাদা করে রাখতে হবে। সেই সাথে মনে করে প্রতিবার লোফাহ ব্যবহারের আগে কুসুম গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে এরপর ব্যবহার করতে হবে। এতে করে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব হবে।

ওজন কমবে মেথির গুণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে হাল ফ্যাশনের জামাকাপড় দেখেই হাত নিশপিশ করে, তবে কেনার আগেই মাথায় শত চিন্তা আসে! যা ভুঁড়ি হয়েছে, তাতে পোশাকগুলি পরলে আদৌ মানাবে তো? রোগা হতে গেলে তো ভারী কসরত করতে হবে, আর ওতেই যে বড্ড অনীহা! রোগা হতে গেলে যে জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে হবে, এমনটা একেবারেই নয়। রোজ নিয়ম করে হাঁটাহাটি করে আর খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলেই কিন্তু ওজন কমানো যায়। এর পাশাপাশি কিছু মশলার গুণেও কিন্তু ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা যায়। মেথিরও সেই গুণ রয়েছে।

মেথি চা

চা তো খান রোজ, এ বার সেই চায়েই যোগ করুন কয়েকটা মেথির বীজ। হজমশক্তি তো বাড়বেই, সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও হবে। স্বাদে তেঁতো হলেও কাজ দেবে ষোলো আনা। একেবারেই খেতে না পারলে, চায়ে যোগ করে দিন এলাচ কিংবা আদা।

কী করে বানাবেন? ফুটিয়ে তাতে কয়েক দানা মেথি মিশিয়ে দিন। তার পর চা ও এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন কিছুক্ষণ। খালি পেটে এমন চা খেলে মেদ ঝরবে খুব সহজে।

মেথির পানি

ঠাকুরমা-দিদিমারা পেট গরম হলেই মেথির পানি খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। পেট ঠান্ডা করার পাশাপাশি এটি কিন্তু খিদেও কমায়। খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় বলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা নেয় এই পানীয়।

অঙ্কুরিত মেথি

ভিটামিন ও নানা খনিজপদার্থে ভরপুর মেথিবীজ হজমে সাহায্য করে। একটা পাত্রে মেথিবীজ নিয়ে তার উপর একটা ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝেমাঝেই কাপড়টিতে পানি দিন। দিন তিনেক পর মেথি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হবে। এই অঙ্কুরিত মেথি খেলে তা খুব সহজেই কমিয়ে দেবে শরীরের মেদ।

মেথি গুঁড়ো

মেথিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ক্যারোটিনয়েড, যা দ্রুত ওজন কমায়। বাজার চলতি মেথি গুঁড়োর উপর ভরসা না করে, বাড়িতেই শুকনো খোলায় মেথি ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। এর পর তা গরম পানিতে মিশিয়ে খান। এই পানিতে লেবু ও মধুও মেশাতে পারেন। মেথিগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন তরকারিতেও। দেখবেন, ফল মিলছে হাতেনাতে।

;

চা-কফির নেশা কাটাবেন যেভাবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই সময়ে চা কিংবা কফিতে চুমুক না দিলে যে খুব ক্ষতি হবে, তা নয়। কিন্তু কোনও মতেই নেশা ছাড়তে পারছেন না। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বা সারা দিনে কাজের মাঝে অগুণতি বার কফি পান করলে এই গরমে শারীরিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালি পেটে কফি পান করলে কর্টিজলের ক্ষরণ অনেক বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’-এর অত্যতম কারণ এই হরমোনটি। তাই যদি চা-কফি পানে লাগাম টানতে চান, তিন পন্থা অবলম্বন করে দেখতেই পারেন।

শরীরচর্চায় মন দিন

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শরীরচর্চা করতে শুরু করলে অনেক সময় চা বা কফির নেশা কমতে শুরু করে। কারণ, প্রশিক্ষক বা পুষ্টিবিদদের দেওয়া খাবার তালিকায় ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের মাত্রায় হ্রাস টানতে বলা থাকে।

এমন মানুষদের সঙ্গে মিশুন যারা চা বা কফি পান করেন না

কথায় বলে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস। সত্যিই যদি ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান, তা হলে এমন মানুষদের সঙ্গ নিন, যারা কথায় কথায় চা, কফি পান করেন না।

চা, কফির বদলে স্বাস্থ্যকর পানীয়র অভ্যাস করুন

যখনই চা বা কফি পান করতে ইচ্ছে করবে তখন এমন কোনও পানীয় খেতে চেষ্টা করুন, যা স্বাস্থ্যকর। অনেকেই গরম থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা চা বা কফি পান করে থাকেন। তার বদলে ফলের রস, স্বাস্থ্যকর শরবত খেতে পারেন।

;

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমায় যেসব অভ্যাস



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। দিনের পর দিন এই অভ্যাসগুলোর কারণেই মস্তিষ্কের ক্ষতি করে চলেছি আমরা। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস বাদ দিলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়বে।

১. অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা 

অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। এই বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা মন্থর করে দেয়। এ কারণেই শীতপ্রধান দেশে আত্মহত্যার হার বেশি। প্রাকৃতিক আলোতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে।

২. উচ্চশব্দে গান শোনা

কানে বড় হেডফোন গুজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শোনা মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দে থাকলে এক জনের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে ব্রেনের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৩. বেশি বেশি স্ক্রিন টাইম

অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও নানা দিক থেকে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে গিয়ে সারাক্ষণ ল্যাপটপের সামনে বসে থাকা, বাড়ি ফিরেও মোবাইলে ওয়েব সিরিজ দেখা— সব মিলিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটে যায় পর্দার সামনে। এতে চোখের ক্ষতি তো হচ্ছেই, সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যাচ্ছে। স্ক্রিন টাইম যত বেশি হবে, ততই আমরা অন্যদের সঙ্গে কথা কম বলি, অন্য কাজেও মনোযোগ কম দিই, ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

৪. অতিরিক্ত একা থাকা

এখন আমাদের ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা হাজার হাজার হলেও নিজ জীবনের সব সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্ধুর বড় অভাব। অনেকে এমন আছেন, যারা কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন তারা। এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপর। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তারা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

৫. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া

অতিরিক্ত চিনি খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এ দিকে বার্গার, ভাজাভুজি, আলুর চিপ্‌স বা নরম পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। অন্য দিকে, সবুজ শাকসব্জি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে।

;

ঘরোয়া উপায়ে র‍্যাশের রাশ টানুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমকালে অতিরিক্ত ঘামের ফলে বড়দের গায়ে র‍্যাশ, ঘামাচি হয়। সারাক্ষণ ডায়াপার পরলে গরমকালে শিশুদের ত্বকেও নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। অথচ ডায়াপার না পরালেও নয়। রাতে ঘুমোনোর সময়ে বার বার পোশাক, বিছানা ভিজিয়ে ফেললে ঝামেলায় পড়তে হয় মা-বাবাকে। তাই দিনের বেশির ভাগ সময়ে ডায়াপার পরিয়ে রাখলে অভিভাবকেরা অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।

তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, গরমকালে ডায়াপার পরলে অনেক শিশুরই ত্বকে র‍্যাশ হয়। তা নিয়ে চিন্তার বিশেষ কোনও কারণ নেই। ঘরোয়া কিছু টোটকাতেই এই সমস্যা সমাধান করা যায়।

নারকেল তেল

নারকেল তেলের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণাগুণ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। পাশাপাশি এই তেলের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল যৌগগুলি ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হতে দেয় না।

অ্যালোভেরা

কাটা, ছড়া, পুড়ে যাওয়া— যে কোনও সমস্যায় অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। শিশুদের ত্বকের যে কোনও সমস্যায় ব্যবহার করা যায় এই ভেষজ। অ্যালোভেরার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যৌগ ত্বকের যে কোনও প্রকারের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। তবে গাছ থেকে পাতা কেটে সরাসরি এই জেল শিশুর ত্বকে না মাখানোই ভাল।

ওটসের গুঁড়ো

ওটসের গুঁড়োর সঙ্গে পানি মিশিয়ে নিন। শিশুকে স্নান করানোর আগে তার গায়ে এই মিশ্রণ ভাল করে মাখিয়ে দিন। হালকা হাতে ঘষে নিয়ে পানি ঢেলে ধুয়ে ফেলুন। ডায়াপার থেকে হওয়া র‌্যাশ, ঘামাচি দূর হবে সহজেই।

;