করোনায় ফুসফুসের যত্নে করণীয়

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


মেহেরুন নেসা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোভিড -১৯ মূলত শ্বসনতন্ত্রে সংক্রমিত একটি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে রোগীর কাশি, শ্বাসকষ্ট এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। যাদের ফুসফুস দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা খুবই বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমনের প্রায় ৩৪% রোগীর ফুসফুসে অতিরিক্ত কফ জমা হয়, ১৯% রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় এবং ৫% রোগীর ভেন্টিলেশন  বা লাইফ সাপোর্টের প্রয়োজন হয়।তাই জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে সার্বিক সুস্থতার পাশাপাশি ফুসফুসকেও সুস্থ রাখা যায়।

ফুসফুস সুস্থ রাখতে করণীয়ঃ

১। ধূমপান ত্যাগঃ

সবার আগে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। ধূমপানের ফলে নিকোটিন, টার ও কার্বন মনোক্সাইডের মতো বিষাক্ত পদার্থ ফুসফুসে প্রবেশ করে ফুসফুসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বায়ুপথগুলোকে সরু করে ফেলে, ফলে শ্বাসকষ্ট এমনকি ক্যন্সার পর্যন্ত হতে পারে। প্রত্যক্ষ ধূমপানের পাশাপাশি পরোক্ষ ধূমপানও ত্যাগ করতে হবে, অর্থাৎ ধূমপায়ী ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকতে হবে। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ী ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুকি ১৪ গুণ বেশি বেড়ে যায়।

২। পানিঃ

ফুসফুস সুস্থ রাখতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। দৈনিক ৬-৮ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস করতে হবে। তবে কিডনি রোগীরা পানির পরিমাণ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ঠিক করে নেবেন।

৩। খাদ্যাভ্যাসঃ

খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমূল রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন- গাজর, টমেটো, লেবু, আমলকি, পেঁপে, পেয়ারা, আনারস, কলা, ছোট মাছ, ডিম, দুধ, সামদ্রিক মাছ, তোকমা, তিশি বীজ, বাদাম ইত্যাদি। চিনি, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহলজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। শিশুর ফুসফুসের বিকাশে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে।

৪। লবণ দিয়ে গরম পানি কুলকুচি করতে হবে এবং গরম পানির ভাপ নিতে হবে ৩-৪ বার। এতে ফুসফুসে কফ জমে থাকলে তা পাতলা হবে এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকবে।

৫। পরিষ্কার-পরিছন্নতাঃ

ঘরের ভিতরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘরের দরজা জানালা খুলে দিতে হবে। এতে ঘরের ভেতরে বাতাস প্রবেশ করবে। রান্না করার সময় অবশ্যই কিচেন চিমনি বা এডজাস্টার ফ্যান ব্যবহার করতে হবে। ঘড়ের ভিতরে কাপড় শুকানো বন্ধ করতে হবে। যারা মাটির চুলা ব্যবহার করেন, তারা চেষ্টা করবেন কম ধোঁয়াযুক্ত চুলা ব্যবহার করা। বাহিরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

৬। ঘুমঃ দৈনিক কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমনোর অভ্যাস করতে হবে।

৭। ব্যায়ামঃ

ফুসফুস সুস্থ রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যয়াম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সপ্তাহে কমপক্ষে ১৮০-২০০ মিনিট ব্যয়াম করলে শরীর সুস্থ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ফুসফুসও অধিক কার্যক্ষম ও সুস্থ থাকবে। বিভিন্ন ধরনের অ্যারোবিক ব্যয়ামের (জগিং, দড়িলাফ, সিড়ি উঠানামা করা, স্টেশনারি সাইক্লিং, ঘড়ের ভেতরে হাটা, নাচ) পাশাপাশি ব্রিদিং বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ

ব্রিদিং বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামঃ

যারা সুস্থ, এখনো করোনায় আক্রান্ত হননি বা করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেসনে আছেন (মৃদু সংক্রমণ ৮১-৮৫%) বা হাসপাতালে ভর্তি (মাঝারি সংক্রমণ ১০-১৪%) সবার জন্যই ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ব্রিদিং বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া ব্রিদিং এক্সারসাইজের মাধ্যমে এন্ডোরফিন নামক এক ধরণের হরমোন নিঃসৃত হয় যা বিষন্নতা ও দুশ্চিন্তা কমিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই কার্যকরী। এছাড়া শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান (প্রায় ৭০%) বের করতে, শরীরে রক্ত চলাচলের প্রবাহ  ত্বরান্বিত করতে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে এবং ভালো ঘুম হওয়ার জন্য ব্রিদিং এক্সারসাইজ খুবই উপকারি।

ব্রিদিং এক্সারসাইজ করার পূর্বে অবশ্যই ঘাড়, কাঁধ ও শ্বসনতন্ত্রের  মাংসপেশিকে স্ট্রেচিং এবং সংশ্লিষ্ট জয়েন্টগুলোর মোবিলাইজেশন করে নিতে হবে। ব্রিদিং এক্সারসাইজ দিনে ৩-৪ বেলা ৫-১০ মিনিট করে করতে পারলে ভালো। তবে শুরুর দিকে ২-৩ মিনিট করে করতে পারেন এবং আস্তে আস্তে বাড়াবেন। বিভিন্ন ধরনের ব্রিদিং এক্সারসাইজ আছে। বেশ কার্যকরী ও উপকারি কিছু ব্রিদিং এক্সারসাইজ গুলো হলোঃ

(ক) ডায়ফ্রাগমেটিক বা বেলিব্রিদিং এক্সারসাইজঃ

বিছানায় সোজা হয়ে দুই হাঁটু ভাজ করে নিন। প্রয়োজনে মাথা ও হাঁটুর নিচে বালিশ রাখবেন। এবার এক হাত পেটের উপর ও এক হাত বুকের উপর রাখুন। এবার নাক দিয়ে বাতাস নিন (পেট পূর্ণ ফুলা পর্যন্ত ), ৫ সেকেন্ড বাতাস ধরে রাখুন এবং মুখ দিয়ে শিস দেওয়ার মতো ( মুখের আকৃতি O এর মতো ) করে জোড়ে বাতাস ছেড়ে দিন।

(খ) পারসড লিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজঃ

যাদের শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা আছে তাদের জন্য এটি বেশ উপকারি ব্যায়াম। এটি অর্ধশায়িত বা উপুর হয়ে করলে ভালো কারণ এর ফলে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন ফুসফুসে প্রবেশ করে, এতে শ্বাসকষ্ট কম হয় এবং ফুসফুসের ভিতর জমে থাকা কফ পাতলা হয়। এটি করার জন্য নাক দিয়ে বাতাস নিন, কিছু সময় (৩-৫) সেকেন্ড বাতাস ধরে রাখুন এবং মুখ দিয়ে শিস দেয়ার মতো করে যতক্ষণ বাতাস নিয়েছেন তার দ্বিগুণ সময় ধরে বাতাস ছাড়ুন। অর্থাৎ ১:২, এর মানে যদি ২ সেকেন্ড ধরে বাতাস নেন তবে ছেড়ে দেওয়ার সময় ৪ সেকেন্ড সময় ধরে ছাড়ুন।

(গ) ইকোয়াল ব্রিদিংঃ

এটি শুয়ে, বসে যে কোন অবস্থায় করা যায়। নাক দিয়ে ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত বাতাস নিন। কিছু সময় বাতাস ধরে রাখুন এবং নাক দিয়েই ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত বাতাস ছাড়ুন।

 

(ঘ) ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজঃ

দুই হাত বুকের উপর রেখে কনুই পেছনের দিকে করে বুক প্রসারিত করুন।এবার নাক দিয়ে গভীর শ্বাস নিন, কিছুক্ষন শ্বাস ধরে রাখুন এবং নাক দিয়ে জোড়ে শ্বাস ছাড়ুন।

(ঙ) এক্টিভ সাইকেল অব ব্রিদিং টেকনিকঃ

এটি অর্ধশায়িত অবস্থায় করলে বেশি ভালো। নাক দিয়ে জোড়ে শ্বাস নিন, ৩ সেকেন্ড ধরে রাখুন, মুখ দিয়ে জোড়ে বাতাস ছাড়ুন। এভাবে ৩ বার করুন। এবার ১০ সেকেন্ড স্বাভাবিক শ্বাস নিন। এবার আগের মত ৩ বার নাক দিয়ে গভীর শ্বাস নিন, মুখ দিয়ে ছাড়ুন। তারপর হাফিং দিয়ে জোড়ে কাশি দিন। কাশি দেওয়ার সময় কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। এভাবে ২ থেকে ৩ টি চক্র পূর্ণ করুন। ফুসফুসের ভিতরে জমে থাকা কফ বের করার জন্য এটি সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।

আপনারা আপনাদের সুবিধামত ও উপযোগী যে কোনো ধরনের ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে পারেন ।

যেহেতু শিশুরা ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে চাইবে না, তাই তাদেরকে বেলুন কিনে দিয়ে, বেলুন ফুলানোতে

উৎসাহিত করুন। এটিও ভালো ব্রিদিং এক্সারসাইজ।

চেস্ট ওপেনারঃ

২ হাত শরীরের পেছনে নিয়ে হাতের আঙ্গুল গুলো একে অন্যের ফাঁকে ঢোকান। বাহু দুটি সোজা করুন, যাতে বুক প্রসারিত হয়, এ অবস্থানে থাকুন ২০-৩০ সেকেন্ড। এর ফলে বুকের মাংসপেশিগুলো প্রসারিত হবে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় অধিক পরিমাণে বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করবে।

করোনা আক্রান্ত রোগীর পজিশনিংঃ

যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেসনে আছেন, অথবা হাসপাতালে ভর্তি উভয়ের ক্ষেত্রে ফুস্ফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে অন্যান্য ব্যবস্থার পাশাপাশি শুয়ার ভঙ্গিও গুরুত্বপূর্ন। ঊপুর হয়ে শুয়া বা আধা শুয়া ব্যবস্থা হলো করোনা আক্রান্তদের একধরনের স্বীকৃত পদ্ধতি। ফুসফুস পেছনের দিকে বেশি বিস্তৃত হওয়ায় এভাবে শুয়ে থাকলে ফুসফুসে অক্সিজেনের পরিমান বাড়ে, মিঊকাস নিঃসৃত হয়, শ্বাসনালী বন্ধ হওয়ার প্রবনতা কমে যায়, এতে শ্বাসকষ্ট কম হয় এবং রোগী আরামবোধ করেন।

যারা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা দিনে কয়েকবার উপুর হয়ে শুয়ে থাকবেন। যারা হাসপাতালে তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের(আইসিইউ) ভেন্টিলেশনে নেওয়ার আগে ১৬ ঘন্টা উপুর করে শুইয়ে রাখলে ভালো ফলাফল পাওয়া। উন্নত দেশগুলো এ পদ্ধতি অনুসরণ করে ভালো ফলাফল পাচ্ছে।

নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সচেতন হউন, সুস্থ থাকুন।

মেহেরুন নেসা, ফিজিওথেরাপি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

   

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;