কফি পানের অভ্যাসকে করুন স্বাস্থ্যকর!
নিঃসন্দেহে কফি একটি স্বাস্থ্যকর ও জনপ্রিয় পানীয়। এই একটি পানীয় থেকে পাওয়া যাবে একইসাথে শারীরিক ও মানসিক বেশ কিছু চমৎকার উপকারিতা। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে কফিকে রাখলে মন ফুরফুর থাকা, কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি করা, ওজন কমানো, ক্যানসার ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর মত উপকারগুলো পাওয়া যাবে। দৈনিক কফি পানের অভ্যাসকে আরও কিছুটা স্বাস্থ্যকর করার প্রয়াসে জানুন প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
সকালের নাশতায় শুধু কফি নয়
অনেকের দিনের শুরু হয় নাশতায় শুধু এক কাপ কফি পান করে। এরপর দুপুর পর্যন্ত এক প্রকার খালি পেটেই দিন পার করে দেওয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেজিস্টার্ড ডায়েটেশিয়ান অ্যাডিনা পিয়ারসন জানান, এমন অভ্যাস ক্ষুধাভাব কমিয়ে দেয় এবং খাবার খাওয়ার প্রতি অনীহা তৈরি হয়। যা এক সময় খাদ্যাভ্যাসের উপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। এছাড়া খালি পেটে কফি পান থেকে গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই অ্যাডিনা পরামর্শ দেন, সকালের নাশতায় স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে পছন্দসই কফি পান করার।
কফির সঙ্গে মেশান দারুচিনি গুঁড়া
বিশ্বজোড়া পরিচিত কফি শপ স্টারবাকসের অন্যতম জনপ্রিয় একটি কফি হল সিনামন ফ্লেভার্ড কফি। সিনামন তথা দারুচিনি গুঁড়ার মিষ্টি ঘ্রাণ ও স্বাদ কফিতে বাড়তি ও চনমনে ফ্লেভার যোগ করে। কফিতে ব্যবহৃত দুধ জ্বাল দেওয়ার সময় পরিমাণমত দারুচিনি গুঁড়া যোগ করে দিতে হবে। এতে করে সিনামন কফি পানে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ করা হবে। এছাড়া বেশ কিছু ক্লিনিক্যাল গবেষণা থেকে দেখা যায়, দারুচিনি গুঁড়া রক্তে চিনির মাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
চিনি ও সিরাপ পরিহার করুন
কফিতে সাধারণত লো-ফ্যাট মিল্ক, সুগার-ফ্রি ভ্যানিলা সিরাপ, ব্রাউন সুগার, আর্টিফিশিয়াল সুইটনার কিংবা ডায়াবেটিক সুগার ব্যবহার করা হয়। আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও, লো-ক্যালোরিযুক্ত আর্টিফিশিয়াল এই উপাদানগুলো কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। কফিতে মিষ্টিভাব আনতে দারুচিনি গুঁড়া অনেকখানি অবদান রাখে, তাই মিষ্টি কফি তৈরিতে দারুচিনি গুঁড়া ব্যবহার করা যায়। এছাড়া যাদের গরুর দুধে সমস্যা দেখা দেয় তাদের জন্য রয়েছে সয়া মিল্ক,আমন্ড মিল্ক।
কফি তৈরি করুন বাসাতেই
নিয়মিত কফি শপে যাওয়া কফিপ্রেমীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু অ্যাডিনা জানাচ্ছেন, যথাসম্ভব ঘরেই পছন্দের কফি নিজের মত করে তৈরি করে পান করার জন্য। কফি শপে কফি তৈরির পরিবেশ সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে জানা সম্ভব নয়। ফলে কফি তৈরির প্রক্রিয়ায় কোন না কোনভাবে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। এছাড়া বাসায় কফি তৈরিতে নিজের প্রয়োজন মাফিক উপাদান বাদ দেওয়া বা ব্যবহার করার অপশন থাকে। তাই বেশিরভাগ সময় কফি পানের জন্য নিজের রান্নাঘরকেই বেছে নেয়ার পরামর্শ দেন এই ডায়েটেশিয়ান।