রংপুরে বাস দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় থামছে না স্বজন হারানোর আহাজারি। ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় থামছে না স্বজন হারানোর আহাজারি। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর: দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় থামছে না স্বজন হারানোর আহাজারি। সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীব মিয়া (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজীব গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তালুক বেলকা গ্রামের খসরু মাহমুদের ছেলে। এ নিয়ে দুইদিনে ওই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ জনে।

এরআগে রোববার দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত হয় চারজন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরও ৪ জন।

নিহতরা হলেন- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তালুক বর্মণ গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী রোকসানা (২০), সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী অমিজন (৪৫), পঞ্চগড়ের শাহীন মিয়া (১২), ঠাকুরগাঁওয়ের ভুলী এলাকার মৃত ইব্রাহীমের ছেলে আব্দুর রহমান (৭০), নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের নয়নখাল গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী নুরবানু (৪৫), মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট গ্রামের মামুন মিয়ার স্ত্রী সুমি আক্তার (২২), নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলকি বেগম (৫০)।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহীনুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় আহত অন্তত ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আহতদের অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। বর্তমানে ৪টি ওয়ার্ডে ২১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে গতকালের মর্মান্তিক ওই সড়ক দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোন্নাফ কবীরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) আবু মারুফ হোসেন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আবু রাফা মো. আরিফ। গঠিত কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব জানান, দুর্ঘটনায় নিহত প্রতি পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় বহন করা হবে।

উল্লেখ্য, রোববার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একটি যাত্রীবাহী বিআরটিসি বাস রংপুরের সিও বাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী অপর একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪ জন মারা যায়।

   

কটিয়াদীতে যুগ যুগ ধরে পঞ্চায়েতে গোশত বন্টনে সম্প্রীতির বন্ধন



ছাইদুর রহমান নাঈম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক রীতি ও সম্প্রীতির বন্ধন এখনো অমলিন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। ঈদুল আজহার নামাজ শেষ করে সমাজের সবাই একসাথে কোরবানি দেন৷ সেখান থেকে সবাই সমাজের নিন্মবিত্ত ও সামর্থ্যহীন মানুষের জন্য একটি অংশ রেখে দেন৷ এগুলো সংগ্রহ করে পাশেই সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মাঠে জমা করা হয়৷ একের পর এক আসতে থাকে বিভিন্ন কুরবানির গোসত।

একসময় তা বিশাল স্তুপ হয়৷ সবগুলো সংগ্রহ শেষ হলে মেপে মেপে রাখা হয়৷ পরে একসময় তালিকায় থাকা নাম ধরে ধরে বন্টন করা হয়৷ কেউ উপস্থিত না হলেও তার বাড়িতে পৌঁছে যায় গোশত। এমনি এক সামজিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতির বন্ধন দেখা গিয়েছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে।

কটিয়াদী পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া মহল্লায় প্রায় আড়াই শতাধিক বছরের পুরনো এই রেওয়াজ চলে আসছে যুগের পর যুগ ধরে৷ বর্তমান প্রজন্মও এই রীতি ধরে রেখেছে৷

আধুনিক সমাজে পঞ্চায়েত সমাজ ব্যবস্থা এখন আর দেখা যায় না। তবে পঞ্চায়েত হলো সামাজিক ব্যবস্থার এক অন্যতম ধারক ও বাহকের সমষ্টি। পঞ্চায়েত বলতে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদকে বোঝায়। বাংলার ইতিহাসের মতোই প্রাচীন প্রথা হলো পঞ্চায়েত। কোরবানি ঈদে এ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার কিছু কার্যক্রম দেখা যায়। বিশেষ করে গ্রামে এখনও পঞ্চায়েতের ধারা কিছুটা চলমান রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্বপাড়া মহল্লার এই পঞ্চায়েত প্রথা অনেক পুরনো৷ সমাজে বৈষম্য দুর করে ঐক্য সৃষ্টি ও ধনী-গরিব বৈষম্য কমিয়ে আনতে এটির প্রচলন শুরু হয়েছিলো৷ যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। পাঁচশো বাড়ির তালিকা তৈরি করে বন্টন হয়৷

এলাকার প্রবীন ব্যাক্তি মেরাজ মিয়া (৭৫) বলেন, আমি ছোট থেকে এই বন্টন দেখে আসছি৷ আমাদের বাপ দাদারাও এভাবেই পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বন্টন করেন। বৃটিশ আমলের পর থেকে এটি চলে আসছে।'

বন্টনের দায়িত্ব পালন করা এলাকার শরিফ, মিজান ও আব্দুল্লাহ বলেন, পাঁচ শতাধিক মানুষের তালিকা করে বন্টন করা হয়েছে। পাঁচ হাজার কেজিরও অধিক গোসত জমা হয়েছে। আড়াই কেজি করে দেওয়া হয়েছে৷ কেউ না আসলেও বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি৷ সমাজিক ঐক্য ও ধনী-গরিব বৈষম্য দুর করাই আমাদের লক্ষ্য। এটি চলতেই থাকবে৷ '

স্থানীয়রা আরো জানান, বর্তমানে এই পঞ্চায়েতের সদস্য বা 'ঘর' সংখ্যা হল প্রায় ৫০০। প্রতি কোরবানির ঈদে এদের মধ্যে গড়ে ৪০/৪৬ টি পরিবার কোরবানি দিয়ে থাকে। আর বাকি বড় অংশ কোনো না কোনো কারণে কোরবানি দিতে পারে না। ঈদের আনন্দে যেন ভাটা না পড়ে তাই তাদেরকেও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সমবন্টন করে কোরবানির মাংস দেয়া হয়ে থাকে।

ঈদের দিন সকালে তারা তাদের জবাইকৃত পশুর এক-তৃতীয়াংশ পঞ্চায়েতের মাঠে দিয়ে যাবেন। আর বাকি অর্ধেক রাখবেন তাদের নিজেদের জন্য। এছাড়া সে জবাইকৃত পশুর চামড়াও পঞ্চায়েতে জমা দেবেন। মাংস জমা হওয়ার পর নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে তা কেটে ভাগ করা হয়।

এ পঞ্চায়েতের বা সমাজের যিনি কোরবানি দিয়েছেন তিনিও মাংস পান এবং যিনি কোরবানি দেননি তিনিও মাংস পান। অর্থাৎ এ পঞ্চায়েতের সব ঘরেই কোরবানির মাংস পৌঁছায়।

;

কুষ্টিয়ায় প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আব্দুল জলিলের ইন্তেকাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুল জলিল ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)।

সোমবার (১৭ জুন) ভোর রাত সাড়ে চারটার সময় কুষ্টিয়া শহরের কুঠিপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজ মাঠে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। আব্দুল জলিল অবিভক্ত কুষ্টিয়ার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেও ছিলো তার অসংখ্য স্মৃতি।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। ২মেয়ে ১ ছেলে নাতী-নাতণীসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এই মহান ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাজীবী সংগঠনসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠক স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী এ্যাড. আব্দুল জলিলকে গার্ড অব অনার শেষে জানাযা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় শহরের কুটিপাড়াস্থ মডেল মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীলের উপস্থিতিতে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এই বীর যোদ্ধাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী সাংগঠনিক সম্পাদক চিকিৎসক নেতা ডা. আমিনুল হক রতন, চেম্বার নেতা বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, জেলা জাসদের সভাপতি হাজী মহসিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এসময় সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনদের অংশগ্রহণে জানাযা শেষ করে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

গেলো বছর এগারো ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে এক সাক্ষাৎকারে বার্তা২৪.কমকে কুষ্টিয়া শহরে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জলিল বলেন, 'দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিসংগ্রামে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন তাদের সমাধি হিসেবে কুমারখালী, বংশীতলা, বিত্তিপাড়াসহ জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক গণকবর রয়েছে। এসব স্থানে নির্বিচারে হাজারো ব্যক্তিকে গণহত্যা করা হয়েছে।'

তবে, 'যে স্বপ্নধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশকে স্বাধীন করতে লাখ প্রাণের বলিদান, সেই স্বপ্নপূরণ এখনও সুদূর পরাহত।'

;

ফটিকছড়িতে পাগলা মহিষের তাণ্ডবে বৃদ্ধের মৃত্যু, আহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পালিয়ে আসা একটি পাগলা মহিষের তাণ্ডব চালিয়েছে। এসময় ঘরে ঢুকে আক্রমণের পর এক বৃদ্ধের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও একজনকে আহত করার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৭ জুন) রাত ৮টা দিকে উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আজিম মুন্সির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই বৃদ্ধার নাম মো. মীর আহমেদ। তিনি ওই এলাকার মৃত হামিদ আলীর ছেলে। তবে আহত অন্যজনের নাম জানা যায়নি।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সমিতিরহাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য নুরুল আলম।

তিনি বলেন, মহিষটি হঠাৎ আচমকা এসে আজিম মুন্সির বাড়ির একটা জরাজীর্ণ ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে যায়। ওই ঘরে সামনের রুমে থাকা বৃদ্ধ মীর আহমেদকে পায়। সেখানে মহিষটি তার পায়ে, বুকেসহ শরীর বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। পরে মহিষটি লোকটির মৃত্যু নিশ্চিত করে ওই ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ওখান থেকে বের হওয়ার পর মহিষটি বিভিন্ন রাস্তা ও বাড়ি হয়ে আরও এক কিলোমিটার গিয়েছে। পরে সেখানে একটি হিন্দু বাড়ির পাকা ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং ক্লান্ত হয়ে ওখানে পড়ে যায়। এরপর লোকজন মহিষটিকে ধরে জবাই করে দেয়। সেখানে আরও একজন আক্রমণের আহত হয়েছে শুনেছি। এখনো আমরা মহিষের মালিককে পাইনি। যে বাড়িতে লোক মারা গিয়েছে ওখানে আমরা মহিষটিকে নিয়ে যাচ্ছি।

'কেউ কেউ বলছে মহিষটি রাউজান বা হাটহাজারী থেকে পালিয়ে এসেছে৷ মহিষের সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে দুইজন লোক এসেছিল। যখন মানুষ মেরেছে শুনেছে, এরপর ওই দুজন পালিয়ে যায়। তবে আমরা এখন পর্যন্ত এর কোন মালিক পায়নি।'

ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়রাম্যান বলেন, থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল। ওসি এবং ইউএনও'র সঙ্গে কথা বলে আমরা মরদেহটি কাল সকালে দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এবিষয়ে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. নুরুল হুদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, রাউজান থেকে আসা একটা পাগলা মহিষের আক্রমণে একজন লোক মারা গিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে আর কাউকে আক্রমণের খবর পাইনি।

;

নির্দেশনা অমান্য করেই ঢাকামুখী শতাধিক চামড়াবাহী ট্রাক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করেই রাজধানীর অভিমুখে ছুটছে পশুর চামড়াবাহী ট্রাক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ট্রাক ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, সাভারের চামড়াশিল্প নগরের কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের (সিইটিপি) পরিশোধন ক্ষমতার মধ্যে সীমিত রাখতে কোরবানির পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে কোরবানির পশুর চামড়া ঢাকার ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

তবে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, তাদের অনেকে সরকারি নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। ব্যবসায়ীরাও তাদের কিছু জানায়নি।

বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ঈদ পরবর্তী ১০ দিন ঢাকার বাইরের পশুর কাঁচা চামড়া ঢাকায় ঢুকতে না দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। সে লক্ষ্যে দাউদকান্দি টোল প্লাজা এলাকায় কুমিল্লা জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের টিম কাজ করছে। এক্ষেত্রে নির্দেশনা অমান্য করার সুযোগ নেই।

;