কুষ্টিয়ায় প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আব্দুল জলিলের ইন্তেকাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুল জলিল ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)।

সোমবার (১৭ জুন) ভোর রাত সাড়ে চারটার সময় কুষ্টিয়া শহরের কুঠিপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজ মাঠে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। আব্দুল জলিল অবিভক্ত কুষ্টিয়ার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেও ছিলো তার অসংখ্য স্মৃতি।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। ২মেয়ে ১ ছেলে নাতী-নাতণীসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এই মহান ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাজীবী সংগঠনসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠক স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী এ্যাড. আব্দুল জলিলকে গার্ড অব অনার শেষে জানাযা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় শহরের কুটিপাড়াস্থ মডেল মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীলের উপস্থিতিতে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এই বীর যোদ্ধাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী সাংগঠনিক সম্পাদক চিকিৎসক নেতা ডা. আমিনুল হক রতন, চেম্বার নেতা বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, জেলা জাসদের সভাপতি হাজী মহসিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এসময় সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনদের অংশগ্রহণে জানাযা শেষ করে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

গেলো বছর এগারো ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে এক সাক্ষাৎকারে বার্তা২৪.কমকে কুষ্টিয়া শহরে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জলিল বলেন, 'দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিসংগ্রামে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন তাদের সমাধি হিসেবে কুমারখালী, বংশীতলা, বিত্তিপাড়াসহ জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক গণকবর রয়েছে। এসব স্থানে নির্বিচারে হাজারো ব্যক্তিকে গণহত্যা করা হয়েছে।'

তবে, 'যে স্বপ্নধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশকে স্বাধীন করতে লাখ প্রাণের বলিদান, সেই স্বপ্নপূরণ এখনও সুদূর পরাহত।'

   

ছাগলকাণ্ডের থাবা সাদিক এগ্রোতেও



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছাগলকাণ্ডের থাবা পড়েছে সাদিক এগ্রোতে

ছাগলকাণ্ডের থাবা পড়েছে সাদিক এগ্রোতে

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত ছাগলকাণ্ডের থাবা পড়েছে সাদিক এগ্রোতেও। রাজধানীর মোহাম্মপুরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া কথা জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবারই এই অভিযান শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন। সদ্য শেষ হওয়া কোরবানির ঈদে তিনি আলোচনায় আসেন কোটি টাকার বংশীয় গরু ও ১৫ লাখ টাকার খাসি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মারফতে খবর বের হয় খাসিটি ১২ লাখ টাকায় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক যুবক কিনেছেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রেতাকে নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। শেষ মুহূর্তে জানা যায় বুকিং মানি দিলেও খাসিটি নেননি ক্রেতা।

তবে আলোচনা আছে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি করে বিক্রি করতেন বাংলাদেশি কাউবয় নামে খ্যাত ইমরান হোসেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে ব্রাহামা গরুর বীজ এনে অন্যান্য গাভীর সঙ্গে ‘ক্রস’ করানো হয়। তাতে যে গরুর জন্ম হয়, তা ব্রাহামা জাতের ৪০-৫০ শতাংশের কাছাকাছি হয়। তাহলে শতভাগ ব্রাহামা সাদিক এগ্রোর ইমরান কীভাবে পেলেন, আর শতভাগ ব্রাহমা জাতের গরু হলেও তার দাম কি কোটি টাকা হওয়া সম্ভব।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, কোটি টাকা একটি গরুর দাম হতেই পারে। তবে তা কোনোদিনই মাংসের গরুর জন্য হতে পারে না। যদি সেই গরুটি প্রজননের জন্য ব্যবহার করা হয়, তাহলেই শুধু কোটি টাকা হতে পারে দাম।

ক্রেতাদের অভিযোগ, দেশের বাজারে কোরবানির সময় গরুর দাম বৃদ্ধির পেছনে সাদিক এগ্রোর হাত রয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, কি করে একটি মাংসের গরুর দাম কোটি টাকা হয়। তাই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ছিল তাদের।

এদিকে, ছাগলকাণ্ডে সব হারানো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংবাদমাধ্যমে একের এক মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের খবর বেরিয়ে আসতে থাকলে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি দেশ ছেড়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, রোববার (২৩ জুন) বিকেলের দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মতিউর ভারত পালিয়ে গেছেন।

ইতোমধ্যে মতিউর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিন সদস্যের একটি কমিটিও কাজ শুরু করেছে।

এর মধ্যেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানাল সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। তাই মনে করা হচ্ছে ভাইরাল হতে গিয়ে নিজের ফাঁদে আটকে গেল প্রতিষ্ঠানটি।

;

বগি লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
বগি লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

বগি লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুরে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সাড়ে ৬টা থেকে পৌনে ৭টার দিকে চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটির দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ফলে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঢাকা থেকে কালনী এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস দুটি ট্রেন সিলেট আসার কথা থাকলেও ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সেগুলো আটকা পড়েছে।

;

শেখ হাসিনা সেতু রক্ষা বাঁধের ৪০ মিটার ধস, ভাঙনের ঝুঁকিতে সড়ক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রংপুর
শেখ হাসিনা সেতু রক্ষা বাঁধে ধস/ছবি: বার্তা২৪.কম

শেখ হাসিনা সেতু রক্ষা বাঁধে ধস/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর উপর নির্মিত মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুতে ফাটলের পর পশ্চিম পাশের সেতু রক্ষা বাঁধ ধসে গেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার জায়গার ব্লক ধসে গিয়ে স্থানটিতে প্রায় ৫০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে লালমনিরহাটের কাকিনা ও রংপুর অঞ্চলের যোগাযোগ সড়কসহ বাঁধের ধারে বসবাস করা তিন গ্রামের প্রায় ২ হাজার পরিবার।

বুধবার (২৬ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পানি কমে গেলেও তীব্র স্রোত সরাসরি এসে আঘাত হানছে বাঁধের গায়ে। এতে নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ধসে পড়ছে ব্লকগুলো। বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ে সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন এলজিইডির রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। তবে এটির সংস্কার কাজ কবে শুরু করবে এ বিষয় কিছু তিনি জানাননি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু রক্ষা বাঁধটি গতবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ। তাই এবারে নদীতে পানি আসা মাত্রই সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার জায়গার ব্লক ধসে স্থানটিতে প্রায় ৫০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে তিন গ্রামের ২ হাজার পরিবারসহ ক্ষতি হতে পারে সেতুটিও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটের যোগাযোগ সহজ করতে ২০১৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুটি, যা তিস্তার ওপর দ্বিতীয় সেতু।

তিস্তার তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা আজিজ মিয়া বলেন,গত বছর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আমরা এখানকার স্থানীয় প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এবার যেভাবে পানি এসে বাঁধাটিতে সরাসরি আঘাত হানতেছে তাতে করে উজানে আর একটু বৃষ্টি হলে এই বাঁধ ভেঙে যাবে। আর যদি সড়কটি ভেঙে যায় তাহলে লালমনিরহাটের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের সঙ্গে রংপুর শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, শেখ হাসিনা সেতুটির পশ্চিম অংশের বাঁধটি পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও নতুন করে শুরু হয়েছে। আমরা ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এ বিষয় রংপুর বিভাগের এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী লুৎফর রহমান বলেন, সেতু রক্ষা বাঁধ ধসে যাওয়ার বিষয়টি গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশলীকে রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। তারপর সেটা ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখান থেকে এক্সপার্টরা এসে ডিজাইন করে কাজ করবে।

;

জামালপুরে বজ্রপাতে এক নারী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
জামালপুরে বজ্রপাতে এক নারী নিহত

জামালপুরে বজ্রপাতে এক নারী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের মেলান্দহে বৃষ্টিতে গোসল করার সময় বজ্রপাতে আঁখি আক্তার (৩০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে আদ্রা ইউনিয়নের গুজামানিকা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আঁখি আক্তার গুজামানিকা এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ আলীর মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিনের তীব্র তাপদাহ শেষে আজ বুধবার বিকাল তিনটার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। আঁখি আক্তার নিজ বাড়ির উঠানে বৃষ্টিতে গোসল করার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে আহত হয়। পরে আঁখিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, বজ্রপাতে এক নারীর নিহতের খবর শুনেছি।

;