কটিয়াদীতে যুগ যুগ ধরে পঞ্চায়েতে গোশত বণ্টনে সম্প্রীতির বন্ধন



ছাইদুর রহমান নাঈম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক রীতি ও সম্প্রীতির বন্ধন এখনো অমলিন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। ঈদুল আজহার নামাজ শেষ করে সমাজের সবাই একসাথে কোরবানি দেন৷ সেখান থেকে সবাই সমাজের নিন্মবিত্ত ও সামর্থ্যহীন মানুষের জন্য একটি অংশ রেখে দেন৷ এগুলো সংগ্রহ করে পাশেই সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মাঠে জমা করা হয়৷ একের পর এক আসতে থাকে বিভিন্ন কুরবানির গোসত।

একসময় তা বিশাল স্তুপ হয়৷ সবগুলো সংগ্রহ শেষ হলে মেপে মেপে রাখা হয়৷ পরে একসময় তালিকায় থাকা নাম ধরে ধরে বণ্টন করা হয়৷ কেউ উপস্থিত না হলেও তার বাড়িতে পৌঁছে যায় গোশত। এমনি এক সামজিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতির বন্ধন দেখা গিয়েছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে।

কটিয়াদী পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া মহল্লায় প্রায় আড়াই শতাধিক বছরের পুরনো এই রেওয়াজ চলে আসছে যুগের পর যুগ ধরে৷ বর্তমান প্রজন্মও এই রীতি ধরে রেখেছে৷

আধুনিক সমাজে পঞ্চায়েত সমাজ ব্যবস্থা এখন আর দেখা যায় না। তবে পঞ্চায়েত হলো সামাজিক ব্যবস্থার এক অন্যতম ধারক ও বাহকের সমষ্টি। পঞ্চায়েত বলতে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদকে বোঝায়। বাংলার ইতিহাসের মতোই প্রাচীন প্রথা হলো পঞ্চায়েত। কোরবানি ঈদে এ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার কিছু কার্যক্রম দেখা যায়। বিশেষ করে গ্রামে এখনও পঞ্চায়েতের ধারা কিছুটা চলমান রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্বপাড়া মহল্লার এই পঞ্চায়েত প্রথা অনেক পুরনো৷ সমাজে বৈষম্য দুর করে ঐক্য সৃষ্টি ও ধনী-গরিব বৈষম্য কমিয়ে আনতে এটির প্রচলন শুরু হয়েছিলো৷ যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। পাঁচশো বাড়ির তালিকা তৈরি করে বণ্টন হয়৷

এলাকার প্রবীণ ব্যাক্তি মেরাজ মিয়া (৭৫) বলেন, আমি ছোট থেকে এই বণ্টন দেখে আসছি৷ আমাদের বাপ দাদারাও এভাবেই পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বণ্টন করেন। বৃটিশ আমলের পর থেকে এটি চলে আসছে।'

বণ্টনের দায়িত্ব পালন করা এলাকার শরিফ, মিজান ও আব্দুল্লাহ বলেন, পাঁচ শতাধিক মানুষের তালিকা করে বণ্টন করা হয়েছে। পাঁচ হাজার কেজিরও অধিক গোসত জমা হয়েছে। আড়াই কেজি করে দেওয়া হয়েছে৷ কেউ না আসলেও বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি৷ সমাজিক ঐক্য ও ধনী-গরিব বৈষম্য দুর করাই আমাদের লক্ষ্য। এটি চলতেই থাকবে৷ '

স্থানীয়রা আরো জানান, বর্তমানে এই পঞ্চায়েতের সদস্য বা 'ঘর' সংখ্যা হল প্রায় ৫০০। প্রতি কোরবানির ঈদে এদের মধ্যে গড়ে ৪০/৪৬ টি পরিবার কোরবানি দিয়ে থাকে। আর বাকি বড় অংশ কোনো না কোনো কারণে কোরবানি দিতে পারে না। ঈদের আনন্দে যেন ভাটা না পড়ে তাই তাদেরকেও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সমবণ্টন করে কোরবানির মাংস দেয়া হয়ে থাকে।

ঈদের দিন সকালে তারা তাদের জবাইকৃত পশুর এক-তৃতীয়াংশ পঞ্চায়েতের মাঠে দিয়ে যাবেন। আর বাকি অর্ধেক রাখবেন তাদের নিজেদের জন্য। এছাড়া সে জবাইকৃত পশুর চামড়াও পঞ্চায়েতে জমা দেবেন। মাংস জমা হওয়ার পর নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে তা কেটে ভাগ করা হয়।

এ পঞ্চায়েতের বা সমাজের যিনি কোরবানি দিয়েছেন তিনিও মাংস পান এবং যিনি কোরবানি দেননি তিনিও মাংস পান। অর্থাৎ এ পঞ্চায়েতের সব ঘরেই কোরবানির মাংস পৌঁছায়।

   

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৪ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখেছে। বকেয়া বিল পরিশোধের একাধিক চিঠির জবাবে সাড়া না দিলে পৌরসভার গোডাউন রোডের পানির পাম্পের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

তবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) লাইন বিচ্ছিন্নকরণের ১ দিন পর বুধবার (২৬ জুন) ২৭ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ এবং ১ মাসের মধ্যে পুরো বিল পরিশোধের আশ্বাস মিললে আবার সংযোগ দেওয়া হয়। এতে প্রায় ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল পানির পাম্প ও লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপনি বিতান।

লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ১ হাজার ৩৮ টাকা। যার মধ্যে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর সরকারি দফতরগুলোতে ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ ও বেসরকারি পর্যায়ে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫৮ টাকা।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আওতাধীন পানির পাম্প, নগর পাম্প, আধুনিক বিপনি বিতান, পৌর সুপার মার্কেট, পুরাতন পৌরসভা অফিস, রাস্তার বাতিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অফিসের বকেয়া বিল পরিশোধ করছে না। সবশেষ গত ২৬ মে ও ১লা জুন বকেয়া পরিশোধের জন্য লক্ষ্মীপুর পৌরসভাকে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্ত নানা অজুহাত দিয়ে বিল পরিশোধ করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। এই জন্য মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রকৌশলীরা গিয়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লাইন কেটে দেন।

যারমধ্যে পানির পাম্পের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল ৮৯ লাখ ৭ হাজার ১৮৪ টাকা ও পৌর আধুনিক বিপনি বিতানের বকেয়া ১৮ লাখ ৯০ হাজার ২৯৭ টাকা। এছাড়া পৌর সুপার মার্কেটের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ৪০ লাখ টাকা।

এছাড়া এইদিন লক্ষ্মীপুর পিডিবি পৌরসভা ব্যতিত আরোও ৯টি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। জরিমানা আদায় করে ৪৫ লাখ ১৩২ টাকা। আর বুধবার (২৬ জুন) ১১টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ও বকেয়া বিল আদায় করে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৭ টাকা।

লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার বিষয়ে আমরা কয়েক দফা চিঠি দিয়েছি। এরপরেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সেজন্য লাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল। পরে বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর আবার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা বকেয়া বিল রয়েছে। এর মধ্য ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বকেয়া। ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ টাকা সরকারি অফিস এবং বেসরকারি (আবাসিক ও বানিজ্যিক) ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার ভূঁইয়া মাসুম বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর কিছু কিছু বিল পরিশোধ করা হয়েছে। দ্রুতই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হবে বলে জানান তিনি।

;

ছাগলকাণ্ডের থাবা সাদিক এগ্রোতেও



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছাগলকাণ্ডের থাবা পড়েছে সাদিক এগ্রোতে

ছাগলকাণ্ডের থাবা পড়েছে সাদিক এগ্রোতে

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত ছাগলকাণ্ডের থাবা পড়েছে সাদিক এগ্রোতেও। রাজধানীর মোহাম্মপুরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া কথা জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবারই এই অভিযান শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন। সদ্য শেষ হওয়া কোরবানির ঈদে তিনি আলোচনায় আসেন কোটি টাকার বংশীয় গরু ও ১৫ লাখ টাকার খাসি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মারফতে খবর বের হয় খাসিটি ১২ লাখ টাকায় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক যুবক কিনেছেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রেতাকে নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। শেষ মুহূর্তে জানা যায় বুকিং মানি দিলেও খাসিটি নেননি ক্রেতা।

তবে আলোচনা আছে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি করে বিক্রি করতেন বাংলাদেশি কাউবয় নামে খ্যাত ইমরান হোসেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে ব্রাহামা গরুর বীজ এনে অন্যান্য গাভীর সঙ্গে ‘ক্রস’ করানো হয়। তাতে যে গরুর জন্ম হয়, তা ব্রাহামা জাতের ৪০-৫০ শতাংশের কাছাকাছি হয়। তাহলে শতভাগ ব্রাহামা সাদিক এগ্রোর ইমরান কীভাবে পেলেন, আর শতভাগ ব্রাহমা জাতের গরু হলেও তার দাম কি কোটি টাকা হওয়া সম্ভব।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, কোটি টাকা একটি গরুর দাম হতেই পারে। তবে তা কোনোদিনই মাংসের গরুর জন্য হতে পারে না। যদি সেই গরুটি প্রজননের জন্য ব্যবহার করা হয়, তাহলেই শুধু কোটি টাকা হতে পারে দাম।

ক্রেতাদের অভিযোগ, দেশের বাজারে কোরবানির সময় গরুর দাম বৃদ্ধির পেছনে সাদিক এগ্রোর হাত রয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, কি করে একটি মাংসের গরুর দাম কোটি টাকা হয়। তাই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ছিল তাদের।

এদিকে, ছাগলকাণ্ডে সব হারানো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংবাদমাধ্যমে একের এক মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের খবর বেরিয়ে আসতে থাকলে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি দেশ ছেড়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, রোববার (২৩ জুন) বিকেলের দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মতিউর ভারত পালিয়ে গেছেন।

ইতোমধ্যে মতিউর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিন সদস্যের একটি কমিটিও কাজ শুরু করেছে।

এর মধ্যেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানাল সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। তাই মনে করা হচ্ছে ভাইরাল হতে গিয়ে নিজের ফাঁদে আটকে গেল প্রতিষ্ঠানটি।

;

বগি লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
বগি লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

বগি লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুরে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সাড়ে ৬টা থেকে পৌনে ৭টার দিকে চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটির দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ফলে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঢাকা থেকে কালনী এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস দুটি ট্রেন সিলেট আসার কথা থাকলেও ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সেগুলো আটকা পড়েছে।

;

শেখ হাসিনা সেতু রক্ষা বাঁধের ৪০ মিটার ধস, ভাঙনের ঝুঁকিতে সড়ক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রংপুর
শেখ হাসিনা সেতু রক্ষা বাঁধে ধস/ছবি: বার্তা২৪.কম

শেখ হাসিনা সেতু রক্ষা বাঁধে ধস/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর উপর নির্মিত মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুতে ফাটলের পর পশ্চিম পাশের সেতু রক্ষা বাঁধ ধসে গেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার জায়গার ব্লক ধসে গিয়ে স্থানটিতে প্রায় ৫০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে লালমনিরহাটের কাকিনা ও রংপুর অঞ্চলের যোগাযোগ সড়কসহ বাঁধের ধারে বসবাস করা তিন গ্রামের প্রায় ২ হাজার পরিবার।

বুধবার (২৬ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পানি কমে গেলেও তীব্র স্রোত সরাসরি এসে আঘাত হানছে বাঁধের গায়ে। এতে নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ধসে পড়ছে ব্লকগুলো। বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ে সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন এলজিইডির রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। তবে এটির সংস্কার কাজ কবে শুরু করবে এ বিষয় কিছু তিনি জানাননি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু রক্ষা বাঁধটি গতবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ। তাই এবারে নদীতে পানি আসা মাত্রই সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার জায়গার ব্লক ধসে স্থানটিতে প্রায় ৫০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে তিন গ্রামের ২ হাজার পরিবারসহ ক্ষতি হতে পারে সেতুটিও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটের যোগাযোগ সহজ করতে ২০১৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুটি, যা তিস্তার ওপর দ্বিতীয় সেতু।

তিস্তার তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা আজিজ মিয়া বলেন,গত বছর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আমরা এখানকার স্থানীয় প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এবার যেভাবে পানি এসে বাঁধাটিতে সরাসরি আঘাত হানতেছে তাতে করে উজানে আর একটু বৃষ্টি হলে এই বাঁধ ভেঙে যাবে। আর যদি সড়কটি ভেঙে যায় তাহলে লালমনিরহাটের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের সঙ্গে রংপুর শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, শেখ হাসিনা সেতুটির পশ্চিম অংশের বাঁধটি পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও নতুন করে শুরু হয়েছে। আমরা ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এ বিষয় রংপুর বিভাগের এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী লুৎফর রহমান বলেন, সেতু রক্ষা বাঁধ ধসে যাওয়ার বিষয়টি গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশলীকে রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। তারপর সেটা ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখান থেকে এক্সপার্টরা এসে ডিজাইন করে কাজ করবে।

;