দেশে বড় সমস্যা এখন কিশোর গ্যাং: আইজিপি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশে বড় সমস্যা এখন কিশোর গ্যাং। এটাকে মোকাবিলা করতে সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এই কিশোর-কিশোরীরাই ২০৪১ সালের ধনী দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। সেই শিশুরা ড্রাগ নিয়ে কিংবা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হয়ে ধ্বংস হয়ে যাক সেটা আমাদের কোন মতেই বরদাশত করা যাবে না। সেজন্য আমাদের সমাজ-পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) র‍্যাব সদর দফতরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘র‍্যাব সেবা সপ্তাহ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বেনজীর আহমেদ বলেন, পরিবারকে জানতে হবে তার ছেলে-মেয়ে কোথায় যায়, কার সাথে মিশে, কি করে, কখন যায়, এটা প্যারেন্টাল কন্ট্রোল। এটি অবশ্যই সন্তানের পিতামাতাকে নিতে হবে। সন্তান জন্ম দিলে দায়-দায়িত্ব পিতামাতাকে নিতে হবে। দায়িত্ব নেবেন না তবে জন্ম দিয়েছেন কেন? এটি পিতা-মাতার সামাজিক, নৈতিক দায়িত্ব, ধর্মীয় দায়িত্বও বটে।

আইজিপি আরও বলেন, সন্তানের ভেতর নৈতিকতা, মূল্যবোধের বিষয়গুলো শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব পিতা-মাতার। নতুন প্রজন্ম সামাজিকভাবে বিলুপ্ত বা বিনাশ হবে তা হতে দেওয়া যাবে না। এটা সুস্থ জাতি সত্ত্বার কাজ হতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু। মানবাধিকার কর্মীরা, এনজিওকর্মীরা অনেক হইচই করে অনেক আইন কিন্তু পরিবর্তন ও সংশোধন করেছেন। কিন্তু কলাবাগানে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা কিন্তু সুস্পষ্ট ক্রাইম। এখানে ধর্ষণের পাশাপাশি মৃত্যু ঘটানো হয়েছে। অথচ আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী উভয় কিন্তু শিশু। অথচ আমরা এই আইনগুলো করেছি। অবশ্যই আমাদের আধুনিকায়ন দরকার আইজিপি হিসেবে আমি দ্বিমত পোষণ করি না। তবে অত্যাধুনিক আইন করতে গিয়ে আমরা দেশের মধ্যে কোনো সমস্যা তৈরি করতেছি কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা শুধু করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে আছি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও আমরা এগিয়ে গিয়েছি। যে কারণে জিডিপির দিক দিয়ে সাম্প্রতিক আমরা ভারতে টপকে গেছি। এই অগ্রযাত্রাকে সবাই মিলে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা একটি নবীন জাতি। আমাদের দেশের মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট হচ্ছে, আমাদের ভাষা এক, আমরা দেখতে এক, গায়ের রঙ এক, সংস্কৃতি এক, মূল্যবোধ এক। যার কারণে আমরা জাতিগত শক্তিতে পরিণত হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, র‍্যাবের সেবা সপ্তাহ শুধু সপ্তাহে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমাদের প্রতিটি সপ্তাহই হবে সেবার সপ্তাহ, আমাদের প্রতিটি মাসই হবে সেবার মাস, প্রতিটি বছর হবে সেবার বছর। বাংলাদেশে দুস্থ দরিদ্র শব্দগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির যে গতি আছে এটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি ও বেগবান করতে পারি তাহলে দরিদ্র দুস্থ শব্দ বাংলাদেশে থাকবে না।

র‌্যাব সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে এদিন র‍্যাব সদর দফতরের শহীদ লে. কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে ‘দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়তা, বই বিতরণ এবং সনদপত্র প্রদান’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।