দেশে কোন জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব নেই: মনিরুল ইসলাম
দেশে আইএস,আল-কায়েদাসহ কোনো জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব নেই। এবং কোন জঙ্গি সংগঠনের শাখাও নেই বলে উল্লেখ করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট এর প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আর যদি কোন জঙ্গি সংগঠন থাকে তাহলে তার প্রমাণ দিন। তা যাচাই-বাছাই করে আমরা ব্যবস্থা নেব।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) আগারগাঁও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট এর আয়োজনে 'সহিংসতা ও চরমপন্থা প্রতিরোধে ইসলামিক বিজ্ঞজনদের ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, অনেকেই শুধুমাত্র ধারণা করে আইএস আছে, আল-কায়েদা আছে, জঙ্গি আছে। বড় ধরনের হামলা হতে পারে। কিন্তু এরকম ভয়ের কোন কারণ নেই। বাংলাদেশ জঙ্গি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ সবের কোনো অস্তিত্বই বাংলাদেশে নেই।
তিনি বলেন, গ্লোবাল ইন্ডেক্স রিপোর্টে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অবস্থা ইউরোপ-আমেরিকার থেকে বসবাসের ক্ষেত্রে অনেক আগানো। অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে ঝুঁকি অনেক কম। সাউথ এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে ভুটানের পরে বাংলাদেশের অবস্থান। আমি মনে করি বাংলাদেশ ইউরোপ আমেরিকা থেকে জঙ্গিমুক্ত। অধিক নিরাপদ। বাংলাদেশ জঙ্গি দমনে বিশ্বে রোল মডেল।
তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক সমস্যা সারাবিশ্ব এই সমস্যায় ভুগছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে, ধর্মকে ব্যবহার করে কিছু সংখ্যক লোক, সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে, ধর্মের ক্ষতি হচ্ছে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের ক্ষতি হচ্ছে। এ কারণ সারা বিশ্বের মুসলমানদের নামের কারণে ভিসা পেতে সমস্যা হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান বলেন, আমি মনে করি, উস্কানি দিয়ে কিছু পথভ্রষ্ট মুসলমান, একটা ঘটনা ঘটাচ্ছে। আর সবাই মিলে ইসলামের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, যারা জঙ্গি ও উগ্রবাদী তারা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না। আপনারা জানেন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা হলো ওসামা বিন লাদেন তিনি কখনো ধর্ম শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না। তিনি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার।
আলেমদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জঙ্গি ও উগ্রবাদী দমনে আপনাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ রয়েছে আপনারা সঠিক দায়িত্ব পালন করলে জঙ্গি দূর করা সম্ভব।
এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান আলেমদের উদ্দেশ্যে বলেন, যে কোন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইসলামে না-জায়েজ। এ বিষয়টা সর্বস্তরে বুঝানোর দায়িত্ব আলেম সমাজের। আপনারা প্রত্যেকটা মসজিদে একটা নির্দিষ্ট সময়ে এ বিষয়ে বয়ান দিবেন, আলোচনা করবেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ আনিস মাহমুদসহ আরো অনেকেই।