শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক চলাচল করেন অ্যাম্বুলেন্সে!

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অ্যাম্বুলেন্স

অ্যাম্বুলেন্স

গাড়ি বরাদ্দ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে রোগীর অ্যাম্বুলেন্সে চলাচল করছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক। ওই অ্যাম্বুলেন্সে পরিচালক ছাড়াও আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড়যুগ আগে থেকে হাসপাতালের পরিচালকের জন্য থাকা নীল রঙের একটি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। বর্তমানে গাড়িটি হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয়ের পাশে থাকা শেডে পড়ে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পরিচালকের গাড়িটি বিকল হয়ে যাওয়ার কয়েকবছর পর তৎকালীন নার্সিং ইনস্টিটিউটের (বর্তমান নার্সিং কলেজ) অধ্যক্ষের জন্য বরাদ্দকৃত একটি মাইক্রোবাস ধরনের গাড়িটি তারা ব্যবহার না করায় শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক, উপ-পরিচালকসহ কর্মকর্তারা গাড়িটি ব্যবহার করতেন। ব্যবহারের কয়েক বছর পর সেই গাড়িটি নার্সিং অধিদফতর নিয়ে যায়।

এরপর থেকেই হাসপাতালের প্রশাসন পুরোপুরি যানবাহন শূন্য হয়ে যায়। এতে যানবাহনে চরম সংকট দেখা দেয়।

বিজ্ঞাপন

আরও জানা গেছে, অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী হাসপাতাল পরিচালকের জন্য পদমর্যাদা অনুযায়ী একটি গাড়ি, উপ-পরিচালকের জন্য একটি প্রাইভেটকার ও সহকারী পরিচালকদের জন্য একটি মাইক্রোবাস থাকার কথা। কিন্তু যানবাহন শূন্য রয়েছে হাজার শয্যার এই হাসপাতালটিতে।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, বিকল গাড়িটি মেরামত ও নতুন গাড়ির জন্য বিগত সময় থেকেই অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী গাড়ির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাছে চিঠি চালাচালি করা হচ্ছে। কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত হাসপাতাল পরিচালকসহ কারো জন্য কোনো যানবাহন বরাদ্দ আসেনি।

এখন বাধ্য হয়ে হাসপাতালের চারটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সে যাতায়াত করছেন।

আর সেই অ্যাম্বুলেন্সটি যখন রোগীদের জন্য প্রয়োজন হয়, তখন তার জন্যও ব্যবহার করা হয়। এতে রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স সেবায় কোন ধরনের বেগ পেতে হয় না।

এদিকে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনা-নেওয়ার জন্য তিনটি বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

এ বাসগুলো হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও এর বাহিরের ইউনিটগুলোর চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনাকালীন এই লকডাউনের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার জন্য আনা-নেওয়ার কাজ শুরু করেছে বলে জানান শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক।