ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে মহাসড়কে
করোনা সংক্রমণের ভয় আর সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে উত্তরবঙ্গগামী ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে মহাসড়কে। বৈশাখ মাসের খরতাপে খোলা আকাশের নীচে ট্রাক যোগে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো যানজটের কবলে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছেন মহাসড়কেই। তারপরেও ক্লান্তির ছাপ নেই তাদের চোখে মুখে। প্রিয়জনের কাছে ফেরার আনন্দে এত কষ্ট তাদের কাছে কিছুই মনে হচ্ছে না।
বুধবার (১২) বগুড়া-ঢাকা, বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে যাত্রা করা লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে যানজটে আটকা পড়ার কারণে বগুড়া পর্যন্ত আসতেই তাদের সময় লাগছে ১৩-১৪ ঘণ্টা। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় বেশির ভাগ মানুষ বাড়ি ফিরছেন ট্রাক যোগে। এছাড়াও মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল নিয়েও যাত্রা করেছেন অনেকে। অনেকেই স্ত্রী-সন্তানসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে রওনা করেছেন বগুড়া, গাইবান্ধা এবং রংপুরের উদ্দেশ্যে।
বগুড়ার চারমাথা বাস টার্মিনালে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষ যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তারা ঢাকা থেকে বিভিন্ন ট্রাকে ভেঙে ভেঙে বগুড়া পর্যন্ত এসেছেন। তাদের গন্তব্য গাইবান্ধা, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা। কোন ট্রাক দাঁড়াতে দেখলেই লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। নারী-পুরুষ, শিশু গাদাগাদি করে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে পণ্যবাহী কিংবা খালি ট্রাকেই বাড়ি ফিরছেন।
উত্তরবঙ্গগামী এসব লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, তাদের বেশির ভাগই শ্রমজীবী মানুষ। পেটের তাগিদে ঢাকায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত তারা। ঢাকায় কাজ না থাকার কারণে কষ্ট করে হলেও তারা বাড়ি ফিরছেন। আরেক শ্রেণির মানুষ রয়েছেন যাদের অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করার জন্য ছুটছেন গ্রামের পথে। আর এক সাথে সব মানুষ রওনা দেওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের ঢল নেমেছে। এই ঢল সামলাতে পুলিশ হিমশিম খাচ্ছেন। একদিকে একসাথে হাজার হাজার যানবাহন অন্যদিকে মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।