কুমিল্লায় ‘বেপরোয়া’ কিশোর গ্যাং, এবার স্কুলছাত্রকে ছুরিকাঘাত

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লায় আবারও বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

কুমিল্লায় আবারও বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

কুমিল্লায় আবারও ‘বেপরোয়া’ হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এবার ‘আরজিএস’ নামের একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কুমিল্লা জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরসহ উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত ওই ছাত্রের নাম নওশাদ কবির মজুমদার নাহিদ (১৫)। তিনি নগরীর মধ্যম আশ্রাফপুর এলাকার বাসিন্দা হায়াতুন্নবী মজুমদারের ছেলে। বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছে নাহিদ।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ফেসবুকে এক বন্ধুকে ব্লক করা নিয়ে তর্ক-বির্তকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনায় আরজিএস গ্যাংয়ের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ মে) বিকেলে তাদের কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও আহত ছাত্রের পরিবার জানায়, আহত নাহিদ তার বন্ধু নগরীর ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা নরুর রহমান খানের ছেলে জাহিদ খানকে সম্প্রতি ফেসবুকে ব্লক করে দেয়। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে তার সঙ্গে জাহিদ ও তার বন্ধুদের তর্ক-বিতর্ক হয়। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে কুমিল্লা নগরীর কেন্দ্রিয় ঈদগাহের দক্ষিণ পাশে জাহিদ ও তার ৭/৮ জন তার বন্ধু মিলে নাহিদকে পথরোধ করে মারধরসহ তার হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় নাহিদের বাবা হায়াতুন্নবী বাদী হয়ে সাত জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাত আরও সাত-আট জনকে আসামি করে ওইদিন রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, থানায় মামলা হলে শুক্রবার রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জাহিদ খানসহ এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আর গ্রেফতারকৃতদের শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লায় বেশ কয়েক বছর ধরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। বিভিন্ন সময়ে তাদের হাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। তবে পুলিশের অভিযানে এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা কিছুদিন নিরব ভূমিকায় থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তারা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।