খুলনার ৪ হাসপাতালে ১৩ জনের প্রাণহানি
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসখুলনার চারটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ও উপসর্গে ১৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এরমধ্যে খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ৪ জন করোনায় ও তিনজন উপসর্গে, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুইজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জনসহ মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, খুলনার বটিয়াঘাটার আশিষ গোলদার (৫৫), পাইকগাছার ইউসুফ আলী (৬০), নগরীর শিরোমনি এলাকার আ. মালেক (৭৫) এবং সাতক্ষীলার তালার ইসমাঈল হোসেন (৬১)। এছাড়া উপসর্গে চারজনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০১ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১৩৪ জন, ইয়ালো জোনে ২৭ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. প্রকাশ দেবনাথ। মৃত ব্যক্তি হলেন, নড়াইলের ইকবাল হোসেন (৫৮)। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৫ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদ্বয় হলেন, খুলনার রূপসার জলিল মীর (৬৫) ও যশোরের অভয়নগরের নিত্যানন্দ সরকার (৭৮)। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬০ জন, তার মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ৩৪ জন মহিলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, নগরীর সোনাডাঙ্গার মোহাম্মদ নগরের কাজী আব্দুল সাত্তার (৭৭), মিয়াপাড়া মেইন রোডের চাদ সুলতানা (৭১) ও ফারাজীপাড়ার নাসিমা খাতুন (৪৭)। বেসরকারি এ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।