করোনাকে মানিয়ে নিরাপদে বাঁচার পদ্ধতিই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসদেড় বছরের বেশি সময় ধরে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রলয়ঙ্করী অভিজ্ঞতায় ধনী দেশগুলোর মধ্যে এই বোধোদয় হয়েছে যে, ভাইরাস চিরতরে চলে যাবেনা, একে মানিয়ে নিয়েই চলতে হবে।
যদিও ব্যাপক টিকাকরণের কারণে মৃত্যু এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগির সংখ্যা বহুলাংশে কমে গেছে, তথাপি করোনার পূর্ণ বিলোপের আশা কেউ করছেন না। বরং মারণ ভাইরাসকে সামলে নিয়ে সামনের দিনগুলোতে নিরাপদে থাকার বিষয় নিয়েই ভাবছেন সবাই।
বর্তমানের মতোই ভবিষ্যতেও পৃথিবীতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি কোনও না কোনও রূপ ধারণ করে থেকে যাওয়া নিয়ে একমত প্রায় সবাই। কিন্তু একে মোকাবেলার পদ্ধতি নিয়ে কেউই একমত হতে পারছেন না। ভবিষ্যতে করোনাকে সামাল দিয়ে এই সংক্রমক ভাইরাসের সঙ্গে সহাবস্থান করে বসবাসের পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে রয়েছে মৌলিক পার্থক্য (radically different)। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন সিঙ্গাপুর ও ব্রিটেনের দৃষ্টান্ত দিয়ে এই ইস্যুটি উপস্থাপন করেছে রোববার (১৮ জুলাই)।
পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে বাস করেন ৫.৬৯ মিলিয়ন মানুষ আর ইউরোপীয় দেশ ব্রিটেনে ৬৬ মিলিয়ন মানুষের বাস। এখন পর্যন্ত দেশ দু'টি মহামারি থেকে ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ব্রিটেন অবস্থান করছে করোনায় বিশ্বের শীর্ষতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশের একটি হিসেবে, যেখানে মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১২৯,০০০ মানুষ। পক্ষান্তরে সিঙ্গাপুরে এ পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা মাত্র ৩৬ জন। ব্রিটেনে প্রতি এক লাখে করোনায় মৃত্যুর হার ১৯২.৬৪ আর সিঙ্গাপুরে সেই হার মাত্র ০.৬৩।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত এই তথ্যের প্রতিই এখন সবার নজর। কেমন করে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের হার কমিয়ে রাখা যায়, সেই পদ্ধতিই খুঁজে পেতে চেষ্টা করছে বিশ্বের উন্নত ধনীদেশগুলো। যেহেতু ভাইরাস সম্পূর্ণভাবে উধাও হয়ে যাবেনা, সেহেতু এর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিরাপদে বাঁচার পদ্ধতি ও পথ সন্ধানই এখন বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়াচ্ছে।