বিকাশে পেমেন্ট নিতে চান না উবার চালকরা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

রাজধানীর কাকরাইলের অডিট ভবনের সামনে থেকে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস উবারে রিকোয়েস্ট পাঠান আনিসুর রহমান। তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বাগানবাড়ি এলাকায় যাবেন। একটু অপেক্ষার পর একটি গাড়ির সন্ধান দেয় উবার। উবার থেকে কল করে বলা হয়, টাকা ক্যাশে দিবেন নাকি বিকাশে? আনিসুর রহমান জানান, বিকাশে। চালক বিকাশে যাবেন না বলে না করে দেন।

আনিস বাধ্য হয়ে রিকোয়েস্ট বাতিল করে ফের রিকোয়েস্ট পাঠান। এবারও সেই একই চালককে খুঁজে দেয় উবার। আনিস এবারও রিকোয়েস্ট বাতিল করে দেন এবং ওয়ালেট পরিবর্তন করে ক্যাশ সিলেক্ট করেন।

বিজ্ঞাপন

শুধু আনিসুর রহমান নন, সম্প্রতি উবারে বিকাশ পেমেন্ট করতে গিয়ে অনেক যাত্রীই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

গণপরিবহনে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে উবারসহ রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলোকে স্বাগত জানিয়েছিল নগরবাসী। কিন্তু বছর কয়েকের ব্যবধানে বদলে গেছে সেই ধারণা। যাত্রীদের অভিযোগ, উবারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে হয়রানি।

বিজ্ঞাপন

আনিসুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোরকে বলেন, ভাঙতি সুবিধার জন্য মূলত বিকাশ ওয়ালেট ব্যবহার করি। কিন্তু চালকদের যদি এমন হয়রানি চলতে থাকে তাহলে এই সেবা দিয়ে কী লাভ হবে?

গত বছর ১১ আগস্ট করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে ক্যাশ টাকার পরিবর্তে বিকাশে পেমেন্টের কথা ঘোষণা করে উবার। তখন বলা হয়, এতে নগদ বা ভাঙতি টাকার ঝামেলা ছাড়াই রাইডের ভাড়া যাত্রীর বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশোধ করা যাবে। তবে বিকাশের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ মানতে নারাজ চালকেরা। তাদের কথা, এই পেমেন্টের টাকা হাতে পেতে তাদের অনেক বেশি সময় লেগে যায়। ক্যাশ টাকা হাতে পেলে তাদের সুবিধা বেশি।

বিকাশ পেমেন্ট কেন নিতে চান না জানতে চাইলে উবার চালক মো. সোহেল বার্তাটোয়েন্টিফোরকে জানান, সাত দিন পর পর উবার থেকে তাদেরকে পেমেন্টের টাকা দেয়া হয়। সারা দিন কত রকম খরচ করতে হয়। সেই টাকা তাদের কে দেবে?

শিগগিরই অন্য একটি রাইড শেয়ারিংয়ে চলে যাওয়ার কথা জানান তিনি। সেখানেও যদি যাত্রীরা বিকাশে পেমেন্ট করেন জানতে চাইলে সোহেল বলেন, সেখানে বিকাশ পেমেন্টের টাকা সঙ্গে সঙ্গে একাউন্টে চলে আসে। আর সেখানে ড্রাইভারদের কাছ থেকে কমিশনও কম নেওয়া হয়।