মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভার: ‘আঁধারে’ আলো জ্বলবে কবে?



আকরাম হোসেন নাঈম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের ‘আঁধারে’ আলো জ্বলবে কবে?

মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের ‘আঁধারে’ আলো জ্বলবে কবে?

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারে ৪০০ লাইট থাকলেও আলো নেই ৩০০ এর বেশি লাইটে। ফলে রাতের বেলা অন্ধকারেই থাকে ফ্লাইওভারটি। বাতিগুলো অকেজো হয়ে থাকলেও এখনো নেই কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ। ফলে একদিকে বাড়ছে দুর্ঘটনা অন্যদিকে ছিনতাই আর মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য। অন্যদিকে রাতে আলো না থাকায় সিসি-ক্যামেরাও এক রকম অকেজো।

রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, শুরুর দিকে বাতিগুলো সচল ছিল। তবে বর্তমানে অচলাবস্থা নিয়ে অবগত আছেন। বাতিগুলো আবারো সচল করার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আলো জ্বলবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া থেকে রেলগেইট পর্যন্ত কিছু লাইট জ্বললেও বেশিরভাগ অংশ অর্থাৎ রেলগেইট থেকে রাজারবাগ এবং শান্তিনগর এলাকা পর্যন্ত বাতিগুলো অচল। অন্যদিকে মৌচাক থেকে বাংলামটর পর্যন্তও একই অবস্থা। ইস্কাটন থেকে মগবাজার ওয়্যারলেস গেট নামার মুখেও বেশ অন্ধকার। একই অবস্থা রমনা থানা থেকে তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা পর্যন্ত।


২০১৯ সালের আগস্টে অন্ধকার ফ্লাইওভারে মিলন নামে এক পাঠাও চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার মোটরসাইকেল ছিনতাই করা হয়। আবুল হোটেলের ফ্লাইওভারের ঢাল দিয়ে উঠে মালিবাগ পদ্মা ডায়গনস্টিক সেন্টারে উঠার সময় তিনি ছিনতাইকারী হাতে পড়েন। ওখানে তার গলা কাটা হয়। যদিও পর্যাপ্ত আলোর অভাবে সেই ফুটেজ ক্লিয়ার ছিল না। এরপর ফ্লাইওভারে লাইটের আলো থাকা নিয়ে বেশ আলোচনাও হয়। কিন্তু সেই আলোচনা সময়ের সাথে সাথে আবারও মিলেও যায়।

এর আগে ২০১৮ সালে মে-তে ফ্লাইওভারের মালিবাগের অংশ থেকে বস্তাবন্দি এক নারীর দুই হাত ও দুই পা উদ্ধার করে রমনা থানা পুলিশ। একটি গাড়ি থেকে ওই ব্যাগটি ফেলে দেয়া হয়। তার আগের বছরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় একজন মারা যান। ফ্লাইওভারে আলো না থাকার কারণেই সেই বাসটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ফ্লাইওভারে দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন ওয়ালিউল্যাহ। তিনি বার্তা২৪.কম’কে বলেন, 'বাংলামোটর থেকে প্রতিদিন অফিস শেষ করে রাতে বাইক দিয়ে মৌচাক বাসায় ফিরতে হয়। ফ্লাইওভার থাকার পরও নিচ দিয়েই বেশিরভাগ সময় যাতায়াত করতে হচ্ছে। কারণ ফ্লাইওভারের লাইটগুলাতে আলো না থাকায় রাতের বেলা ছিনতাইকারী, মাদকসেবিদের আড্ডা জমে। তারা বাইক নিয়ে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে।'


ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালক রাজু বলেন, রাতের বেলা ফ্লাইওভার দিয়ে গাড়ি চালাতে ভয় করে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অন্যান্য চালকদেরও একই অভিযোগ।

'রাতের বেলা ফ্লাইওভারের পরিবেশ হয়ে যায় ভূতুরে। ছুরি, ছিনতাইতো নিত্যদিনের ঘটনা।’

আলো না থাকাতে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির আলো চোখে এসে পড়ে। সামনের দিকে কিছু দেখা যায় না। এতে দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা বেশি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিগুলো ঠিক করলে আমাদের সবার জন্য ভালো হয়- বলছিলেন সিএনজি চালক আসাদ মিয়া।

পাঠাও চালক রাহুল মিয়া 'বার্তা২৪.কম’কে বলেন, নিচে যানযট থাকায় ফ্লাইওভার দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু রাতে অন্ধকার থাকায় অনেকটা ভয় হয়, কিছু লোকজন বাইক নিয়ে উপরে দাঁড়িয়ে থাকে। আমাকে একদিন হাতে ইশারাও দিয়েছে, আমি বাইক জোরে চালিয়ে চলে যাই।'

শান্তিবানগর মোড়ে চায়ের দোকানকার হানিফ মিয়া বলেন, শুরুতে সবগুলো লাইট সচল ছিল। কিন্ত এগুলা খুলে নিয়ে গেছে। নেশাখোর, মাদকসেবীদের হাতে যখন টাকা না থাকে তখন তারা ল্যাম্পপোস্ট এর লাইট চুরি করে বিক্রি করে নেশা করে।’


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার জানিয়েছেন, 'মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারটা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ডে পরছে।' তবে ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার সরদার পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, 'ওনি কিভাবে বলেন এটা উত্তর সিটি করপোরেশনের। ওনি ভুল বলেছেন। আমার ওয়ার্ড এর সর্বশেষ সীমানা মালিবাগ ডাক্তার গলি পর্যন্ত। তবে ফ্লাইওভার এর কিছু অংশ আমাদের ওয়ার্ডের মধ্যে। দীর্ঘদিন যাবত ফ্লাইওভার অন্ধকারে এই বিষয়ে আমরা জানিয়েছি এবং এটা আগামী কিছুদিনের মধ্যে সমাধান হবে।

বাতিগুলো আবার কবে সচল হবে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফরিদ আহাম্মদ 'বার্তা২৪.কম’কে জানান, মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের দীর্ঘদিনের আলোর সমস্যা মেয়র সাহেবও অবগত আছেন এবং কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারির মধ্যে সবগুলো লাইট সচল হবে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম 'বার্তা২৪' কে বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ আছে সন্ধ্যার পর বাতি না জ্বলায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ও ছিনতাই ঘটছে। কিন্ত বাতিগুলো ঠিক করা তো আর আমাদের কাজ না। এই বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে আমরা চিঠি দিয়েছি। লাইটগুলো ঠিক করে দেওয়ার জন্য এবং ফ্লাইওভার গুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার জন্য। আমরাও মনে করি ফ্লাইওভারের লাইটগুলো ঠিক করা হলে এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে দুর্ঘটনা এবং ছিনতাই অনেকাংশে কমে যাবে।'

   

১৫ বছরে দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যানের আয় বেড়েছে ১১৯ গুণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে চতুর্থবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতন। এর আগে তিনি প্রথমবার ২০০৯ সালে দাগনভুঞা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে টানা ৩ মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এরমধ্যে গত ১৫ বছরে তার আয় বেড়েছে ১১৯ দশমিক ৪০ গুণ। ২০০৯ সালে বার্ষিক আয় ১ লাখ ২৬ টাকা থাকলেও ২০২৪ সালে এসে বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৬ টাকায়। এই সময়ে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩২ দশমিক ২০ গুণ। ২০০৯ এবং ২০২৪ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

২০০৯ সালে দাখিল করা হলফনামায় তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৮ টাকা। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৪ টাকায়। সেই হিসেবে, গত ১৫ বছরে মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩২ দশমিক ২০ গুণ।

হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দিদারুল কবির রতন ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় বার্ষিক আয় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন। সেই সময় হলফনামায় নিজেকে ব্যবসায়ী দেখালেও ব্যবসার ধরনের কথা উল্লেখ ছিল না। ছিল না শেয়ার সঞ্চয়পত্র থেকে কোনো আয়। কৃষি থেকে ৬০ হাজার টাকা, বাড়ি-দোকান ভাড়া ৩৬ হাজার টাকা এবং ব্যবসা হতে ৬০ হাজার টাকা আয় দেখানো হয়েছিল।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় দেখা গেছে, তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৬ টাকা। আয়ের খাত হিসেবে তিনি কৃষি খাতে ২৫ হাজার ৭৮০ টাকা, বাড়ি-দোকান ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৬৭ হাজার ২১৬ টাকা, মৌসুমী মাল বিক্রি বাবদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা, ঠিকাদারি হতে ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা, জনশক্তি রপ্তানি করে ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র এক কোটি টাকা, পেশা খাত হতে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং মৎস চাষ করে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৭৫০ টাকা আয় দেখিয়েছেন।

২০০৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী দিদারের যৌথ মালিকানাধীন ৪ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ থাকলেও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, স্থাবর সম্পদের মধ্যে দিদারুল কবির রতনের (অর্জনকালীন সময়ের আর্থিক মূল্য) ২ লাখ টাকার কৃষি জমি, ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার অকৃষি জমি, ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৬ টাকা মূল্যের একটি ভবন, ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বাড়ি এবং ১১ লাখ ৭২ হাজার ৭৫০ টাকা সমমূল্যের চা-রাবার বাগান ও মাছের খামার রয়েছে।

এবারের হলফনামা অনুযায়ী, দিদারের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩০ টাকা, বীমা ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৮ টাকা, ডিপিএস ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৮০ টাকা, একটি মোটরকার ৩০ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এক লাখ টাকা, আসবাবপত্র এক লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। তার রয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার পিস্তল, শর্টগান, কার্তুজ ও বুলেট।

২০০৯ সালে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৫১ হাজার ৫৮৮ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ৯০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছিল। একই হলফনামায় দিদারুল কবির রতনের ১০ লাখ টাকার ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। ১৫ বছর পর এবারের হলফনামায় স্বর্ণালংকারের পরিমাণ ১০ ভরি কমিয়ে ৩০ ভরির দাম দেখানো হয়েছে ৬০ হাজার টাকা।

দিদারুল কবির রতন ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন তিনি।

দিদারুল কবির রতন ১৯৯০ সালে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আতাতুর্ক মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার পরেই দাগনভূঞা ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। পরবর্তী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি থেকে পর্যায়ক্রমে ২০০৩ সালে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। দিদার ২০১১ সালে জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ও ২০১৬ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন।

;

কুকি-চিন আর্মির নারী শাখার প্রধান সমন্বয়ক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুকি-চিন আর্মির সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি জোনের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বম কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, লাইমী পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫।

তবে এবিষয়ে বান্দরবান জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র‍্যাবের মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী।

;

২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, সুস্থ ১১



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের। এদিন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ২২৩ জন।

শুক্রবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৬৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৭টি।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

;

জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাজ্জাত হোসেন কামাল (৫৫) নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন জাকারিয়া (৩৫), মহিবুল্লাহ (১৮) ও তার মা (৫০)।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বওলা ইউনিয়নের পুরাননগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সাজ্জাত হোসেন কামাল ওই এলাকার ছালাম ফকিরের ছেলে। সে ধোবাউড়া উপজেলার গোয়তলা রঘুরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন ।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ ওসি মাহাবুবুর রহমান ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে নিহত সাজ্জাত হোসেন কামালের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে চাচা আবুল খায়ের ও চাচাতো ভাইদের সাথে বিরোধ চলছিল। তীব্র তাপদাহে ফসলের জমি শুকিয়ে যাওয়ায় শুক্রবার সকালে সেচ পাম্প দিয়ে নিজ পুকুর থেকে জমিতে পানি নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এসময় চাচাতো ভাই ও ভাতিজা ও ভাইয়ের স্ত্রী বাধা দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাত হোসেন কামালের শরীরে আঘাত করেন তারা। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ সময় তার গলাটিপে ধরা হয়।

পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খরব পেয়ে ফুলপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাচাতো ভাই, ভাতিজা ও চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে আটক করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছালাম ফকির বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ফুলপুর থানা ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহত শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;