প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৮ হাজার ৯৮ জনে। ।
একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৪৬ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৩ জনে। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশে।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
লঞ্চ ভাড়া পুননির্ধারণে ৭ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, ১০ আগস্ট প্রজ্ঞাপন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
লঞ্চ ভাড়া পুননির্ধারণে ৭ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, ১০ আগস্ট প্রজ্ঞাপন
জাতীয়
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সড়কে বাস ভাড়া বৃদ্ধির পরে লঞ্চ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে হার নির্ধারণে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দু একদিনের মধ্যে ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব করবে।
সোমবার (৮ আগস্ট) নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নৌ পরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
নৌ পরিবহন সচিব বলেন, মালিকদের প্রস্তাবিত ভাড়ার হার বেশি। এজন্য কমিটি করা হয়েছে। কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য কাজ করবে ওয়ার্কিং গ্রুপ।১০ তারিখের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রজ্ঞাপন হওয়ার আগ পর্যন্ত আগের ভাড়াতেই লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার পক্ষ থেকে লঞ্চ ভাড়া ১০০ ভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা নিয়ে মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক জ্বালানি তেল (ডিজেল) এর মূল্য লিটার প্রতি ৩৪ টাকা বৃদ্ধি করায় এবং বিশ্ববাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের খোলা বাজারে মবিলের মূল্য ৫০%, প্লেট, এঙ্গেল, ইঞ্জিনের খুচরা যন্ত্রাংশ, ওয়েল্ডিং রড ও গ্যাস সহ স্প্রে পার্সের মূল্য প্রায় ২০০ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লঞ্চের বর্তমান যাত্রীভাড়া ১০০ কিমি পর্যন্ত দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটার ২.৩০ টাকার স্থলে ২.৩০ টাকা বৃদ্ধি করে ৪.৬০ টাকা এবং ১০০ কিমি এর ঊর্ধ্বে প্রতি কিলোমিটার দুরত্বের জন্য বর্তমান ২ টাকার স্থলে ২ টাকা বৃদ্ধি করে ৪ টাকা নির্ধারণ করা।
এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ভোক্তাপর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করে সরকার। ৮ নভেম্বর থেকে বাড়ানো হয় লঞ্চভাড়া। ওই সময় কিলোমিটারপ্রতি লঞ্চভাড়া ৬০ পয়সা বাড়ে, যা শতাংশের হিসাবে কম দূরত্বের লঞ্চের ক্ষেত্রে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ ও বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয়।
তখন প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি ভাড়া ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৩০ পয়সা এবং প্রথম ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি ভাড়া ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ২৫ টাকা।
লঞ্চ ভাড়া ১০০ ভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব, নৌ মন্ত্রণালয়ে চলছে বৈঠক
জাতীয়
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার পক্ষ থেকে লঞ্চ ভাড়া ১০০ ভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা নিয়ে মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক চলছে।
সোমবার (৮ আগস্ট) নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয়ে সাড়ে ১২ টায় এ বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন নৌ সচিব।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক জ্বালানি তেল (ডিজেল) এর মূল্য লিটার প্রতি ৩৪ টাকা বৃদ্ধি করায় এবং বিশ্ববাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের খোলা বাজারে মবিলের মূল্য ৫০%, প্লেট, এঙ্গেল, ইঞ্জিনের খুচরা যন্ত্রাংশ, ওয়েল্ডিং রড ও গ্যাস সহ স্প্রে পার্সের মূল্য প্রায় ২০০ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লঞ্চের বর্তমান যাত্রীভাড়া ১০০ কিঃমিঃ পর্যন্ত দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটার ২.৩০ টাকার স্থলে ২.৩০ টাকা বৃদ্ধি করে ৪.৬০ টাকা এবং ১০০ কিমি এর ঊর্ধ্বে প্রতি কিলোমিটার দুরত্বের জন্য বর্তমান ২ টাকার স্থলে ২ টাকা বৃদ্ধি করে ৪ টাকা নির্ধারণ করা।
এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ভোক্তাপর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করে সরকার।৮ নভেম্বর থেকে বাড়ানো হয় লঞ্চভাড়া। ওই সময় কিলোমিটারপ্রতি লঞ্চভাড়া ৬০ পয়সা বাড়ে, যা শতাংশের হিসাবে কম দূরত্বের লঞ্চের ক্ষেত্রে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ ও বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয়।
তখন প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি ভাড়া ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৩০ পয়সা এবং প্রথম ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি ভাড়া ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ২৫ টাকা।
লক্ষ্মীপুর আদালতে আইনজীবীদের হামলায় ৪ বিচারপ্রার্থী আহত
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর আদালতে আইনজীবীদের হামলায় ৪ বিচারপ্রার্থী আহত
জাতীয়
লক্ষ্মীপুর জজ আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ৪ জনকে মারধর করেছেন আইনজীবীরা। সোমবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আইনজীবী সৈয়দ ফখরুল আলম নাহিদসহ তার ৮-১০ জন সহকর্মী এ হামলা চালায়।
ঘটনার ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আইনজীবী আরীফুন নবী চৌধুরী রাসেল।
এসময় যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আনিছ কবির লাঞ্চিত হয়।
মারধরে আহতরা হলেন, মোহাম্মদ উল্লাহ (৬০), তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৫০), মেয়ে মাহিয়া আক্তার (২২) ও ছেলে আব্বাস হোসেন (২৮)। তারা রামগতি উপজেলার পশ্চিম চর কলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা। কোর্ট পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে এজলাসে নিয়ে যান।
আইনজীবী নাহিদ জেলা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলমের ছেলে।
আহতরা জানায়, আইনজীবী নাহিদদের সঙ্গে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। নাহিদদের একটি মামলায় ঘটনার সময় তারা আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। নাহিদ আগ থেকে হামলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে আইনজীবীরা তাদের ওপর হামলা করেছে।
সাংবাদিক আনিছ কবির বলেন,খবর পেয়ে পেশাগত কাজে ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত আইনজীবি নাহিদ ও তার সহকর্মী রাসেল আমার উপর চড়াও হয়। এছাড়া আমাকে দেখে নেবে বলে শাসিয়ে দেয়।
অভিযুক্ত আইনজীবী ফখরুল আলম নাহিদ বলেন, আমি এসব ঘটনার কিছুই জানি না।
লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল হুদা পাটওয়ার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গেল ১১ জুন সন্ধ্যায় চর কলাকোপা গ্রামে জমি সক্রান্ত বিরোধের সালিসি বৈঠকে প্রতিপক্ষের লোকজন আইনজীবী নাহিদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে ওই ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করেন।
রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
নির্মাণ কাজ বন্ধ, কাদা-পানিতে একাকার সড়ক
জাতীয়
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মাওহা ইউনিয়নের কুমড়ি-নহাটা আঞ্চলিক সড়কের বক্স কেটে কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বৃষ্টি হলেই সড়কটি কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন সড়কে চলাচল করতে গিয়ে গ্রামবাসী, স্কুল শিক্ষার্থী ও যানবাহন চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয়রা জানান এই সড়কটি হয়ে উপজেলার কুমড়ি, পাজুহাটি, চল্লিশা কড়েহা, লোনাপাড়া, বাঢ়া, সিংচাপুর ও কেন্দুয়া উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া, হোসেননগর, দইলা সহ ১০/১২ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। তিন মাস ধরে সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টি হলেই সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তখন যানবাহন চালকরা যেতে চান না। বিকল্প পথে যেতে দ্বিগুণ ভাড়ার পাশাপাশি কয়েক কিলোমিটার ঘুরতে হয় গ্রামবাসীকে।
উপজেলা প্রকৌশলীর (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর কুমড়ি বাজার থেকে নহাটা বাজার পর্যন্ত ১৪০০ মিটার সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আইআরডিপি প্রকল্পের আওতায় সড়কের নির্মাণ ব্যয় ১ কোটি ২৪ লাখ ১ হাজার ১ শত ৬১ টাকা। নির্মাণ কাজ করছেন মেসার্স শহীদ এন্টারপ্রাইজ।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে সড়কের নির্মাণ কাজে পাথর দিয়ে ছয়টি ইউড্রেন নির্মাণ করার কথা রয়েছে। কিন্ত ইউড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে সুড়কি দিয়ে। নির্মাণ কাজ শুরুর পর সড়কটি বক্স কেটে বালু ফেলা হয়। কিন্ত কাজ বন্ধ থাকায় বর্ষার বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও পানি জমে সড়কটি হয়ে গেছে ছোট খালের মত। বিকল্প পথ না থাকায় স্কুল শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীকে বাধ্য হয়েই কাদাপানি মাড়িয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। কুমড়ি থেকে সড়কের শুরুর অংশে রয়েছে সখিনা বিবির সমাধি। সড়কের বেহালদশার কারণে দর্শনার্থী ও ভ্রমাণ পিপাসু মানুষ ঐতিহাসিক এই স্থানটি পরিদর্শন করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছে।
মাওহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক শাহজাহান কবির বলেন সড়কের ইউড্রেন ও প্যালাসাইটিং নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে। কাজ বন্ধ থাকায় বর্ষায় সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা হয়। যান চলাচলের জন্য স্থানীয় চালকরা নিজ উদ্যোগে সড়কে বালু ফেললেও বৃষ্টিতে সেই বালু সরে যাওয়ায় ফের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল ফারুক বলেন সড়কের বেহালদশার কারণে দুই উপজেলার প্রায় দশ/বারোটি গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি আমি উপজেলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় উপস্থাপন করছি। কিন্তু এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম বলেন সড়কের নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। ইউড্রেন পাথরের বদলে সুড়কি দিয়ে করা হয়েছে। তাই আমরা সুড়কির বিল নিবো। বর্ষার বৃষ্টির কারণে সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রæত কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সালেহ মোঃ ওয়াহেদুল হক বলেন পাথরের পরিবর্তে সুড়কি দিয়ে দিয়ে ইউড্রেন নির্মাণের বিষয়টি জানার পর রিভিশনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ বন্ধ ছিল।দ্রুত কাজ শুরুর জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।