জমিতে পানি না পেয়ে কীটনাশক পান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
জমিতে পানি না পেয়ে কীটনাশক পান

জমিতে পানি না পেয়ে কীটনাশক পান

  • Font increase
  • Font Decrease

বোরো ধানের জমিতে পানি না পেয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দুই কৃষক কীটনাশক পান করেছেন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। অন্যজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মৃত ব্যক্তির নাম অভিনাথ মারান্ডি (৩৬)। তিনি গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের নিমঘুটু গ্রামের মৃত বাবুচাঁদ মারান্ডির ছেলে। চিকিৎসাধীন অন্যজনের নাম রবি মারান্ডি (২৭)। তাঁর বাবার নাম গয়ানাথ মারান্ডি। অভিনাথ ও রবির বাড়ি পাশাপাশি। সম্পর্কে তারা দুই চাচাতো ভাই।

স্থানীয় লোকজন জানান, বুধবার সন্ধ্যার একটু আগে অভিনাথ ও রবি গভীর নলকূপের কাছেই কীটনাশক পান করেন। এরপর দুজনকেই প্রথমে বাড়িতে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর অভিনাথ মারা যান। এরপর রবিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

মৃত অভিনাথ মারান্ডির স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম জানান, পানির জন্য তার স্বামী ১০-১২ দিন ধরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপে ঘুরছিলেন। কিন্তু নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত হোসেন পানি দিচ্ছিলেন না। এ কারণে তার স্বামী ক্ষোভে কীটনাশক পান করেন। একই কারণে অভিনাথের চাচাতো ভাই রবিও কীটনাশক পান করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ি থেকে অভিনাথের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম, গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল ছিলেন।

হাসপাতালে গেলে চিকিৎসাধীন রবি স্বীকার করেছেন যে তিনি কীটনাশক পান করেছেন। গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাচ্ছি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

মাদকের ফাঁদে হারিয়ে গেলো কৈশোর, জীবনে ফেরার লড়াইয়ে সঙ্গী আহ্ছানিয়া মিশন



আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনে আহ্ছানিয়া মিশন

মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনে আহ্ছানিয়া মিশন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকার সাইফুল ইসলাম (ছদ্মনাম)। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান সাইফুল ইসলাম সদ্য কৈশোর ছেড়ে তারুণ্যে পা রেখেছেন। এই সময়ে পড়াশোনা আর বন্ধুদের সঙ্গে হৈহুল্লোড় করে জীবন উপভোগ করার কথা। তবে অন্য আর দশটি ছেলের মতো স্বাভাবিক জীবনে নেই সাইফুল। বরং অপরিচিত এক রিকশাচালকের খপ্পরে মাদকের অন্ধকারে পথ হারানো তার সময় কাটছে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে, স্বাভাবিক জীবনে ফেরার লড়াইয়ে।

সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে রাস্তায় অপরিচিত এক রিকশাচালকের সঙ্গে সখ্যই কাল হলো সাইফুলের। রিকশাচালকের ছদ্মবেশে থাকা ওই ব্যক্তি ছিলেন মাদকের ডিলার। তার প্ররোচনায় মাদক গ্রহণ ও একটা পর্যায়ে মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে যান স্কুলপড়ুয়া সাইফুল। গাঁজা-ইয়াবা থেকে শুরু করে দেশের অপ্রচলিত মাদক কোকেনে আসক্তিতে জড়ান। ফলে মাদকের থাবায় পড়াশোনা থেকে ছিটকে পড়তে হয়। এমনকি পরিবার সুস্থ করে তুলতে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করলেও একাধিকবার মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে পালিয়েছেন। বেশ কয়েকটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পরে সাইফুলের ঠিকানা এখন গাজীপুরে আহছানিয়া মিশন পরিচালিত মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে।

গত ৯ মে আহছানিয়া মিশনের মাদক পুনর্বাসন গাজীপুর কেন্দ্রে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় সাইফুলের। তার ভাষ্যে জানা যায়, বাবা প্লাস্টিক ব্যবসায়ী। লালবাগ এলাকা একটি স্কুলে পড়তেন। কিন্তু মাদকের কারণে সপ্তম শ্রেণির পর ঝড়ে পড়েন সাইফুল। এরপর মাদকাসক্তি ও নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসায় কাটছিল তার জীবন।

মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে সাইফুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, লালবাগের একটি স্কুলে পড়াশোনা করতাম। সব সময় আমার পরীক্ষার ফলাফল ভালো হতো। প্রাথমিকে পড়ার সময় থেকেই বন্ধুদের সঙ্গে ধূমপান করতাম। হঠাৎ একদিন স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে এক রিকশাচালক ডাক দিলো। কাছে যেতেই নানাভাবে সখ্য গড়ে তুলল। এরপর আমাকে গাঁজা সেবনের প্রস্তাব দিলো। এক টান দিতেই আমার মাথা ঘুরে গেলো। সে দিন রাস্তায় অনেক বমি করেছিলাম। পরে সেই রিকশাচালক আমাকে বাসায় পৌঁছে দেয়। এরপর আমি নিজেই ওই রিকশাচালকের কাছে যেতাম। বাসা থেকে টাকা নিয়ে নিয়মিত গাঁজা সেবন করতাম।

কিন্তু হঠাৎ একদিন টাকা না থাকায় মাদক চাইলে সেই রিকশাচালক আমাকে মাদক বিক্রির প্রস্তাব দেয়। টাকা জোগাতে এরপর ওই রিকশাচালকের ইয়াবা বিক্রি করতাম। এভাবে ধীরে ধীরে আমি ইয়াবা সেবন শুরু করি। মাদকের টাকা জোগাতে বাসায় চুরি শুরু করি। টাকা না পেলে জিনিসপত্র চুরি শুরু করি। বিষয়টি টের পেয়ে আমার পরিবার ডোপ টেস্ট করায়। পরবর্তীতে মাদকাসক্তির প্রমাণ পেয়ে তেজগাঁও এলাকায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করায়। ২৮ দিন করে দুই দফায় নিরাময় কেন্দ্রে থাকার পরেও মাদক থেকে ফিরতে পারিনি।

ইয়াবা ও গাঁজা সেবন থেকে ফিরতে ভর্তি হন নিরাময় কেন্দ্রে। সুস্থ হওয়ার বদলে জড়িয়ে যান হিরোইন ও কোকেনের মতো মাদকে উল্লেখ করে সাইফুল আরও বলেন, তেজগাঁওয়ের সেই মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা চলাকালীন কেন্দ্রের নারী শাখায় ভর্তি থাকা একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। মোহাম্মদপুর এলাকার সেই মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরে হিরোইন সেবন শুরু করি। সেই মেয়ের মাধ্যমে তার সঙ্গে হিরোইন বিক্রি করে যে টাকা আয় হতো তা দিয়ে আমরা সেবন করতাম। এরপর সেই মেয়েই আমাকে কোকেন সেবন করায়। এক গ্রাম কোকেনের দাম পাঁচ হাজার টাকা। বাসা থেকে টাকা চুরি করে কোকেন সেবন করতাম। এমনকি টাকা না পেয়ে মায়ের ওয়াশিং মেশিন বিক্রি করে দিই। পরবর্তীতে পরিবার রায়েরবাজার এলাকার একটি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করে। সেখান থেকে কেন্দ্রের লোকজনকে মারধর করে পালিয়ে যাই।

তিনটি প্রতিষ্ঠানে চারবার চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ হতে পারেননি সাইফুল। এমনকি দুটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অন্য বন্দিদের সঙ্গে মিলে নিরাময় কেন্দ্রের কর্মীদের মারধর করে পালিয়ে যান।

সর্বশেষ গত কয়েকমাস ধরে আহছানিয়া মিশনের পরিচালিত গাজীপুর কেন্দ্রে মাদক ছেড়ে জীবনের পথে ফেরার চিকিৎসা গ্রহণ করছেন সাইফুল। এখন তার ভুল ভেঙেছে। জীবনের শুরুতে অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া সাইফুল চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। নতুন করে পড়াশোনা করে বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতেন চান ১৮ বছরে পা দেওয়া এই তরুণ।

জানা গেছে, আহছানিয়া মিশনের রাজধানীসহ দেশের তিন জেলায় নারী ও পুরুষদের মাদক মুক্ত করতে নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনা করছে। ২০০৪ সালে গাজীপুর জেলার গজারিয়া পাড়া এলাকায় প্রাকৃতিক ও মনোরম পরিবেশে মাদকাসক্তি মুক্ত করার চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সালে যশোরে, ২০২১ সালে মুন্সিগঞ্জ ও রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। এই সকল নিরাময় কেন্দ্র মাদকের কারণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বহু মানুষের জীবনের আলোর বাতিঘর হয়ে উঠেছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আহছানিয়া মিশন পরিচালিত মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭৮৯ জনকে সেবা নিয়েছেন। ২ হাজার ৭৮৯ জন চিকিৎসা গ্রহণকারীর মধ্যে মাদকাসক্তজনিত সমস্যা দুই হাজার ১৪২ জনের এবং মানসিক সমস্যা ৬৪৭ জনের। যার মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ।

ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, আমরা তিন ধরনের রোগীকে সেবা দিয়ে থাকি। যেমন মাদকাসক্তি, আচরণগত এবং মানসিক সমস্যা। ৬ মাসের একটি কোর্সের আওতায় সেবা দেওয়া হয়। যারা পূর্ণমেয়াদে চিকিৎসা নিয়েছেন, পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে তারা ১২ দিন বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া ও কাউন্সেলিং সেবা নিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গাজীপুরের এই কেন্দ্র থেকে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি ধাপে চিকিৎসা সেবা হয়। আমার কেন্দ্রগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, নিয়মিত চেকআপ, রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী রোগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও নিয়মিত বিশেষজ্ঞ মনোচিকিৎসকের মাধ্যমে কাউন্সেলিং করা হয়।

;

বাংলাদেশে বজ্রপাত নিরোধ যন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশে বজ্রপাত নিরোধ যন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স

বাংলাদেশে বজ্রপাত নিরোধ যন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে বজ্রপাত প্রতিরোধে প্রযুক্তি জ্ঞান বিনিময়, বজ্রপাত নিরোধ যন্ত্র স্থাপন, অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স।

সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপে​​​​​​​ সাক্ষাত করতে গেলে তাৎক্ষণিক এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান জানান, বজ্র নিরোধক যন্ত্র স্থাপন করাসহ এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

বর্তমান সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমাতে কাজ করছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়, এ বিষয়ে জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে।

মহিববুর রহমান জানান, বজ্র নিরোধক প্রযুক্তি সুলভ ও ব্যাপকভিত্তিক করতে গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে প্রযুক্তি বিনিময় ও হস্তান্তরের ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

;

'সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে'

'সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে'

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সরকার পোশাক শিল্পকে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সব থেকে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছে না, সমাজ পরিবর্তনেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনেও এ খাত মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এখাতে প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। এই শিল্পের কল্যাণে নারীর ক্ষমতায়ন ফিরে এসেছে। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান এবং বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম মান্নান কচির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে সহ-সভাপতিবৃন্দ এবং পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

নড়াইলের লোহাগড়ায় ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশায় ছুরিকাঘাতে ফয়সাল মুন্সী (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। 

সোমবার (১৩ মে) রাতে লক্ষীপাশা এলাকার মারকাজুল মাদরাসার উত্তরপাশের সড়ক থেকে পিঠে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ফয়সাল লোহাগড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের আহমেদ মুন্সীর ছেলে। সে পেশায় ইজিভ্যান চালক। তবে ঘটনার সময় ফয়সাল ভ্যান চালাচ্ছিল কিনা বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয়রা পিঠে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় কিশোরের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তার পরিচয় উদঘাটন করে পুলিশ। তবে কী কারণে কে বা কারা ফয়সাল মুন্সীকে হত্যা করেছে তা প্রাথমিক পর্যায়ে জানা যায়নি।

এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

;