ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও দেশের বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানি চলছে। রাজধানী ও জেলা শহরগুলোয় সকাল থেকে পশু জবাই দিতে দেখা যায়।
মূলত কসাই স্বল্পতাসহ নানা কারণে প্রথম দিনে কোরবানি করেননি অনেকেই। কারও কারও ক্ষেত্রে অবশ্য, দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করা পারিবারিক রীতি। যদিও গতকালের তুলনায় এর সংখ্যা অনেক কম।
বিভাগীয় ও জেলা শহরে কোরবানির নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় দ্বিতীয় দিনেও অধিকাংশই বাড়ির আঙিনায় বা সামনের সড়কে কোরবানি দিয়েছেন। এদিকে রাতের মধ্যে বিভাগীয় শহর থেকে অপসারণ করা হয়ে হয়েছে ঈদের দিনে কোরবানি করা শতভাগ পশুর বর্জ্য।
নগরবাসী জানিয়েছেন, পেশাদার কসাইয়ের সংকট এবং ঈদের দিনে একটু ঝামেলা এড়াতেই তারা আজ পশু কোরবানি দিচ্ছেন।
রহমত উল্লাহ নামের এক কসাই বলেন, বৃহস্পতিবার সাতটি গরু তৈরির কথা রয়েছে। চারজনের দল নিয়ে আজকে একটির কাজ শেষ করেছি। আরেকটি কসাইয়ের দলকে দেখা গেল ছুরি, চাপাতি নিয়ে দ্রুত বেগে যেতে; কাজের তাড়ায় কথা বলারও সময়ও ছিল না তাদের।
আজিমপুর, লালাবাগসহ পুরান ঢাকার অলিগলিতে ঘুরে দেখা যায় প্রথম দিনের মতই গরু জবাই করা হচ্ছে। আবার অনেক বাসার ফটকের সামনে কোরবানির গরু বাঁধা দেখা যাচ্ছে।
এক মাদরাসার শিক্ষার্থী বলেন, আজ যে গরুগুলো জবাই করেছি, প্রায় সবই ব্যবসায়ীদের গরু। ব্যবসায়ীরা একটু আরাম আয়েশে করে সময় নিয়ে একদিন পর কোরবানি দেয়।
মিরপুরের বাসিন্দা আবু হানিফ বলেন, পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি।
ঈদের দিন গরু কিনেছেন তাই সেদিন কোরবানি দিতে পারেননি। তাই আজ কোরবানি দিচ্ছেন বলে জানান শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা অলিউর রহমান।