নলেজ, ভ্যালুজ ও স্কিলসের সমন্বয়ে হবে আমাদের শিক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান কারিকুলামের মূলনীতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নলেজ, ভ্যালুজ ও স্কিলস এই তিনটির সমন্বয়ে হবে আমাদের শিক্ষা।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, সমতা, জাতীয়তাবোধ, কর্মমুখী শিক্ষা ও দক্ষতা প্রভৃতি ভ্যালুগুলো আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রজেক্টে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, নলেজ দেওয়ার জায়গায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, মূল্যবোধের জায়গায়তেও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এক্সেস ও ইকুইটি (সমতা) নিশ্চিত করতে হবে। প্রক্রিয়াগত কারণে অথবা অর্থের অভাবে যেন কোনও শিক্ষার্থী ঝরে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট প্রজন্ম গড়তে শিক্ষায় যে রূপান্তরের কাজ চলছে তার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ১৬ বছর পর্যন্ত কম খরচে দেশের সকল শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। বর্তমান কারিকুলামের শিখন পদ্বতি ভিন্ন। গতানুগতিক শিক্ষার ধারনা থেকে এই পদ্ধতি ভিন্ন। এটা অভিজ্ঞতানির্ভর।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, গতানুগতিক শিক্ষাকে যেভাবে দেখা হয়, শুধুমাত্র কিছু তথ্য আমরা মুখস্ত করবো, মেমোরি ড্রাইভেন প্রসেস সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মুখস্ত নির্ভর শিক্ষা এবং স্মরণশক্তিকে মেধা বলে চালিয়ে দেওয়ার যে মানসিকতা সেখান থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে আমরা স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারবো না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য উদ্ধৃত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের বিশাল একটি অংশ যদি খুব কম বয়সে ঝরে পড়ে তাহলে তো আমরা স্মার্ট প্রজন্ম তৈরি করতে পারবো না। সেলক্ষ্যে আমরা অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে শিক্ষার্থীরা অর্থের অভাবে ঝরে না পড়ে।

মূল্যায়ন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে প্রক্রিয়ায় আমরা মূল্যায়ন করছিলাম সেটিও একটি চ্যালেঞ্জ। মূল্যায়নের কারণে ও আর্থিক কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যাবদুলেই সিক।

এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ, ইআরডি, আইএমইডি ও প্লানিং কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অংশীজন।

নাফ নদীর লালদিয়াচরে বোমা নিক্ষেপ, রোহিঙ্গা নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
নাফ নদীর লালদিয়াচরে বোমা নিক্ষেপ, রোহিঙ্গা নিহত

নাফ নদীর লালদিয়াচরে বোমা নিক্ষেপ, রোহিঙ্গা নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের টেকনাফ নাফ নদীতে বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আরো ২ জন রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। এই ঘটনা মিয়ানমার অংশের লালদিয়াচর এলাকায় ঘটেছে বলে জানা গেছে।

রোববার (০৭ জুলাই) নাফ নদীর লালদিয়াচর এলাকায় এঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

নিহত রোহিঙ্গার নাম জুবাইর। তিনি টেকনাফ জাদিমুড়া ক্যাম্পের বাসিন্দা। এঘটনায় আহতরা হলেন জাবের হোসাইন ও আব্দুস শুক্কুর। তারা টেকনাফ লেদা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নাফ নদীতে ৩জন পুরাতন রোহিঙ্গা মাছ ধরতে গিয়েছিলো বলে খবর পেয়েছি। সেখানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে ৩ জন গুরুতর আহত হয়। আহতরা ক্যাম্পে চলে গেলে তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। পরে আর দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে আব্দুস শুক্কুরকে এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ক্যাম্পে ফিরে যায়। আরেকজন জাবের হোসাইনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

এর আগে টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে মাঈন বিস্ফোরণে মোহাম্মদ আয়াছ নামের এক মিয়ানমারের নাগরিক নিহত হয়। মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুর দুইটা ৪৫ এর দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে আসা হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তারও আগে গেলো ২২ জুন টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় ডদ। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিলো।

;

কোনো সুবিধাই পাচ্ছেন না পদকজয়ী কৃষকরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা এআইপি সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে ২০২০ সাল থেকে। এবারও পাঁচ ক্যাটেগরিতে সিআইপি মর্যাদার এ পুরস্কার পেয়েছেন ২২ জন।

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ সম্মাননা তুলে দেন। তবে ২০২০ সালের পদকজয়ী ১৩ জন পড়েছেন বিপাকে।

২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, তাদের যেসব সরকারি সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই জোটেনি। এদিন সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসে বেশ কয়েকজন এ হতাশা প্রকাশ করেন।

এই কৃষি উদ্যোক্তারা অভিযোগ করেন যে, কৃষি মন্ত্রণালয় পদক হাতে তুলে দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। যেসব সরকারি সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো এসব সুবিধা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। নীতিমালা শুধু কাগজেই আছে, বাস্তবে নেই। নতুন করে যারা এই পদক পেয়েছেন, তারাও সুবিধা নিতে গিয়ে নানা হেনস্তার শিকার হবেন বলে শঙ্কা অনেকের।

রবিবারের অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। এ সময় এআইপিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে এআইপি নীতিমালা প্রণয়ন করে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সালে ১৩ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়।

এতে বলা হয়েছিল, এআইপি পদকপ্রাপ্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, সচিবালয়ে প্রবেশ পাস, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ; বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার এবং নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধাপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার থাকবে।

এ ছাড়া তারা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পান। তবে ইতোমধ্যে যারা এ পদক পেয়েছেন, তাদের কেউই এমন সুবিধা পাননি।

নাটোরের সফল কৃষি উদ্যোক্তা সেলিম রেজা ২০০ বিঘা জমিতে ‘দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্ম অ্যান্ড নার্সারি’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০২০ সালে এআইপি পদক পেয়েছেন। পদকপ্রাপ্তির সুবিধাগুলো নিতে এক বছরের জন্য তাকে একটি কার্ডও দেওয়া হয়েছিল। তবে এই কার্ড দেখিয়ে সুবিধা নিতে গেলে উল্টো তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সেলিম রেজা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পদকজয়ী বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কখনোই কোনো সুবিধা পাওয়া যায়নি, বরং হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে গেলে কর্তৃপক্ষ বলছে, এ রকম কোনো নির্দেশনা নেই। সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কোনো কর্তৃপক্ষই কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনার কথা জানে না।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এআইপি পদকপ্রাপ্তরা কী কী সুবিধা পাবেন, তা জানা নেই। যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, তা কেন পাচ্ছেন না, তা খতিয়ে দেখব। এ বিষয়ে পুনরায় কোনো নির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজন হলেও তা করব। পদকজয়ী কৃষকদের সম্মানিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

;

‘চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করা যায়’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা ১১ আসনের সংসদ সদস্য এম ওয়াকিল উদ্দীন এম.পি।

রবিবার (৭ জুলাই) মাদানী হসপিটাল লিমিটেড এর বৃহৎপরিসরে ইনডোর, আইসিইউ ও এনআইসিইউ সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওয়াকিল উদ্দীন বলেন, ‘চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করা যায়। চিকিৎসা সেবাকে বাণিজ্য না বানিয়ে সেবার মানুষের কাজ করে সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। মাদানী হসপিটালের ম্যানেজম্যান্টের মনোভাব দেখে আমি আশান্বিত হয়েছি। এই মান ধরে রেখে মাদানী হসপিটাল সেবা প্রার্থীদের আস্থার ঠিকানা পরিণত হওয়ার প্রতিদান দিতে হবে।’

হসপিটালের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাঈন উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. ইব্রাহিম মাসুম বিল্লাহর পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আমিন খন্দকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক নর্থ ব্রংকস ইসলামিক সেন্টারের খতিব ও পরিচালক শাইখ সাইফুল আজম বাবর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪০ নং ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম ঢালী, ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের অগে অতিথিবৃন্দ হসপিটালের সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করে সেবামান ও পরিচ্ছনতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

;

চাল আমদানি নয় ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করবো : খাদ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে চাল আমদানি নয় বরং রপ্তানি করবে। তিনি বলেন, বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবেনা।

তিনি রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি হয়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।

তিনি বলেন, পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না। দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা।

উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ওএমএস ও টিসিবির ভর্তূকি মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।

এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ৩ দিনব্যাপী ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা’ উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন এবং শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন।

পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ/২০২৪-২৫ মৌসুমে আমন প্রণোদনা হিসাবে ১২১০ জন কৃষকের প্রত্যেকে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা বিতরণ করা হয়।

;