রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি সব দেশের মতো বাংলাদেশেও হচ্ছে। একই কথা রিজার্ভেও। রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেননা আপদকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে। এত বেশি আলোচনার কারণে আজ প্রায় সবাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন। এই সতর্কতা দেশের জন্য ভালো।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে আরও সুসংগঠিত হয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছাড়া দেশের মানুষের কল্যাণ হবে না। গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি; ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে রোজই আন্দোলন, সরকার উৎখাতসহ নানা রকম হুমকি ধমকি দেয়। যতক্ষণ জনগণ আছে সাথে, ওটা আমি কেয়ার করি না। তারপরও দেশের জ্বালাও পোড়াও, অগ্নিসংযোগ এগুলো যেন না করতে পারে। এগুলো যারা করবে, তাদের কোনো ছাড় নেই... যতই মুরুব্বি ধরুক, আর যাই ধরুক। এদের আমরা ছাড়ব না। মানুষের ক্ষতি যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতিনিয়ত বাচ্চা হচ্ছে। তাদের জনসংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এদিকে, মিয়ানমারেও পরিস্থিতি ভালো নয়। তাদের তো আর ঠেলে দিতে পারি না। আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি। যুদ্ধ করতে যাইনি, ঝগড়াও করতে যাইনি। কখন যে তাদের ফেরাতে পারব, জানি না। আমরা তো রিফিউজি ছিলাম, তাদের কষ্ট বুঝি। তাদের ভাসানচরে নিচ্ছি। কিছু গেছে, আরও যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি। গাজায় গণহত্যা চলছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। যেখানেই যাই, এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলছি। ইরানের প্রেসিডেন্ট মারা যাওয়ার ঘটনায় আমরা শোক জানিয়েছি। শোক দিবসও পালন করেছি। যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে, আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় নীতিতে কাজ করছি।

তিনি বলেন, সবচেয়ে সমস্যা ইনফ্লুয়েশন। এটা অনেক দেশের সমস্যা। এটা কমাতে পারলে ভালো হতো। রিজার্ভ আমাদের মতো অনেক দেশেরই কমে যাচ্ছে। আমাদের আপদকালীন সময়ের জন্য খাদ্য মজুত থাকলে রিজার্ভ কম কোনো সমস্যা না। তারপরও আমি এটা নিয়ে সচেতন করায়, এখন দেখি সবাই এটা নিয়ে কথা বলছে। এটা ভালো। অন্তত বললে, সবাই সচেতন থাকবে। আমি বলেছি, সবাইকে উৎপাদনে মনোযোগী হতে। নিজেদের চাহিদা পূরণে অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে বলেছি। গোপালগঞ্জে আমরা একটা সমিতির মাধ্যমে চাষাবাদ করেছি। সেখানে সবাই এটা করছে। এভাবে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনলে আমাদের খাবারের অভাব হবে না। বরং রপ্তানি করতে পারব। অবশ্য, এখনও সবজি-ফুল রপ্তানি হচ্ছে।

বাক-স্বাধীনতার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও, টেলিভিশন করে দেওয়ার পরও বলছে, কথা বলতে পারি না। ফেসবুকেও সমালোচনা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স। আমরাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এ ব্যাপারে সচেতন যে, কীভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করা যায়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্কুলে ছেলেদের সংখ্যা কমছে। মেয়েদের সংখ্যা বেশি। এবার মেয়েরা বেশি পাস করছে, ছেলেরা কম। এর কারণ খুঁজে বের করতে বলেছি। উচ্চশিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে আমরা সুবিধা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, ২২ জেলা ও ৩৩৪ উপজেলা এখন ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত। বাকিগুলোও হবে। প্রত্যেক নাগরিক দুই শতক জমিসহ ঘর পাবে। কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না, অভুক্ত থাকবে না। পাশাপাশি নিরক্ষরও থাকবে না। সবাইকে পড়াশোনার আওতায় আনব। বেকারও থাকবে না। কর্মসংস্থানের নানা সুযোগ সৃষ্টি করছি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির অহমিকা ছিল, তারাই বড় দল। ২০০৮ এর নির্বাচন মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছে, সেটাই তাদের ক্ষোভ। এরপর ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে আসেনি। এরপর থেকে তো বাংলাদেশে নির্বাচনই হতে দেবে না, এমন অবস্থা। হ্যাঁ, কোনো এক সাদা চামড়া থেকে প্রস্তাব এসেছে, বাংলাদেশে তাদের ঘাঁটি করবে। সে সুযোগ দিলে তারা নির্বাচন করতে দেবে। আমি রাজি হইনি। আমি এই প্রস্তাব পাত্তা দেইনি, সোজা কথা। দেশের মানুষ আমাদের শক্তি। আমি তাদের ওপরই নির্ভর করি।

২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে না পারার কারণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাস বিক্রি নিয়ে অনেক দিন দেন-দরবার হয়। আমার একটাই কথা ছিল, দেশের চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত থাকলে বিক্রি করব। অত বড় দেশ, এমন কথা তো সহ্য করবে না, এটাই স্বাভাবিক। বৈঠক হলো... খালেদা জিয়া রাজি হলো গ্যাস বিক্রির। আমি রাজি হইনি। আমি বলেছি, গ্যাস বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে, এমন দৈন্যতা আমাদের নেই। আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, দেশের স্বার্থ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাব না। পরে কিন্তু ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসন বণ্টন নিয়ে সবশেষ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।

   

জল্লাদ শাহজাহানের দাফন সম্পন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: জল্লাদ শাহজাহান এর জানাজা নামাজ

ছবি: জল্লাদ শাহজাহান এর জানাজা নামাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান এর জানাজা নামাজ শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তার নিজ এলাকা নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পারুলিয়া ফুটবল খেলার মাঠে জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজার নামাজ শেষে ইছাখালীস্থ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজা নামাজে পলাশ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কারি উল্লাহ সরকার, পলাশ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক জাকির হোসেন মৃধা, গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শাহজাহানের স্বজন আলমগীর সহ প্রায় ৫ শতাধিক মুসল্লী জানাজা নামাজে অংশ নেন। নামাজের পূর্বে শাহজাহানের ভাগনে মোঃ নজরুল ইসলাম তার মামার জন্য দোয়া কামনা করেন এবং সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়া শাহজাহানের জীবদ্দশায় কারো সাথে কোন দেনা পাওনা থাকলে তা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় স্থানীয়দের মুসল্লী ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভীর এড়াতে শাহজাহানের মরদেহ কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি।

জানাজা নামাজের পূর্বে ভাগ্নে নজরুল ইসলাম ছাড়াও মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন, কারিউল্লাহ সরকার, জাকির হোসেন মৃধা, আমান উল্লাহ ভুইয়া হিরন ও আলমগীর।

এসময় বক্তারা বলেন, ছাত্র জীবনে শাহজাহান একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন যার ফলে তিনি কিছুদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরী করেন। পরবর্তীতে তার জীবনে আর সুখ সইলো না। মামলার বেড়াজালে জেলে যেতে হল।

জেলে গিয়ে এক পর্যায়ে সাঁজার মেয়াদ কমাতে ফাঁসি দেয়ার দায়িত্ব পালন শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ মানবতাবিরোধী মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীসহ দেশের আলোচিত বেশ কয়েকটি মামলার ফাঁসির রায় কার্যকর করে জল্লাদ হিসেবে দেশব্যাপী আলোচনা আসেন। দীর্ঘ ৩৪ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন মুক্তি লাভ করেন। জেল থেকে মুক্তি লাভের পর তার জন্মভূমি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে স্বজনদের সাথে দেখা করতে আসেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন শাহজাহান। জেল থেকে মুক্তি লাভের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এক বছরের ব্যবধানে তিন চার বার বাড়িতে আসেন শাহজাহান কিন্তু আশেপাশের লোকদের সাথে তেমন সম্পর্ক বা যোগাযোগ রাখেননি।

শাহজাহানের মৃত্যুতে এলাকাবাসীর তেমন কোন প্রতিক্রিয়া না থাকলেও জীবনের শেষ বেলায় জানাজার নামাজে শরিক হয়ে সহানুভূতি দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য: শাজাহান মুক্তি লাভের পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। সর্বশেষ সাভারের হেমায়েতপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। সেখানে গত সোমবার ভোর সাড়ে তিনটায় তিনি বুকের ব্যথা অনুভব করেন। এ সময় বাড়ির মালিক তাকে চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তি করার সাড়ে তিন ঘণ্টার মাথায় চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ প্রহনের জন্য প্রস্তুত হয় স্বজনরা। কিন্তু এতে বাঁধ সাদে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। এদিকে শাহজাহানের মরদেহ ঢাকা থেকে এনে রাত দশটায় জানাজা শেষে দাফনের ঘোষণা দেওয়া হয় এলাকায়। হাসপাতালের চিকিৎসক ও থানা পুলিশের বাধার কারণে সোমবার মরদহে আনা সম্ভব হয়নি। যার ফলে দাফন কাজ করা যায়নি। পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় শাহজাহানের মরদের ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করেন কর্তৃপক্ষ এবং হ্বেলা সাড়ে ১২ টায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বেলা দুইটা গড়িয়ে এলে শাজাহানের মরদেহ নিজ বাড়িতে আনা হয়। একটা সময় দেশের আলোচিত এক ব্যক্তিতে পরিণত হওয়া শাহজাহানকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে উঠে আসেন তার স্বজন ও আশপাশ লোকজন।
বিকেলে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার ভগ্নিপতির কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।

দাফন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর শাহজাহানের প্রতিবেশী ভাগ্নে এস এম আলমগীর গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এবং দোয়া কামনা করেন।

;

নোয়াখালীতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেফতার ১৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সুধারাম থানা

ছবি: সুধারাম থানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত সুধারাম থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রব চৌধুরীসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪জনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পল্লী বিদ্যুতের দুটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি মতিন। সে আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক বকসির ছেলে এবং স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারের একজন ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চৌরাস্তা বাজার থেকে মতিনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে সুধারাম থানার এএসআই আবদুর রব চৌধুরী। এরপর গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে থানায় নিয়ে আসার পথে স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারে সাবেক চেয়ারম্যান বকসির অন্য ছেলেরা তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে পুলিশের সিএনজির গতিরোধ করে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মতিনকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়। পরবর্তীতে একই দিন বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪জনেক গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সাথে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক বকসিকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।

নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন,পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করলে আসামির পরিবারের সদস্য ও সহযোগীরা হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ ১৪জনকে গ্রেফতার করে। সাবেক চেয়ারম্যান বকসিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে ১৪জনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে।

;

বাড্ডায় লরির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আরাফাত (৩৭)। তিনি নড়াইল সদরের বাহিরগাঁও গ্রামের আব্দুর রব শিকদারের ছেলে। এ ঘটনা ঘাতক লরি চলককে আটক করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ১১টা ২০ মিনিটে বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনের ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনায় ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিম আরাফাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনবাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন গাজী ।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। ঘাতক পরিবহনটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আরাফাত মোটরসাইকেলে বাড্ডা থেকে কুড়িলের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনের ক্রসিং এ পৌঁছানো মাত্র একটি মালবাহী লং ভেহিকেল তার মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। পরে নতুন বাজারের দিকে চলে যায় ঘাতক পরিবহনটি। ঘটনাস্থলেই ভিকটিম মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মগজ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘাতক লং ভেহিকেলটি পালানোর সময় সুবাস্তুর সামনে অপর একটি বাসকে ধাক্কা দিয়ে আইল্যান্ডে উঠে পড়ে। এসময় ড্রাইভার কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয়দের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ।

;

লালমাটিয়ায় তিতাসের গ্যাসের লাইনে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
ছবি: আগুন নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

ছবি: আগুন নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর লালমাটিয়ায় তিতাসের গ্যাসের লাইনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট কাজ করছে।

মঙ্গলবার (২৫) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুন লাগার সংবাদ আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক।

তিনি বলেন, আজ রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের ফোনে আসে রাজধানীর লালমাটিয়ায় তিতাসের গ্যাসের লাইনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।  পরে ঘটনাস্থলে আমাদের একটি টিম যায়। আমাদের টিম তিতাস গ্যাসের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্যাস লাইনের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালমাটিয়া মহিলা কলেজের সামনের রাস্তার মাটির নিচে থাকা তিতাসের লাইনে আগুন লাগে। দীর্ঘ সময় আগুন জ্বলায় রাস্তা গরম হয়ে যায়৷ স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাস্তার মাটি সরিয়ে আগুন নেভাতে কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

;