ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা



মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল-আযহা। ঈদকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশুর হাটের পাশাপাশি ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন ছুরি-বঁটির দোকানে। কেউ শান দেয়াতে ব্যস্ত কেউবা নতুন দা-ছুরি-বঁটি কিনে নিতে দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। অন্যদিকে সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির মৌসুমে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। ঈদকে সামনে রেখে হাতুড়ির টুং-টাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই কামারশিল্পীরা।

শনিবার (১৫ জুন) ফেনী শহরের বড় বাজার, রাজাঝীর দিঘীর পাড়, পাঁচগাছিয়া, বিভিন্ন কামারশালসহ রাস্তার পাশে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ ছুরি-বঁটির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে কেন্দ্র করে পশু কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের চাহিদার সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে দাম।

পাশাপাশি জমে উঠেছে গরু, ছাগল, মহিষসহ অন্যান্য কোরবানির পশু কাটাকাটির কাজে ব্যবহার করা দা-বঁটি, ছুরি-চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি ও মেরামতের কাজ। কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো। ঈদের চাহিদা পূরণ করতে নতুনের পাশাপাশি আবার পুরনো সরঞ্জামের শানের কাজও চলছে। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের এই ব্যস্ত কর্মযজ্ঞ।

বিক্রেতা ও কামাররা জানান, এ বছর ঈদকে ঘিরে পশু কোরবানির ছুরি আকার ও মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ৩০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। পশুর চামড়া ছাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত ছুরি একেকটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গত বছর এগুলোর দাম ছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। অন্যদিকে ভালো মানের বঁটি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায়, যেগুলো গত বছর ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ওজন অনুযায়ী প্রতি পিস চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ৭০০ থেকে ১৩০০ টাকা।


এছাড়া কুরবানির পশুর হাড় ও মাংস কাটাকাটি করার জন্য পাটি তথা চাটাই ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। এ ধরনের গাছের গুঁড়ি ও পাটির বিক্রিও বেড়েছে অনেক হারে। ছোট আকারের গাছের গুঁড়ি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়। মাঝারি আকারের গুঁড়ি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা ও বড় আকারের গুঁড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। এ ছাড়া চাটাই আকার ও মানভেদে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, কোরবানির ঈদ আমাদের জন্য বড় সুযোগ। এ সময়ে বিক্রি ভালো হয়, তাই আমরা বছরের এই সময়টার জন্য প্রস্তুতি নিই। সকল পণ্যের দাম অতিরিক্ত হারে বেড়েছে যার কারণে অতিরিক্ত দামে কিনে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। লোহা, কয়লা দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। এ নিয়ে সরবরাহকারীরা জানান, চাহিদা বৃদ্ধির কারণে তাদের অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে এবং শ্রমিক সংকট এবং শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে যার ফলে দামের উপর এই প্রভাব পড়ছে।

আকবর আলী নামে এক বিক্রেতা বলেন, কোরবান ঈদে ছুরি, দা-বঁটিসহ অন্যান্য সরঞ্জামগুলোর চাহিদা অনেক থাকে যার কারণে এ সময়টাতে অন্য সময়ের তুলনায় ভালোই বিক্রি হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কারণে এসব সরঞ্জামেরও দাম অনেকাংশেই বেড়েছে। তাও ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনে কিনছেন। আমরা কম দামে কিনতে পারলে ক্রেতাদের কাছেও কম দামে বিক্রি করতে পারতাম বলে জানিয়েছেন এই বিক্রেতা।

অনিক দাস নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বিক্রি ও ব্যস্ততা দুটোই বেড়েছে। ক্রেতারাও খুশিমনে তাদের চাহিদানুযায়ী দা-ছুরিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি কিনছেন। আগের বছরের তুলনায় প্রত্যেকটা সরঞ্জামের উপর ৩০-৪০ টাকা করে বেড়েছে। কামাররা ঠিকমতো কয়লা পাচ্ছে না যার কারণে কয়লা সংগ্রহ করতে হচ্ছে বাড়তি দামে। লোহার দাম ও শ্রমিকের মজুরিও বাড়াতে বাড়তি দাম গুণতে হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা জানে এখন ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে। দাম বাড়লেও তারা কিনতে বাধ্য। অনেক ক্রেতা বলছেন, সকল পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি কারণে লোহা, কয়লা ও শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে যার কারনে দাম বাড়তে পারে।

ওসমান গণি নামের এক ক্রেতা বলেন, গত বছর যে চুরি ৩০০ টাকায় কিনেছিলাম, এই বছর তা কিনতে ৪০০ টাকা লাগছে। দাম বাড়লেও প্রয়োজনের কারণেই কিনতে হচ্ছে।

রুবেল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, কোরবানির জন্য দা, ছুরি, বঁটি, চাপাতি এসব সরঞ্জামগুলো গুরুত্বপূর্ণ যার কারণে বিক্রেতারা জানে মানুষের চাহিদা রয়েছে দাম বাড়ালেও তারা কিনবে। এদিকে ক্রেতারা বাড়তি দাম কিনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মাঝারি সাইজের ৪ টা ছুরি কিনেছি যার দাম পড়েছে ১২০০ টাকা যা ৩০০-৪০০ টাকা বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে।

এদিকে একাধিক কামারির সাথে কথা বলে জানা যায়, বছরের অন্য সময়গুলোর তুলনায় কোরবানির ঈদে তাদের ব্যস্ততা অনেকাংশে বাড়ে। বিশেষ করে কোরবানির এক সপ্তাহ আগে এই ব্যস্ততা বাড়ে। তারা জানায়, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কয়লার সংকট ও দামবৃদ্ধি, লোহার দামবৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট এবং আধুনিকায়নের ফলে বিলুপ্তির পথে যেতে চলেছে এই কামার শিল্প। তাও কোরবানি এই সময়টাতে আয় একটু বাড়ে, যা দিয়ে পুরো বছর কোনোমতে চলে যায়।

কামারি রাহুল দাস জানায়, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে আমাদের প্রচুর ব্যস্ততা বাড়ে। ক্রেতারা কেউ দা-ছুরি, বঁটি তৈরি করার জন্য অর্ডার দিতে আসে আবার অনেক ক্রেতা আসে পুরাতন দা-চুরিতে শান দিতে। সব মিলিয়ে অন্য সময়ের তুলনায় ঈদের সময়টাতে বেশ ব্যস্ত সময় কাটে আমাদের।

ছুরি ও বঁটিতে শান দিতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, আগের বছরের কোরবানিতে ব্যবহার করা ছুরি ও বঁটি শান দিতে এসেছি। এ বছর এসব সরঞ্জামের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারণে পুরতানগুলো শান দিয়ে ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

বানাতে দেয়া বঁটি নিতে আসা মরিয়ম আক্তার জানায়, কোরবানি পশুর মাংস টুকরা করার জন্য বঁটির প্রয়োজন হয়। যার কারণে ঈদের এক সপ্তাহ আগে অর্ডার দিয়ে গেছি যা আজকে তৈরি করে দিয়েছে। বঁটি তৈরি করতে ৭০০ টাকার মতো খরচ হয়েছে বলে জানায় তিনি।

বাড়িতে ঢুকে তরুণের হাত-পায়ের রগ কাটল সন্ত্রাসীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
বেগমগঞ্জ মডেল থানা

বেগমগঞ্জ মডেল থানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বেলাল হোসেন ওরফে সাকিব (২০) নামের এক তরুণের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার আমানউল্ল্যাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাচিহাটা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।

আহত সাকিব একই গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মুহম্মদ শহীদুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় সুলতানপুর স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসা শাখার ছাত্র।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলার কাচিহাটা গ্রামের মো. তামিম (১৯) মো. জাকির হোসেন (১৮) ও সাকিব (২০) সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন একই গ্রামের শাহাদাত হোসেন সাপিম (২০) নামে এক তরুণকে গুলি করে বলে অভিযোগ করেন তারেক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে সাপিম অনুসারী তারেক বাহিনীর প্রধান তারেক ও শান্তসহ ১০-১২ জন সাকিবের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় তারা সাকিবকে বাথরুম থেকে টেনে হিঁচড়ে বাহিরে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার সাপিম ও তারেকের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে ব্যস্ত পাওয়া যায়।

বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কুতুব উদ্দিন লিয়ন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের দিকনির্দেশনা এই বাজেট: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কিন্তু নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা করি। এই ইশতেহার আমরা কখনো ভুলে যাই না। জাতির কাছে যে ওয়াদা দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি, তা পালন করি। এই বাজেট প্রণয়নকালীন আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটির অগ্রাধিকার এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যে দিকনির্দেশনা- সেটাও বাজেটে উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্য স্থির করেছি তা তুলে ধরা হয়েছে এই বাজেটের মধ্যে। ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমারা যে পরিকল্পনা করেছি তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। আমাদের সেই ধাবাহিকতা আমাদের আছে।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি মোটেই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনো পূরণ হয় না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাবো। সেটা আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট! আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই (বড় বাজেট বাস্তবায়ন) সম্ভব হয়েছে। আমাদের ইচ্ছাটা কী? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। সেজন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস সর্ববৃহৎ বাজেট আমরা দিয়েছি। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বাজেটের ওপর এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ ২৩৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। তারা বাজেটের ওপর আলোকপাত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এর বাইরে অনেকেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন।

;

কুষ্টিয়ার মিরপুরে কেয়ারটেকারের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার মিরপুরে মনির হোসেন মনি (৮০) নামে এক বৃদ্ধ কেয়ারটেকারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে উপজেলার বিজনগর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের হাত এবং পা পোড়ানো ছিল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

নিহত বৃদ্ধের নাম মনির হোসেন মনি ওই এলাকার মৃত আকুব্বরের ছেলে এবং স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক মিঠুর বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এই বাড়ীর কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করেন তিনি। একাই থাকতেন ওই ঘরে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বিজনগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে কেয়ারটেকার হিসেবে দেখাশোনা করতেন বৃদ্ধ মনি। ওই বাড়ির বাইরের একটি ঘরে তিনি থাকতেন।

আজ শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা মনিকে দেখতে না পেয়ে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর বিছানা মনিরের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহতের হাত ও পা পোড়ানো ছিল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কারা এবং কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেসব বিষয় জানার জন্য কাজ করছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

;

মালয়েশিয়া প্রবাসীর মালামাল আত্মসাৎ: গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪, মালয়েশিয়া প্রবাসীর মালামাল আত্মসাৎ করায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বরিশালের কাউনিয়া থানার পুলিশ

ছবি: বার্তা২৪, মালয়েশিয়া প্রবাসীর মালামাল আত্মসাৎ করায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বরিশালের কাউনিয়া থানার পুলিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়া থেকে সহকর্মীর পাঠানো স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন তার স্বজনকে না দিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বরিশাল পুলিশ।

যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা হলেন, সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লামছড়ি গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান প্যাদা, তার মালয়েশিয়া প্রবাসী ছেলে জাবেদ হোসেন ইমন (২০) ও অপর ছেলে কাউসার হোসেন।

শনিবার সকালে বরিশালের সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামচরি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে বরিশালের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, গ্রেফতারদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, গ্রেফতারদের কাছ থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসীর পাঠানো স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

মামলার বাদী ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম জানান, তার ফুফাতো ভাই ফয়সাল আহমেদ শুভ্র বিগত ছয় বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। সেখানে ইমন ছিলেন তার সহকর্মী।

গত ২২ জুন তিনি (ইমন) দেশে ফেরেন। শুভ্র তার কাছে ৯৩ দশমিক ৯৮ গ্রাম ওজনের ৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ও একটি দামি মোবাইল ফোন পাঠান। সেই মালামালগুলো হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাদী আরিফুল ইসলামের সংগ্রহ করার কথা ছিল। সেগুলো সংগ্রহের জন্য তিনি বিমানবন্দরে এলে কৌশলে ইমন সেখান থেকে পালিয়ে যান।

পরবর্তীতে ইমনের ঠিকানা সংগ্রহ করে তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আরিফুল ইসলাম স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন চাইলে ইমন সেগুলো এয়ারপোর্টে আসা স্বজনকে দিয়েছেন বলে জানান। এরপর এ ঘটনায় আরিফুল ইসলাম কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

;