ডিএমপির নতুন এসি মিডিয়া জাহাঙ্গীর কবির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ডিএমপির নতুন এসি মিডিয়া জাহাঙ্গীর কবির

ডিএমপির নতুন এসি মিডিয়া জাহাঙ্গীর কবির

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি মিডিয়া) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির।

বর্তমানে তিনি ডিএমপি সদর দপ্তরে আছেন। ১৩ জুন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের এক অফিস আদেশে এ দায়িত্ব পান জাহাঙ্গীর কবির।

একই আদেশে ডিএমপির তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. এনামুল হক মিঠুকে ওয়ারী গোয়েন্দা বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।

শামসুদ্দোহা দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার/ছবি: সংগৃহীত

ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অভিযোগ, এ দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।

শামসুদ্দোহা দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

দুদক বলছে, শামসুদ্দোহা দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ২৭ শতক জমি আছে তাদের নামে। দলিলে এসব জমির দাম ৭০ কোটি টাকা দেখানো হলেও আদতে বাজারদর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। গত ১৮ মার্চ আদালত তার এসব সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দেন। পরদিন তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করলে ওই আদেশ স্থগিত হয়ে যায়।

জাতীয় একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, শামসুদ্দোহা খন্দকার শুধু গাছেরটা খান না, তলারটাও কুড়ান। চাকরিজীবনে শুধু সম্পদের শিখরে উঠে দমে যাননি; রাজধানীর বনেদি এলাকা গুলশানে অন্তত ২০০ কোটি টাকা দামের সরকারি জমি ও বাড়ি নিজের করে নিতে রকমারি কূটকৌশল চালাচ্ছেন। তার প্রতাপের কাছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কিংবা আবাসন পরিদপ্তরও যেন ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’।

শামসুদ্দোহা ২০১১ সালে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান পদে বসে সীমাছাড়া দুর্নীতিতে জড়ান। এ পটভূমিতে ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা ঠুকে দেয় দুদক। ওই মামলায় স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানাও আসামি। মামলাটি এখনও চলমান। এ ছাড়া তার রয়েছে হরেক রকমের ব্যবসা-বাণিজ্য। তিনি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মালিকদের অন্যতম একজন। ২০২১-২২ সালের পরিষদে শামসুদ্দোহা ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ ১১ কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর মধ্যে শামসুদ্দোহা খন্দকারও ছিলেন।

এ ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রীয় ও সরকারিভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের পর এক সীমাহীন বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ার অভিযোগ আসছে। এ ধরনের অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে অন্যদের কাছে শক্ত বার্তা যাবে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির কাছে অন্তত এ বার্তা পৌঁছাবে– এসব অপরাধ করে পার যাওয়া যায় না। বিচার একদিন হবেই। এ বার্তাটা আমাদের সমাজে নেই বললেই চলে।

;

দেশে বীজের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় মাত্র ৩০ শতাংশ: পিকেএসএফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর মহাব্যবস্থাপক ড. মো. আব্দুল মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ কিন্তু এ দেশে বীজের চাহিদার তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দেশে বীজের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় মাত্র ৩০ শতাংশ। আমাদের মূল উদ্দেশ্য উন্নত বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক ফলন করা। উন্নত বীজ ব্যবহার করলে ১৫ থেকে ২০ ভাগ ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে "মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা পূরণে পিকেএসএফ -এর উদ্যোগ " শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে পল্লী কর্ম- সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট, সেখানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সেমিনারে আরও বলা হয়, দেশের কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে দেখা যায় ২০২২-২৩ বছরে বিভিন্ন ফসলের মোট বীজের চাহিদা ১২ লাখ ১০ হাজার ৩৫১ মে. টন হলেও বিএডিসি, ডিএই ও বিএমডিএ এর উৎপাদিত বীজ এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত বীজের পরিমাণ ৩ লাখ ৬১ হাজার ২৬৪ মে. টন। যা মোট দেশীয় চাহিদার মাত্র ৩০%।

শস্যভিত্তিক বিবেচনায় ধান, গম, ডাল ও তেল ফসলের ক্ষেত্রে এর শতকরা হার যথাক্রমে ৬৪, ৪৩, ১২ ও ২১। পিকেএসএফ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় ৪টি সহযোগী সংস্থা ও কৃষক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে ফসলের বীজ উৎপাদন (ধান, সরিষা, ডাল, পেঁয়াজ বীজ) করছে। তবে সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে এ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।

এ সময় বক্তারা দেশের কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্তারোপ করার কথা বলেন।

পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন এর উপদেষ্টা আনোয়ার ফারুক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণাইনষ্টিটিউট (ব্রি) এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর সদস্য পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

;

চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যান চাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সড়ক দুর্ঘটনা/ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ শোলক বহর এলাকায় কাভার্ডভ্যান চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মো. রাশেদ (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শোলক বহর এলাকার এন মোহাম্মদ প্লাস্টিকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাশেদ নগরীর নিউ ডবলমুরিং বড়পুর এলাকার মৃত হাসানের ছেলে।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক আখতার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পরে ওই যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশিক বলেন, ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় হঠাৎ মোটরসাইকেল আরোহী পড়ে যায়। এসময় পেছন থেকে কাভার্ডভ্যান তাকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থা চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

;

শিক্ষকদের আন্দোলন: ‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে যা জানালো অর্থ মন্ত্রণালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রত্যয় স্কিম

প্রত্যয় স্কিম

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষিত ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। এমন পরিস্থিতিতে ‘প্রত্যয়’ স্কিমের কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় স্কিম যাত্রা শুরু করে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ১ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয়’ স্কিম যাত্রা শুরু করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনয়নের লক্ষ্যে অন্যান্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়েছে।

বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (সিপিএফ) আওতাধীন।

সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন, কোনো পেনশন পান না। তাছাড়া সরকারি, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ একটি সুগঠিত পেনশনের আওতা বহির্ভূত থাকায় সরকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে একটি সুগঠিত পেনশন কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবর্তন করেছে।

প্রত্যয় স্কিমের যে বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয়েছে

>> গত অর্থবছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত যে সব শিক্ষক/কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত আছেন তারা পূর্বের ন্যায় সব পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

>> বর্তমানে সরকারি পেনশনে আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। ফলে, পেনশনের যাবতীয় ব্যয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদত্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে মেটানো হয়। ১ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে ফান্ডের ডিফাইন্ড কন্টিবিউটরি সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা চালু হবে বিধায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক জমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা যা কম হবে তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন থেকে কাটা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। অতঃপর উভয় অর্থ ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্পাস অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

>> আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় যা দীর্ঘমেয়াদে কোনোক্রমেই টেকসই ব্যবস্থা নয়। অপরদিকে ফান্ডেড কন্টিবিটরি পেনশন সিস্টেমে প্রাপ্ত কন্ট্রিবিউশন এবং বিনিয়োগ মুনাফার ভিত্তিতে একটি ফান্ড গঠিত হবে বিধায় এটি দীর্ঘমেয়াদে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে।

>> নতুন পেনশন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব হবে। এতে ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন এবং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

>> কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রটেকশন ও পে প্রটেকশন প্রাপ্ত হন বিধায় এটিকে নতুন নিয়োগ হিসাবে গণ্য করা হয় না। সেক্ষেত্রে তার বিদ্যমান পেনশন সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী যারা ২০২৪ সালের ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন কেবলমাত্র তারা প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

>> সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন প্রাপ্তির উল্লেখ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছর থেকে অবসরে যাবেন বিধায় ৬৫ বছর থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। এক্ষেত্রে সরকার আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।

>> লাম্পগ্রান্ট ও পিআরএল অর্জিত ছুটি প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয় বিধায় ছুটি জমা থাকা সাপেক্ষে তা বহাল থাকবে।

>> কন্ট্রিবিউটরি পেনশন সিস্টেমে অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এককালীন নয় বরং মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করাই অগ্রগণ্য বিধায় এক্ষেত্রে আনুতোষিকের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বরং বিদ্যমান মাসিক পেনশনের কয়েকগুণ বেশি মাসিক পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে মাসিক ৫০০০ টাকা বেতন থেকে কাটা হলে একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা প্রদান করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১,২৪,৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন। তার নিজ আয়ের মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা এবং তিনি যদি ১৫ বছর ধরে পেনশন পান সেক্ষেত্রে তার মোট প্রাপ্তি হবে ২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা যা তার জমার প্রায় ১২.৫ গুণ। পেনশনার পেনশনে যাবার পর ৩০ বছর জীবিত থাকলে তার জমার প্রায় ২৫ গুণ অর্থ পেনশন পাবেন।

>> বিদ্যমান ব্যবস্থায় পেনশনার আজীবন পেনশন পান। তার অবর্তমানে পেনশনারের স্পাউজ (স্বামী/স্ত্রী) এবং প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পান। নতুন পেনশন ব্যবস্থায়ও পেনশনার আজীবন পেনশন পাবেন। পেনশনারের অবর্তমানে তার স্পাউজ (স্বামী/স্ত্রী) বা নমিনি পেনশনারের পেনশন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর হিসাবে যে সময় অবশিষ্ট থাকবে সে পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন পেনশনার অবসরে যাবার পর পেনশন ভোগরত অবস্থায় ৫ বছর পেনশন পেয়ে তারপর মারা গেলেন। এক্ষেত্রে তার স্পাউজ বা নমিনি আরো ১০ বছর পেনশন পাবেন।

;