সাপাহারে আমের হাটের রাস্তায় জমা পানি, ঘটছে দুর্ঘটনা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর সাপাহার জেলার বৃহত্তর আমের হাট। সকালে থেকে সন্ধ্যা অব্ধি আম কেনাবেচায় মুখরিত হয়ে উঠে রাস্তার দুপাশ। দূর-দূরান্ত থেকে প্রান্তিক আম চাষিরা সকাল থেকে বিভিন্ন পরিবহনযোগে বিভিন্ন জাতের আম আনছেন হাটে। প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল হাট এখন জমজমাট কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার দুপাশে জমছে পানি, এতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন গাড়ি চালকরা।

রোববার (২৩ জুন) সরেজমিনে বিকেলের দিকে সাপাহার আম বাজারে গিয়ে দেখা যায় আম চাষিরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, ট্রলি,ভ্যানযোগে আমের হাটে আম এনে পাইকারদের জন্য অপেক্ষা করছে রাস্তার দুপাশে। পানি ও কাদা জমে থাকার কারনে প্রধান সড়ক থেকে নিচে গাড়ি নামালেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে আমভর্তি যানবাহন। ভোগান্তির কারণে অতি শীঘ্রই রাস্তার দুপাশ সংস্কারের আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় ও আম ব্যবসায়ীরা।

গাড়ি চালক আব্দুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাপাহার বাজারে কৃষকদের আম নিয়ে আসি যতক্ষন না আমগুলো বিক্রি হচ্ছে ততক্ষন রাস্তার পাশে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। আজকে গাড়িটা রাস্তার ধারে একটু নামাতেই ছিটকে দূরে পড়ে যাই, ভাগ্যে ভালো তাই তেমন ক্ষতি হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার দুপাশে কাদা-পানি জমে থাকে এতে আমাদের খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হয়। অতি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও রাস্তার দুপাশ মেরামত করলে আমাদের সবার জন্য সুবিধা হবে।

পোরশা উপজেলার মোখলেছুর রহমান জানান, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার দুপাশে পানি জমে থাকে মাঝেমধ্যে দেখি গাড়িগুলো পড়ে যায় বিষয় টা দেখতেও খারাপ লাগে। হাটের যারা দায়িত্বে আছেন তাদের জরুরীভাবে রাস্তা মেরামত করে দেওয়া উচিত।

শরিয়তপুর থেকে আসা আম ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, আমি আমের পাইকারী ব্যবসায়ী এখান থেকে আম কিনে বিভিন্ন অঞ্চলে আম পাঠাই। আমি বিগত কিছুদিন ধরে খেয়াল করলাম সামান্য পানি জমলেই কাদা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা ধার এতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে গাড়িগুলো। যেহেতু এই হাটে লক্ষ লক্ষ টাকার আম কেনাবেচা হয় সেক্ষেত্রে রাস্তার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকা দরকার। এখানে আড়তদার সমিতি আছে, আম থেকে অনেক টাকা তারা কমিশন পায় সে টাকা থেকেও তো রাস্তার দু পাশে মেরামত করে দেয়া যায়। যারা গাড়ি নিয়ে আম বিক্রি করতে আসছেন তাদের জন্যেও সুবিধা হবে রাস্তা ভালো থাকলে। রাতের বেলা আরো বেশি দের্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকে।

এ বিষয়ে সাপাহার উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিষয়টি অবগত হলাম আমি হাটের ইজারাদারকে বলে দিচ্ছি তারা মেরামত করে দিবে।

কক্সবাজারে আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্য গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার থেকে জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) মধ্যরাতে র‍্যাব-১৫ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় উগ্রবাদী পুস্তিকা, লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির ম্যানুয়াল উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১৫ এর মিডিয়া কর্মকর্তা আবু সালাম চৌধুরী। তিনি বলেন, তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য শুক্রবার সকাল এগারোটার দিকে র‍্যাব-১৫ সদরদপ্তরে ব্রিফিং করবেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক।

;

চট্টগ্রামে মার্কেটে আগুন, ধোঁয়ায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
রিয়াজউদ্দিন বাজারে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড/ছবি: বার্তা২৪.কম

রিয়াজউদ্দিন বাজারে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন রিয়াজউদ্দিন বাজারে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধোঁয়ায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় আরও দুই মহিলাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত দেড়টার দিকে নগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন রিয়াজউদ্দিন বাজারে মোহাম্মদিয়া প্লাজা মার্কেটের ব্রাদার্স টেলিকম নামে একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেটা পাশের রেজওয়ান কমপ্লেক্সেও ছড়িয়ে পড়ে।

নিহত দুইজন হলেন সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাড়িয়ান টাঙ্গা এলাকার মো. শামসুল আলমের ছেলে রেদোয়ান (৪৫) ও বাংলাবাজার মির্জারখিল কুতুব পাড়ার বেঠা মিয়ার ছেলে মো. শাহেদ (১৮)। বাকি একজন ও আহত দুই মহিলার নাম পরিচয় জানা যায়নি।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশিক বলেন, গতরাতে রিয়াজউদ্দিন বাজারের রিজওয়ান কমপ্লেক্স ও মোহাম্মদিয়া প্লাজায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ তলার বাসা থেকে বের হতে না পেরে আগুনের ধোঁয়ায় নিশ্বাস নিতে না পেরে অজ্ঞান হওয়াতে ৫ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বাকি দুইজন মহিলাকে ৩৬ নম্বর ওর্য়াড়ে ভর্তি দেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক জানান, ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে রাত ১টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে আগ্রাবাদ, নন্দনকানন, চন্দনপুরা ও লামারবাজার ফায়ার স্টেশনের নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর সাড়ে পাঁচটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তিনি আরও জানান, পাশাপাশি দুটি মার্কেট। ঢোকার রাস্তা সেভাবে নেই, একেবারেই অপ্রশস্ত। এজন্য আমাদের কাজ করতে খুব সমস্যা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করি। তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দুইজন মারা যান। আগুনের ধোঁয়ায় নিশ্বাস আটকে তাদের মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানানো যাবে।

কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মো. মহিউদ্দিন জানান, আগুন লেগেছে মোহাম্মদিয়া প্লাজা নামে একটি মার্কেটের দোকানে। সেখানে মোবাইলের বিভিন্ন সরঞ্জাম ছিল। শুক্রবার মার্কেট বন্ধ থাকায় অনেকেই বাড়িতে চলে গেছেন। না হলে হতাহতের পরিমাণ আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবন ছিল। যারা মারা গেছেন তারা মার্কেটের ওপর তলায় ঘুমিয়ে ছিলেন।

;

ডিমের দামে অস্থিরতা কাটেনি, বিপাকে ক্রেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুরবানি ঈদের পর হাঠাৎ করেই ডিমের বাজারে শুরু হয় অস্থিরতা। অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। এক লাফে ডজন প্রতি বেড়ে যায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা কমলেও অস্থিরতা এখনো কাটেনি।

এদিকে ডিমের দামের কারসাজির পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে খুচরা ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় কিছুটা বাড়তি ডিমের দাম। তবে গেলো সপ্তাহের চাইতে প্রতি ডজন ডিমের দাম কমেছে অন্তত দশ টাকা৷ এদিকে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য নিত্য পণ্যের মূল্য।

শুক্রবার ( ২৮ জুন) রাজধানীর কাওরানবাজার সহ আশেপাশের বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায় গেল সপ্তাহের চেয়ে অন্তত ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ডিম।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গেলো সপ্তাহে খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো তা আজ ১০/১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫/১৫০ টাকা করে। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা ডজন। তবে পাড়া-মহল্লায়র মুদি দোকানে এখনো ১৬০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগীর ডিম।

কারওয়ান বাজারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আকরাম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডিমের দাম এখন আর আমাদের সাধ্যের মধ্যে নাই। দিন দিন ডিমের দামও বাড়ছে। এভাবে ডিমের দাম বাড়লে আমরা খাবো কি। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা এখন ডিম মজুদ করে। কোল্ডস্টোরে গেলে দেখবেন ডিমের অভাব নাই। দ্রুত বাজার তদারকি করে এর থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।

এদিকে ফার্মের ব্রয়লার মুরগির দামও গেলো সপ্তাহের চাইতে ১০ টাকা বেড়ে ১৭৫/১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালী মুরগি ৩৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৭৮০ টাকা কেজি, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে সব ধরণের সবজির। তবে বৃষ্টির অজুহাতে এখনো ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। আর শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়া লেবু প্রতি হালি ২০/৩০ টাকা, ধনেপাতা ২০ টাকা মুঠি। অন্যান্য সবজির দামও রয়েছে গত সপ্তাহের দামেই। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০/৫০ টাকা কেজি, কচুর মুখি ৮০ টাকা কেজি, বরবটি ৭০/৮০ টাকা কেজি, আলু ৫৫ টাকা কেজি, ধুন্দল ৫০/৬০ টাকা কেজি, কাঁকরোল ৬০ টাকা কেজি, পটল ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের বাজারের চিত্র ছিলো কিছুটা ভিন্ন। প্রকারভেদে সব ধরণের মাছের দাম ছিলো কিছুটা নিম্নমুখী। এদিন প্রতি কেজি ছোট চিংড়ি মাছ বিক্রি হয়েছে ৭০০/৮০০ টাকা কেজি। আর বড় চিংড়ি ৮০০/৯০০ টাকা কেজি। রুই মাছ প্রকারভেদে ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। পাবদা মাছ ৪০০/৫০০ টাকা কেজি, টেংরা ৩৫০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ ১৮০ /২২০ টাকা কেজি, আইড় মাছ গত সপ্তাহে ১২০০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা কেজি। এছাড়া তুলার ডাটি মাছ ৫০০ টাকা কেজি, এছাড়া সাধারণ চাষের রুই মাছ ২৬০ টাকা কেজি, নলা মাছ ২০০ টাকা কেজি, বাটা মাছ ২০০ টাকা কেজি, কার্ফু মাছ ১৮০/২০০ টাকা কেজি, সরপুটি ২০০ টাকা কেজি, সিলভার কার্প ১৬০/১৮ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ১৭০/১৮০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৪০০ টাকা প্রতি কেজি।

;

চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হামকো কর্পোরেশন নামে একটি ঢাকার প্রতিষ্ঠান ওয়াটার পিউরিফায়ার আমদানির ঘোষণায় আনা কনটেইনার ভর্তি বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।       

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কাস্টমস কর্মকর্তারা ওই কন্টেইনারে তল্লাশি চালিয়ে এসবে সিগারেট জব্দ করেছে।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, হামকো কর্পোরেশন লিমিটেড নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান ওয়াটার পিউরিফায়ার আমদানি করা একটি ২০ ফুটের কন্টেইনার বুধবার দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ওই কন্টেইনারটি তল্লাশি করা হয়। কাস্টমসের নিরীক্ষা, অনুসন্ধান ও গবেষণা (এআইআর) শাখা কায়িক পরীক্ষায় ২ হাজার ৫০০ কার্টুন মন্ড সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া ২৫০টি প্যাকেজে ৫০ লাখ শলাকা সিগারেট উদ্ধার করে তা আটক করা হয়েছে। আপেল ও স্ট্রবেরি ফ্লেভারের মন্ড সিগারেটগুলো ওয়াটার পিউরিফায়ারের নামে আমদানি করার চেষ্টা করছিলে তারা। 

ঢাকার ওই প্রতিষ্ঠানটি দ্যা সিটি ব্যাংক লিমিটেড থেকে এলসি নিয়ে ব্যাংককের এশিয়ান গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আনে। 'KOTAANGGUN' নামে একটি ভ্যাসেলে কন্টেইনারটি আনা হয়েছে। 

রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (ডিসি) এ কে এম খায়রুল বাশার জানান, আটক কার্যক্রম শেষ করার পর কত টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছিলো তা জানা যাবে। স্থানীয় পর্যায়ে বিদেশি সিগারেট উৎপাদন ব্যাহত করার চেষ্টায় অবৈধভাবে বিদেশ হতে সিগারেটগুলো আনা হয়েছে। তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

;