ডিমের দামে অস্থিরতা কাটেনি, বিপাকে ক্রেতারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ডিম

ডিম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুরবানি ঈদের পর হাঠাৎ করেই ডিমের বাজারে শুরু হয় অস্থিরতা। অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। এক লাফে ডজন প্রতি বেড়ে যায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা কমলেও অস্থিরতা এখনো কাটেনি।

এদিকে ডিমের দামের কারসাজির পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে খুচরা ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় কিছুটা বাড়তি ডিমের দাম। তবে গেলো সপ্তাহের চাইতে প্রতি ডজন ডিমের দাম কমেছে অন্তত দশ টাকা৷ এদিকে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য নিত্য। 

শুক্রবার ( ২৮ জুন) রাজধানীর কাওরানবাজার সহ আশেপাশের বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায় গেল সপ্তাহের চেয়ে অন্তত ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ডিম।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গেলো সপ্তাহে খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো তা আজ ১০/১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫/১৫০ টাকা করে। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা ডজন। তবে পাড়া-মহল্লায়র মুদি দোকানে এখনো ১৬০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগীর ডিম।

কারওয়ান বাজারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আকরাম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডিমের দাম এখন আর আমাদের সাধ্যের মধ্যে নাই। দিন দিন ডিমের দামও বাড়ছে। এভাবে ডিমের দাম বাড়লে আমরা খাবো কি। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা এখন ডিম মজুদ করে। কোল্ডস্টোরে গেলে দেখবেন ডিমের অভাব নাই। দ্রুত বাজার তদারকি করে এর থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।

এদিকে ফার্মের ব্রয়লার মুরগির দামও গেলো সপ্তাহের চাইতে ১০ টাকা বেড়ে ১৭৫/১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালী মুরগি ৩৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৭৮০ টাকা কেজি, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে সব ধরণের সবজির। তবে বৃষ্টির অজুহাতে এখনো ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। আর শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়া লেবু প্রতি হালি ২০/৩০ টাকা, ধনেপাতা ২০ টাকা মুঠি। অন্যান্য সবজির দামও রয়েছে গত সপ্তাহের দামেই। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০/৫০ টাকা কেজি, কচুর মুখি ৮০ টাকা কেজি, বরবটি ৭০/৮০ টাকা কেজি, আলু ৫৫ টাকা কেজি, ধুন্দল ৫০/৬০ টাকা কেজি, কাঁকরোল ৬০ টাকা কেজি, পটল ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের বাজারের চিত্র ছিলো কিছুটা ভিন্ন। প্রকারভেদে সব ধরণের মাছের দাম ছিলো কিছুটা নিম্নমুখী। এদিন প্রতি কেজি ছোট চিংড়ি মাছ বিক্রি হয়েছে ৭০০/৮০০ টাকা কেজি। আর বড় চিংড়ি ৮০০/৯০০ টাকা কেজি। রুই মাছ প্রকারভেদে ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। পাবদা মাছ ৪০০/৫০০ টাকা কেজি, টেংরা ৩৫০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ ১৮০ /২২০ টাকা কেজি, আইড় মাছ গত সপ্তাহে ১২০০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা কেজি। এছাড়া তুলার ডাটি মাছ ৫০০ টাকা কেজি, এছাড়া সাধারণ চাষের রুই মাছ ২৬০ টাকা কেজি, নলা মাছ ২০০ টাকা কেজি, বাটা মাছ ২০০ টাকা কেজি, কার্ফু মাছ ১৮০/২০০ টাকা কেজি, সরপুটি ২০০ টাকা কেজি, সিলভার কার্প ১৬০/১৮ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ১৭০/১৮০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৪০০ টাকা প্রতি কেজি।

‘দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বদলি শাস্তি হতে পারে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের এক দফতর থেকে আরেক দফতরে বদলি কোনো কার্যকরী শাস্তি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া দরকার।

রোববার (৩০ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা লিখেন সরকারের সাবেক এই শীর্ষ কূটনৈতিক।

এ কে আব্দুল মোমেনের স্ট্যাটাস

আব্দুল মোমেন মনে করেন, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদের সঠিক হিসাব বের করতে হবে। অবশ্যই তাকে দ্রুত চাকরিচ্যুত করতে হবে। বদলি শাস্তি হতে পারে না।

তিনি আরও লিখেছেন, মনে রাখতে হবে, সরকারি চাকরিজীবীর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ও সম্পদ হচ্ছে তার চাকরি। দুর্নীতিপরায়ণরা জনগণের শত্রু, দেশের শত্রু।

সম্প্রতি পুলিশের সাবেক কর্তাসহ সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও বিপুল সম্পত্তির তথ্য উঠে আসছে। যা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।

;

যশোরে ভাবীকে হত্যার দায়ে দেবরের ফাঁসি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত

ছবি: যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার গৃহবধু জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি হত্যা মামলায় তার দেবর বিমান বাহিনীর সাবেক কর্পোরাল প্রভোস্ট মোহাম্মদ শাহবুদ্দিনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত মোশারফের ছেলে।

একইসাথে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী জুলফিকার আলী ও শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক সুরাইয়া খাতুন এই রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল স্বামী জুলফিকার আলীর সাথে মোবাইলে কথা বলছিলেন তুলি। এসময় দেবর শাহাবুদ্দিন তার ঘরে প্রবেশ করলে শ্বাশুড়ি ফরিদা তার ঘরের দরজা আটকে দেয়। এরপর শাহবুদ্দিন ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে তুলিকে কুপিয়ে জখম করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে শাহাবুদ্দিন ও তার মা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা তুলিকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে। পরে সিএমএইচ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পরের দিন দুই সন্তানের জননী তুলি মারা যায়।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তুলির দেবর, শ্বাশুড়ির সাথে তার স্বামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তুলির স্বামী জুলফিকার আলীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এ হত্যায় তার স্বামীর প্রত্যক্ষ মদদ ছিল।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তুলির দেবর মোঃ শাহাবুদ্দিনকে ফাঁসি ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। একইসাথে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী জুলফিকার আলী ও শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দণ্ডিত আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এদিকে এ রায়ে পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট না মামলার বাদী পক্ষ। নিহত তুলির ভাই নূর আলম জানান, তার বোনকে হত্যার পেছনে জড়িত সকলের শাস্তি হওয়া উচিৎ । তারা অপর দুই আসামির শাস্তি নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

;

৬ মাসের মধ্যে রোবটিক সার্জারি শুরু হতে যাচ্ছে রংপুরে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাবেদ আখতার এ তথ্য জানান

সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাবেদ আখতার এ তথ্য জানান

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে এগিয়ে নিতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে রংপুরে রোবটিক সার্জারির মাধ্যমে জটিল অস্ত্রোপচার শুরু হতে যাচ্ছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্ট (এআই) ব্যবহারের মাধ্যমে রোবটিক সার্জারিতে দেহের অপ্রশস্ত ও জটিল স্থানে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাবেদ আখতার। 

রোববার (৩০ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান তিনি।

এতে করে ইউরোলজি, গাইনোকলজি, ক্লোলোরেকটাল সার্জারি, হেপাটোবিলিয়ারী ও অ্যাবডোমিনাল ওয়াল রিকন্সট্রাকশন সার্জারি সহজ হবে এবং সার্জনদের শতকরা ৭০ ভাগ কাজের চাপ কমবে। রোবটিক সার্জারির মাধ্যমে খরচ বেশি হলেও অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত জটিলতা, রক্তপাত ও সংক্রমণের হার কমে আসবে।

দেশের তরুণ সার্জনদের রোবটিক সার্জারি বিষয়ে ফেলোশিপ করাসহ রোবটিক সার্জারিতে উদ্বুদ্ধ করতে আগামী ৫ জুলাই রংপুরে বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

ডা. জাবেদ আখতার জানান, ওপেন সার্জারির পাশাপাশি এখন মানবদেহে ছোট ফুটা করে ল্যাপারোস্কপি সার্জারি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু ল্যাপারোস্কপি সার্জারির কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। রোবটিক সার্জারিতে অপারেশনের স্থান ভাল ও স্পষ্ট দেখার জন্য এখানে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন থ্রিডি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।

তিনি আরও জানান, সার্জারিতে বিশ্বের ৯৩ ভাগ রোবট ব্যবহার করা হয় আমেরিকা, ইউরোপ ও জাপানে। এবং পৃথিবীর বাকি দেশে মাত্র ৭ ভাগ রোবট ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে ভারতে প্রায় দেড়শ রোবট রয়েছে। এমনকি নেপালেও রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো রোবট নেই। আমি বাংলাদেশের হয়ে প্রথম রোবটিক সার্জারিতে ফেলোশিপ করেছি। রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খুব দ্রুতই আধুনিক রোবট এনে রোবটিক সার্জারি শুরু করা হবে। এটি হলে রোগীদের দেশের বাহিরে চিকিৎসা করাতে হবে না এবং প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ হৃদয় রঞ্জন রায়, রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডাঃ আয়েশা নাসরিন সুরভী, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মিজানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ আহসানুর আপেল।

;

কুসিকের ১০৪৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
বাজেট ঘোষণা করেন কুসিক মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা।

বাজেট ঘোষণা করেন কুসিক মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা।

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের এক হাজার ৪৪ কোটি ৫০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬৪ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) দুপুরে নগর ভবনের অতীন্দ্র মোহন রায় সম্মেলন কক্ষে এ বাজেট ঘোষণা করেন কুসিক মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা। নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম নারী মেয়র হিসেবে সূচনার এটাই প্রথম বাজেট।

বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রস্তাবিত বাজেটে মোট নিজেস্ব রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭৯ কোটি ৩৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা। উন্নয়ন অনুদান ধরা হয়েছে ৮৩৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। মোট আয় ও প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৯১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রারম্ভিক তহবিল ধরা হয়েছে ১২৯ কোটি ৫৩ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৪ টাকা।

অপরদিকে নিজস্ব রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৩ টাকা। সমাপনী তহবিল ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮১ টাকা।

বাজেট ঘোষণা বক্তব্যে মেয়র সূচনা বলেন, নগরবাসীর সুবিধার্থে হোল্ডিং ট্যাক্সসহ কোনো ধরনের অযৌক্তিক কর আরোপ করা হবে না। তবে বকেয়া কর আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা নগরীকে অপরিকল্পিত নগরায়ন থেকে মুক্ত করা, যানজট, জলাবদ্ধতা নিরসন, অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ, অনুমোদনবিহীন ভবন চিহিৃত করা, ছাদ বাগানসহ নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

এবিষয়ে তিনি নগরীরবাসীকেও সহায়তার আহ্বান জানান। এছাড়াও সরকারি অর্থায়নে নতুন নগর ভবন নির্মাণসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মেয়র।

বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কুসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী জিপি চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া, মাইনউদ্দীন চিশতী, প্যানেল মেয়র হাবিবুল আল আমিন সাদি, মনজুর কাদের মনি, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমানসহ কুসিকের সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ।

;