হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা কাতলা: ‘বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা কাতলা, বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত: বলছেন গবেষকরা

হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা কাতলা, বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত: বলছেন গবেষকরা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর হাটহাজারী অংশ থেকে এবার দুটি বড় মৃত কাতলা মাছ ভেসে উঠেছে। গবেষকরা এটিকে হালদার বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছেন।

শুক্রবার (২৮ জুন) হাটহাজারী উপজেলার হালদা নদীর পৃথক দুটি স্থান থেকে মাছগুলোকে উদ্ধার করা হয়।

হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, হালদায় আজ আবার দুটি মৃত কাতলা মা মাছ ভেসে উঠেছে। প্রথমটি হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার কুমারখালি ঘাটে পাওয়া যায়। এই কাতলা মাছটির সে.মি. লম্বা, ওজন প্রায় ১৬ কেজি। অন্যটি কুমারখালী ঘাটের সামনে সুলতানা বাপের ঘাটে পাওয়া যায়। যার দৈর্ঘ্য ৮৫ সে.মি. ও ওজন প্রায় ১০ কেজি।

তিনি আরও বলেন, প্রথম মাছটির কানকোর নিয়ে বঁড়শির আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় এবং দ্বিতীয় মাছটি পঁচে গলে যাওয়ায় কোনো এখনো আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা যায়নি।

বারবার মরা মাছ ভেসে উঠাকে হালদার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আঘাত বলছেন এই হালদা গবেষক। তিনি বলেন, এটি হালদার বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।

এর আগে গত বুধবার (২৬ জুন) দুপুরের দিকে রাউজান উপজেলার উরকিরচর বাকর আলী চৌধুরীঘাট অংশে ১০ কেজি ওজনের একটি মৃত রুই মাছ ভেসে উঠেছিল।

সেদিন স্থানীয় ইউপি সদস্য কাওছার আলম জানিয়েছেন, স্থানীয়রা মা মাছটি দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হই। মাছটি পচে যাওয়ায় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল তাই দ্রুত মাটি চাপা দিয়েছি। গত কয়েক দিন আগেও ১২ কেজি ওজনের একটি কাতলা মা মাছ মরে ভেসে উঠেছিল।

তবে মাছটিতে বিষ দিয়ে মারা হয়েছে বলে ধারণা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও হালদা গবেষক অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া।

তিনি বলেন, হালদায় মা মাছ ভেসে উঠলে অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত। কারণ কিভাবে এ মাছ মারা গেছে সেটি গবেষণা করে দেখার একটি বিষয় থাকে। মা মাছটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি বিষক্রিয়ার মাধ্যমে মারা হয়েছে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবারও মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কু‌ড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদ‌লিয়া ইউনিয়‌নের অর্জুন লালমস‌জিদ এলাকার আবু তাহের (৫৬) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৭) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন দলদ‌লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী।

তি‌নি জানান, রাত ৮টার দিকে রাসেল মিয়া বা‌ড়ীতে বৈদ্যুতিক বোর্ডের কাজ করছিল। এ সময় সে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে ছেলের আর্তনাদে বাবা আবু তাহের সন্তানকে উদ্ধারের জন্য এ গিয়ে আসেন। পরে বাপ-ছেলে দুজনই ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) গোলাম মর্তুজা জানান, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পুলিশ পাঠা‌নো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপর দিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপ‌জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আজাদ আলী (৫৫) নামের এক অ‌টো‌রিকশা চালকের মৃত্যু হয়। তি‌নি উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ পূর্বটারী গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। নিহত আজাদ তার অটোরিকশা‌টি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চি‌কিৎসক তাকে মৃত‌ ঘোষণা করেন।

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবা‌সিক মেডিকেল অ‌ফিসার (আরএমও) আহসানুল ক‌রিম।

তিনি জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

;

জুন মাসে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৮ জনের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এক শিশু।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এক শিশু।

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জুন মাসে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৮ জনের।

রোববার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন। এ নিয়ে চলতি মাসে মোট ভর্তি হয়েছেন ৭৯৮ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু হওয়ার জন্য এখন সিজন লাগে না, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এর প্রোকোপ বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।

;

বগুড়ায় বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার গাবতলীতে একটি ট্রেনের তিনটি বগী লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড় ও লালমনিহাটের সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) রাত পৌনে ৯ টার দিকে গাবতলী রেল স্টেশনের প্রবেশ মুখে ট্রেনের বগী লাইনচ্যুত হয়।

বগুড়া রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সান্তাহার থেকে বোনারপাড়াগামী কলেজ ট্রেন নামের লোকাল ট্রেনটি বগুড়া রেল স্টেশন থেকে বোনারপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় রোববার রাত সোয়া ৮ টায়। ট্রেনটি গাবতলী স্টেশনে প্রবেশ করার আগেই পিছনের তিনটি বগী লাইনচ্যুত হয়। গাবতলী রেল স্টেশনে ট্রেনটির যাত্রা বিরতি ছিল, একারণে গতি কম থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও জানান, ট্রেন লাইন চ্যুত হওয়ার কারণে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস, সান্তাহারগামী করতোয়া এক্সপ্রেস ও সান্তাহারগামী লোকাল ট্রেন গুলো বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে আছে। লাইনচ্যুত হওয়া বগী তিনটি উদ্ধারের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

;

নওগাঁয় বজ্রপাতে নিহত ১, আহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর রাণীনগরে বজ্রপাতে আনোয়ার (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দু’জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

রোববার (৩০ জুন) বিকালের দিকে উপজেলার বেলঘড়িয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

নিহত আনোয়ার বেলঘড়িয়া গ্রামের আনছারের ছেলে। আহত দু’জন একই গ্রামের রাজ্জাক (৩৭) ও ছানাউল্লা (৫৫)। আহত দু’জনকে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন- রোববার বিকালে আনোয়ার, রাজ্জাক ও ছানাউল্লাসহ বেশ কয়েকজন মিলে আনোয়ারের বাড়ির পাশে জায়গা-জমি মাপার করছিল। জমি মাপা শেষে বিকাল ৪টার দিকে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এমতাবস্থায় আনোয়ার, রাজ্জাক ও ছানাউল্লা তিনজন একসঙ্গে জায়গার পাশে একটি ঘরের নিচে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ সময় বজ্রপাত হলে আনোয়ার, রাজ্জাক ও ছানাউল্লা তিনজন গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত রাজ্জাক ও ছানাউল্লাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে হস্তান্তর করেন।

;