ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, সিলেটে অপেক্ষায় যাত্রীরা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
কালনী এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো আটকা পড়েছে

কালনী এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো আটকা পড়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্রগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ২ বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীরা আটকা পড়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা পৌণে সাতটার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুর এলাকায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দুটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো আটকা পড়েছে। 

এদিকে, রাত ১০টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা ট্রেনের অপেক্ষা করছেন। অনেকে ট্রেন সঠিক সময়ে না আসায় বিকল পথ হিসেবে বাস ও মাইক্রোবাসে যাত্রা শুরু করেছেন। আবার কেউ কেউ বসে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন।

ট্রেনের অপেক্ষমান যাত্রী মোহাম্মদ খোকন বলেন, আখাউড়া যাওয়ার জন্য এসেছি। রাত ১০টায় ট্রেনে যাত্রা শুরু কথা থাকলেও ট্রেন এখনো আসেনি। কর্তৃপক্ষ বলছে অপেক্ষা করার জন্য। তাই এখানে বসে আছি।

কুলাউড়া যাওয়ার জন্য একইভাবে অপেক্ষা করছিলেন আনহার মিয়া। তিনি বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকায় ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কখন ট্রেন আসবে আর কখন বাড়ি যাব জানি না।

সালেহ আহমেদ নামে একজন বলেন, চট্রগ্রাম যেতে ট্রেনের অপেক্ষায় আছি। ট্রেন আসতে দেরি হবে। টিকিট কেটে ফেলেছি। এখন আর কি করবো অপেক্ষা করি দেখি কখন ট্রেন আসে।

যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, সিলেট রেল স্টেশন থেকে কুলাউড়াগামী বাস ও মাইক্রোবাসে ৫০-১০০ টাকা বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। চালকদের দাবি গাড়ি কম থাকায় তারা ৫০-১০০ টাকা ভাড়া বেশি ভাড়া নিচ্ছেন।

সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের ৬টি বগি মোগলাবাজার রেলস্টেশন নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিগুলো মাইজগাঁও রেলস্টেশনে নিয়ে রাখার কাজ চলছে। উদ্ধার কাজে আনুমানিক আরও ১-২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

এই রিপোর্ট রাত পৌণে ১১টায় লেখা পর্যন্ত ট্রেনের লাইন স্বাভাবিক হয়নি। উদ্ধার কাজ চলছে।

সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে কুতুব‌দিয়ার এক জেলে নি‌খোঁজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগ‌রে বৈ‌রি আবহাওয়ায় মাছ ধর‌তে গি‌য়ে কুতুব‌দিয়ার ম‌নির উ‌দ্দিন (২০) না‌মের এক জে‌লে নি‌খোঁ‌জের খবর পাওয়া গে‌ছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) গভীর রাতে কোন এক সময় ম‌নির বোট থে‌কে প‌ড়ে ডু‌বে যায় ব‌লে জানা গে‌ছে। ম‌নির উ‌দ্দিন উপ‌জেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আকবর বলী পাড়ার মৃত নুরুল আল‌মের পুত্র।

চট্টগ্রা‌মের বো‌টের মা‌লিক কাইছার জানান, গত সোমবার নোয়াখালীর উত্তর হা‌তিয়া চেয়ারম‌্যান ঘাট থে‌কে সাগ‌রে মাছ ধর‌তে যায়। ওই বো‌টে ম‌নির উ‌দ্দিন (২০) চাকরি করত। বো‌টের মা‌ঝি মঙ্গলবার মোবাই‌লে জানায়, রা‌তের বেলা দূুর্যোগ আবহাওয়ায় অজ্ঞা‌তে ম‌নির বোট থে‌কে প‌ড়ে যায়। তা‌কে এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়‌নি। খবর‌টি প‌রিবা‌রের কা‌ছে ফো‌নে জা‌নি‌য়ে উদ্ধার তৎপরতা চালা‌চ্ছে ব‌লেও জানান তি‌নি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউ‌পি) সদস‌্য মোহাম্মদ ই‌লিয়াছ ব‌লেন, ম‌নির উ‌দ্দি‌নের নি‌খোঁ‌জের খবর পে‌য়ে তার প‌রিবা‌রের সদস‌্যদের সা‌থে থানায় আসেন। সাধারণ ডা‌য়েরি করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

;

রাজবাড়ীতে বন্দুকসহ সম্রাট বাহিনীর সদস্য ইমন গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর পাংশায় তিনটি একনলা বন্দুকসহ সম্রাট বাহিনীর সক্রিয় সদস্য মো. ইমন মণ্ডলকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে পাংশার কলিমহর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের জিন্নাহ মণ্ডলের ছেলে।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামির নিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাংশা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

পাংশা মডেল থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলিমহর পূর্বপাড়ায় ইমনের বসত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ইমন পুলিশের নিকট স্বীকার করে, তার কাছে সম্রাট বাহিনীর তিনটি অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। সেই অস্ত্রগুলো তার চাচা নাছির উদ্দিন মণ্ডলের পুকুরের উত্তর -পশ্চিম কোনায় ঘাসের ভিতর লুকিয়ে রেখেছে। এরপর সেখান থেকে ইমন মণ্ডলের জিম্মায় থাকা দেশীয় তৈরি ৩টি সচল একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে ইমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

;

কক্সবাজারে বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
নিহত শিশু মো. রাকিব (৭)/ ছবি: সংগৃহীত

নিহত শিশু মো. রাকিব (৭)/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিনের টানা বর্ষণে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় সৃষ্ট বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে জালে আটকে মো. রাকিব (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৩ জলাই) বিকাল চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু রাকিব উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মরিচ‍্যা এলাকার আলি আকবরের ছেলে।

হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বাড়ির পাশে রাস্তার কালভার্টের নিচে মাছ ধরার জন‍্য তার বাবার পাতানো জালে মাছ লেগেছে কি না দেখতে যায় রাকিব। একপর্যায়ে পানির স্রোতের সঙ্গে সে জালের ভেতর ঢুকে আটকা পড়ে এবং জাল থেকে বের হতে না পেরে সেখানেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

;

কোটা ব্যবস্থা বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে বাধাগ্রস্থ করছে: জিএম কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য চাকরি লাভে বিশেষ বড় অংকের কোটায় চিরস্থায়ী বন্ধবস্ত করা হয়েছে। যা স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য বৈষম্যমুক্ত ন্যায়বিচার ভিক্তিক সমাজ গঠন বাধাগ্রস্থ করে বলে মনে করি।

বুধবার (৩ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

জিএম কাদের বলেন, একথা যেন আমরা ভূুলে না যাই যে, এ দেশের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম আন্দোলনে জয়লাভের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে ও যে কোনো পর্যায় যেতে প্রস্তুত থাকে। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের মূল অর্জন সংবিধান, সেখানে সুযোগ সুবিধাদির ক্ষেত্রে সাম্যের কথা বলা হয়েছে। আমাদের শহীদ মিনার বৈষম্য থেকে মুক্তি সংগ্রামের আত্মত্যাগের প্রতীক। আমাদের জাতীয় স্মৃতিশৌধ বৈষম্যহীন ন্যায় বিচারভিক্তিক নিজস্ব দেশে গঠনে অঙ্গীকারের প্রতীক।

কোটা পদ্ধতি নিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণি, তৃতীয় শ্রেণি এবং চতুর্থ শ্রেণিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটি ছিল। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতী গোষ্ঠির মানুষদের জন্য এবং এক শতাংশ প্রতিবন্ধিদের জন্য সংরক্ষিত কোটা। বাকি ৪৪ শতাংশ মেধায় নিয়োগ দেওয়া হতো। ২০১৮ সালে ছাত্রদের দাবি ছিল সরকারি চাকরিতে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি থেকে শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১ম ও ২য় শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল কোটা পদ্ধতি বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পূর্বের ন্যায় কোটা পদ্ধতি বহাল থাকে।

বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করে। গত ৫ জুন রিটের রায় প্রকাশ করে আদালত। সেখানে জনপ্রশাসন কর্তৃক পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত অংশটির বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করেন। ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চকরি প্রত্যাশি ও সাধারণ শক্ষার্থীরা সরকারের জারি করা সেই পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে পূনরায় মাঠে নামছে। যা নতুন সংকট সৃষ্টি করছে।

পুরান ঢাকার ৩৩নং ওয়ার্ডে মিরনজিল্লাহ হরিজন সুইপার কলোনী উচ্ছেদ প্রচেষ্টার কঠোর সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, হরিজনদের উচ্ছেদ করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে কিছু ঘর-বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অন্য বাড়িগুলো ভাঙার সময় বাচ্চারা রাস্তায় শুয়ে পড়েছিল। তখনই তাদের হুমকি দেওয়া হয় পরবর্তীতে আরো ঘর-বাড়ি ভেঙে দেওয়ার হবে। সিটি কর্পোরেশনে যারা চাকরি করে তাদের চাকুরিচ্যুত করা হবে।

তিনি বলেন, এই উচ্ছেদের উদ্দেশ্য হলো, সেখানে মার্কেট করা। বৃটিশ আমল থেকে বসবাসরত এই পরিবার গুলোকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ খুবই অমানবিক। এ মুহুর্তে মার্কেট তৈরির উদ্দেশ্যে অবহেলিত, অসহায়, অস্পৃশ্য পরিবারগুলোকে তাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করলে তা শুধু সরকারকে নয়, জাতিকে কলংকিত করবে। তাদেরকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ বন্ধ এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ এর ২০২৩ সালের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এখনও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধ হয়নি। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপিড়নে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মুসলিম জনগোষ্ঠির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির সদস্যদের ব্যবহার করে হয়রানি করা হচ্ছে। নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

;