মেঘনা নদীতে তলা ফেটে ডুবল জাহাজ, ৯৯৯-এ ফোনে ১০ ক্রু উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
মেঘনা নদীতে তলা ফেটে ডুবল জাহাজ, ৯৯৯-এ ফোনে ১০ ক্রু উদ্ধার

মেঘনা নদীতে তলা ফেটে ডুবল জাহাজ, ৯৯৯-এ ফোনে ১০ ক্রু উদ্ধার

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের মেঘনা নদীতে তলা ফেটে জিপসামবাহী একটি পণ্যবাহী জাহাজ (কার্গো জাহাজ) ডুবে গেছে। তবে কার্গোর মাস্টার, গ্রিজার, লস্করসহ ১০ ক্রুকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া ক্রুরা হলেন- চালক মো. রেজাউল করিম, গ্রিজার মো. ফয়সাল, লস্কর রাজিব, রিফাত শেখ, রাহাত, ইয়াসিন হাওলাদার, সুকানী কবির, আলমগীর, এনায়েত হোসেন সরদার ও মাস্টার মো. নোমান।

বুধবার (৩ জুলাই) বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ডুবে যাওয়া ওই কার্গো জাহাজটির নাম এমভি প্রিন্স অব বৈশাখালী।

ডুবে যাওয়া নৌযানটির নাবিকের বরাতে মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওমর ফারুক জানান, গত ২৮ জুন পায়রা বন্দর থেকে ৯০০ টন জিপসাম নিয়ে ‘এমভি প্রিন্স অব বৈশাখালী’ নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২ জুলাই কার্গোটি মেঘনা নদীর মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকায় এসে নোঙর করে।

তিনি জানান, বুধবার সকালে অন্যান্য কার্গোর সঙ্গে ওই জাহাজটি নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে কিছু একটার সঙ্গে কার্গোটির সামনের অংশের তলদেশে ধাক্কা লাগে। এতে কার্গোর ভেতরে পানি ঢুকে ধীরে ধীরে ডুবতে থাকলে নাবিকরা দ্রুত সেটিকে পার্শ্ববর্তী চরের উদ্দেশ্যে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তার আগেই কার্গোটি মেঘনায় ডুবে যায়। এদিকে জাহাজে থাকা নাবিকরা ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান। সেখান থেকে খবর পেয়ে কার্গোর নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশের এসআই ওমর ফারুক বলেন, কার্গো জাহাজটির তলদেশে কীসের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে ওই জায়গায় এর আগে আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি প্রিমিয়াম-৫ ডুবির ঘটনা ঘটেছিল। সেটির সঙ্গে নাকি ডুবো চরে ধাক্কা লেগেছে তা বলা সম্ভব নয়। কারণ এখন নদীর সর্বত্র পানি অনেক।

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশসেরা গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (০৫ জুলাই) রাতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, কৃতি এই দাবাড়ুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, শুক্রবার বিকেল তিনটায় দেশসেরা এ দেশসেরা গ্র্যান্ডমাস্টার মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২ তম রাউন্ডের খেলা। এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে তখন খেলছিলেন জিয়াউর রহমান। বিকাল ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে খেলাকালীন হঠাৎ করেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জিয়াউর। তারপরই দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

খবরটি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক আরবিটার হারুনুর রশিদ।

হাসপাতালে নেওয়ার পর শুরুতেই ধারণা করা হয় যে হার্ট অ্যাটাক করেছেন তিনি। খেলা চলাকালীনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তাকে শাহবাগের ইব্রাহিক কার্ডিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তার চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই মর্মান্তিক ঘটনার জন্ম হলো বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই প্রাণ হারান এই গ্রান্ডমাস্টার দাবাড়ু, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।

জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি এবং ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনও। শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় পাপন বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দাবাড়ু ছিলেন। দেশের দাবার উন্নয়ন তথা গোটা ক্রীড়াঙ্গনে তার অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

দাবাড়ু জিয়াউর রহমানের জন্ম ১৯৭৪ সালের পহেলা মে। ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন। জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের উন্মুক্ত ইভেন্টে সর্বোচ্চ ১৪ শিরোপা জেতেন এই গ্র্যান্ডমাস্টার। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে অক্টোবর ২০০৫ সালেই সর্বোচ্চ (২৫৭০) ফিদে রেটিং অর্জন করেছিলেন জিয়া।

;

হঠাৎ ছিঁড়ে পড়লো হাসপাতালের লিফট, আতঙ্কিত রোগী ও স্বজনরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
হঠাৎ ছিঁড়ে পড়লো হাসপাতালের লিফট, আতঙ্কিত রোগী ও স্বজনরা

হঠাৎ ছিঁড়ে পড়লো হাসপাতালের লিফট, আতঙ্কিত রোগী ও স্বজনরা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের একটি লিফট হঠাৎ বিকট শব্দ করে ভেঙ্গে পড়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

শুক্রবার (০৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। লিফটের সেন্সরের সমস্যা কারণে এ সমস্যা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বরগুনা ফায়ারসার্ভিস। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

লিফট পরিচালনার দ্বায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কালু নামের এক লোক এসে লিফটের ভিতরে কোনো লোক আটকা পরেছে কিনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। পরে কাউকে দেখতে পাওয়া যায়নি বলে জানায়। এসময় লিফটের দুটি দরজা ভাঙা ও একটি তার ছেড়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। 

লিফট ভেঙে পড়ার ৩ ঘণ্টা পরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া ঘটনাস্থলে আসেন। 

এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গণপূর্ত বিভাগ নিম্ন মানের লিফট করায় প্রায়ই অকেজো হয়। এতে করে সেবা গ্রহণকারী এবং সেবাদাতা সকলকে সমস্যায় পড়তে হয়। 

এ বিষয়ে জানতে বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) জাকারিয়া আকনের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বার বার ফোন কল কেটে দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরামের সমন্বয়ক মহিউদ্দিন অপু বলেন, গণপূর্ত বিভাগ শুরুতে নিম্ন মানের লিফট করায় স্বাস্ব্য অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়। লিফট চালু করার ১৫ দিনের মধ্য লিফটটি নষ্ট হয়ে যায়। ১৫ দিন পূর্বে অকেজো লিফট মেরামত করা হয়। কোনো লিফটম্যান না থাকায় সঠিকভাবে লিফট ব্যাবহার করতে সমস্যা হচ্ছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঘটনার বিষয় আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও জানান, এর আগেও হাসপাতাল মিলনায়তন কক্ষের ফলস সিলিং ধসে পরার ঘটনা ঘটেছে। গণপূর্ত বিভাগকে এঘটনাগুলোর কারণ খতিয়ে দেখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণগুলো উদঘাটন হলে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

সিলেটে নৌকা থেকে ২৬৫ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার, আটক ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
উদ্ধারকৃত ভারতীয় চিনি।

উদ্ধারকৃত ভারতীয় চিনি।

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের গোয়াইনঘাটে পুলিশের অভিযানে চিনি বোঝাই ২টি নৌকা থেকে ২৬৫ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (০৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাফলং ইউনিয়নের অন্তর্গত উত্তর প্রতাপপুর এলাকা থেকে চিনি উদ্ধার ও তাকে আটক করা হয়। 

আটককৃত আবুল হায়াত (৩০) পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের লুনি হাওর গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে।

শুক্রবার রাতে গোয়াইনঘাট পুলিশ জানায়, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশনায় একটি আভিযানিক টিম উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের উত্তর প্রতাপপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামিদের ফেলে যাওয়া ২টি নৌকাসহ ২৬৫ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার এবং আবুল হায়াতকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত ভারতীয় চিনির মূল্য ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। 

এদিকে এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে আটককৃত আবুল হায়াতকে প্রধান আসামি করে ও ৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা রুজু করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম পিপিএম।

;

নিরাপত্তাকর্মীকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা, আত্মগোপনে ফ্ল্যাট মালিক মফিদুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় গাড়িচাপা দিয়ে নিরাপত্তাকর্মী মো. ফজলুল হককে (২৫) হত্যার পর গাঁ ঢাকা দিয়েছে ঘাতক গাড়ি চালক ও ফ্ল্যাট মালিক ইঞ্জিনিয়ার মফিদুল ইসলাম (৬৯)।

গত বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) সকালে এ ঘটনার পর রাতে মফিদুলকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী। এরপর শুক্রবার (০৫ জুলাই) পর্যন্ত একাধিক অভিযান চালালেও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেট ভেঙে ফজলুলকে চাপা দেয় মফিদুল। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, কোন কারণে জিদ থেকে বা পরিকল্পনা করে এই হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

মামলার এজাহারে নিহতের স্ত্রী শরীফা বেগম দাবি করেন, ঢাকায় সেফ ফোর্স সিকিউরিটি কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন ফজলুল। এক মাস আগেই এই ভবনে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে নিয়োগ পান। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে তার ডিউটি ছিল। এসময় সকাল সোয়া ৮টার দিকে আসামি মফিদুল গ্যারেজ থেকে বের হওয়ার সময় দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ফজলুলকে ধাক্কা দিলে গেট ভেঙ্গে রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে সে। এসময় মফিদুল তার গাড়িটি ফজলুলের শরীরের উপর উঠিয়ে দেয়। এসময় তার কোমর ভেঙ্গে যায়, কপাল, ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটাসহ গুরুতর জখম হয়। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। এর মধ্যে গাড়ির মালিক মফিদুল তার গাড়িটি রেখেই পালিয়ে যান।

তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে শরিফা বেগম বলেন, আমার দুইটা মেয়ে। বড় মেয়ের বয়স ৫ বছর আর ছোট মেয়ের বয়স ১৬ মাস। আমার মেয়ে দুটো এতিম হয়ে গেলো। আমি এখন এদের নিয়ে কীভাবে থাকবো। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।

নিহতের বোন মিনারা বেগম বলেন, ঘটনার পর পুরো বিষয়টি ম্যানেজের চেষ্টা করছে রাজাবাজারের স্থানীয় বড় ভাই পরিচয় দেওয়া চুন্নু ও শাহজাহান নামে দুই লোক। কয়েক দফায় কাউন্সিলরের অফিসে তাদের বুঝানো হয়েছে মীমাংসার জন্য। 

তিনি বলেন, আমাদের সাথে মীমাংসার কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে মফিদুল ইসলামের গাড়ির চালক বলছেন, গাড়ির ব্রেকপ্যাড ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল। স্যার সেটা চেক করতে গাড়িতে উঠে পা দিয়ে একসেলেটর চাপ দেন, এরপর গাড়ি চলতে শুরু করলে তিনি হয়তো থামাতে গিয়ে ব্রেকে পা না দিয়ে ভুলে একসেলেটরে আরও জোরে চাপ দেন। এতে গাড়ি মুহূর্তের মধ্যে গেট ভেঙে বাইরে গিয়ে ধাক্কা খায়।

এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেট ভেঙে ফজলুলকে চাপা দেয় আসামি মফিদুল। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছি। খুব দ্রুতই আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

;