ফেনীতে বাড়ছে সাক্ষরতার হার, জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ লাখ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা ফেনীর জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২২ সালের শুমারি অনুযায়ী ফেনীতে জনসংখ্যা ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৬ জন। এ জেলায় ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৮০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অন্যদিকে জাতীয়ভাবে শিক্ষার হার ৭৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ, যা ২০১১ সালের শুমারিতে ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১ হাজার ৬৬৫ জন।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর ফেনী জেলা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়। শনিবার (২৯ জুন) ফেনী জেলার জনশুমারির বিভিন্ন তথ্য বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. তানজীব হাসান ভুঁইয়া।

কার্যালয়টির দেয়া তথ্যানুযায়ী, ফেনী জেলার মোট জনসংখ্যা ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৬ জন। তার মধ্যে ৪৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৬৭ শতাংশ নারী। জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সংখ্যা ৯০৬ জন। মোট পরিবারের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজার ১৬৪। ধর্মভিত্তিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী বর্তমানে জেলার ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ মানুষ মুসলিম ধর্মের অনুসারী। বাকি সাড়ে ৫ শতাংশ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। জেলায় সর্বাধিক জনসংখ্যা ফেনী সদর উপজেলায়। সবচেয়ে কম জনসংখ্যা পরশুরাম উপজেলায়।

ফেনীতে ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৮০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। যা জাতীয় পর্যায়ে ৭৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। তার মধ্যে ৮২ দশমিক ৫৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ নারী। একই বয়সী জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে দেশের পল্লী এলাকায় সাক্ষরতার হার ৭৯ দশমিক ৪১ শতাংশ ও শহর এলাকায় ৮৪ দশমিক ০২ শতাংশ। সাক্ষরতার হারে ফেনী সদরে সর্বোচ্চ ৮৩ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং সোনাগাজীতে সর্বনিম্ন ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

ফেনীতে বর্তমানে জেলায় মোট জনসংখ্যার ৫৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ নির্ভরশীল। যেখানে জাতীয়ভাবে নির্ভরশীলতার হার ৫৩ শতাংশ। অপরদিকে জেলায় প্রবাসীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৩ জন। এ সংখ্যা জেলার মোট জনসংখ্যার ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার ৩৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ পরিবার রেমিটেন্স পেয়ে থাকেন। জেলায় মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ২৭০টি পরিবার রেমিটেন্স গ্রহণ করেন। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ ফেনী সদর উপজেলায় এবং ২য় অবস্থানে রয়েছে দাগনভুঞা উপজেলা। এ উপজেলায় ১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ পরিবার রেমিটেন্স গ্রহণ করেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জেলায় কাজে নিয়োজিত মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে সর্বাধিক ৫৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ সেবাখাতে কর্মরত। এছাড়াও উক্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ কৃষি এবং ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ শিল্পখাতে কর্মরত। জেলায় ৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ এর নিজস্ব ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোন রয়েছে। অপরদিকে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৭৩ দশমিক ৬১ শতাংশের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোন রয়েছে। জেলায় ৫ বছর ও তদুর্ধ্ব বয়সী মোট জনগোষ্ঠীর ৪১ দশমিক ৫১ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এবং ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ৫২ দশমিক ২ শতাংশ।

প্রতিবেদন প্রকাশনা বিষয়ে ইতোপূর্বে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো'র মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। সঠিক তথ্য নিশ্চিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেকদূর এগিয়েছে। এখন অর্থনৈতিক শুমারির কার্যক্রম চলমান। এ প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আমাদের উন্নয়নের চিত্র সবার সামনে তুলে ধরা হবে।

ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রচেষ্টার উদাহরণ প্রযুক্তিনির্ভর জনশুমারি এবং গৃহগণনা। নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছেন। সবাইকে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে উৎসাহ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বগুড়ায় মৌসুমী ফল উৎসব, ২৮ প্রজাতির ফল প্রদর্শন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগ ফল উৎসব আয়োজন।

বগুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগ ফল উৎসব আয়োজন।

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় ২৮ প্রজাতির ফল নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো মৌসুমী ফল উৎসব। বগুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সেসব ফল দেখানোর পাশাপাশি ফলের নাম ও গুণাগুণ সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

পরে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শ্রেণিতে ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীদের মিয়াজাকি (সূর্যডিম) আম উপহার দেওয়া হয়।

সোমবার (০১ জুলাই) বেলা ১১টায় বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

বগুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগ ফল উৎসব আয়োজন।

এতে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন- বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, সিআইডি’র পুলিশ সুপার কাউসার সিকদার, হাইওয়ে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক মীর মনির হোসেন, পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু প্রমুখ।

অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের মাটির উপযোগী দেশীয় ফলগুলো ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। এখন যারা নতুন প্রজন্ম তারা সেই ফলগুলোর সাথে পরিচিত হতে পারছে না। এই প্রজন্মকে প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশীয় ফল সম্পর্কে জানাতে এবং ফলের স্বাদ ও গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা দিতেই এমন আয়োজন। এটি করা গেলে তারা দেশীয় ফলের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে এবং সেসব বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে প্রকৃতি সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ হবে।

উৎসবে আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, আনারসের পাশাপাশি করমচা, ডেউয়া (বড়াল), ডালিম, বিট, কামরাঙ্গা, পেয়ারা, চালতা, জামরুল, গাব, আমলকি, লটকন, পেঁপে, বেল, খেজুর, তাল, জাম্বুরা, বাঙ্গি, তরমুজ, ডাব, সফেদা, বিচি কলাসহ ২৮ প্রজাতির ফল প্রদর্শন করা হয়।

;

খোলা আকাশের নিচে ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধার বোন



ছাইদুর রহমান নাঈম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
বৃদ্ধা গুলেছা বানু

বৃদ্ধা গুলেছা বানু

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবাগো আমারে বাঁচাও। আমার ছেলেডাও আমারে রাইখা চইলা গেলোগা। পাঁচদিন ধইরা খাইয়া না খাইয়া খোলা আকাশের নিচে পইরারা রইছি। আমারে তোমরা বাঁচাও। আমার ভাই দেশের জন্য যুদ্ধ করছে। এভাবেই বিলাপ করছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা গুলেছা বানু।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাঁচদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছেন তিনি। খাদ্য-বাসস্থান ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে সময় কাটছে তার।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেতাল বাজার সংলগ্ন মসূয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দোকানের বারান্দায় শুয়ে আছেন বৃদ্ধা। পাশেই রাখা মুড়ির পুটলা ও পানি। গতরাতে খোলা স্থানে শুয়ে ছিলেন। বৃষ্টি হওয়ার পর বাজারের পাহারাদার দোকানের বারান্দায় রেখে যায়। স্বাভাবিক কথা বলতে পারলেও বয়সের ভারে চলাফেরা করতে পারেন না। মাঝে মধ্যে মানুষের দেওয়া কিছু খাবার খাচ্ছেন। অধিকাংশ সময় না খেয়েই দিন পার করতে হচ্ছে। দেখভাল করার কেউ নেই।

একই ইউনিয়নের বৈরাগিচর গ্রামে তার বাড়ি। বৃদ্ধা গুলেছা বানুর বড় ভাই মৃত ফালু ফকির ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বামী বাতেন ফকির পাঁচ বছর আগে মারা যান। তিনি ছিলেন ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এরপর থেকে একমাত্র ছেলে হোসেন তার দেখাশোনা করতেন।

পরিত্যক্ত এই ভবনে আগে থাকতেন বৃদ্ধা গুলেছা বানু

ভূমিহীন এই দম্পতি স্বামীর সঙ্গে ৩০ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার পরিত্যক্ত ভবনে বসবাস করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পরও এখানেই ছিলেন। ছেলে ভবঘুরে হওয়ায় মাকে সহ্য করতেন না। প্রায় সময় অত্যাচার করতেন। গত বৃহস্পতিবার ছেলে মাকে বলে উধাও হয়ে যায়। এতেই বিপাকে পড়েন এই বৃদ্ধা। পরিত্যক্ত ভবনে বৃষ্টির পানি জমায় সেখানেও থাকতে পারছেন না। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে কাটছে দিন।

বৃদ্ধা গুলেছা বানু বলেন, একমাত্র ছেলে হোসেন প্রায় সময় আমাকে অত্যাচার করতো। আমি কেন মারা যাচ্ছি না বলতো। ঈদেও একটু ভালো খাবার দেয়নি। আমার সাথে আর নেই বলে পাঁচদিন আগে ফেলে চলে গেলো। এখন আমি কোথায় থাকবো, কী খাবো জানি না। আমি মরলে লাশ যেন এই ছেলে না ধরে।

মসূয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বাক্কার বলেন, আমি নিজেও অসুস্থ। খোঁজ নিতে পারিনি। কী করা যায় দেখবো। ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাবো বিষয়টি।

সার্বিক বিষয়ে কথা হলে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আপনার থেকেই জানলাম বিষয়টি। আমি নিজে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় কী করা যায় তাই করবো।

;

চুয়াডাঙ্গায় অসুস্থ গাভীর মাংস বিক্রি, তিন কসাইকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযান।

চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযান।

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় অসুস্থ গাভী জবাই করে মাংস বিক্রির দায়ে তিন কসাইকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় প্রায় ২ মণের অধিক অস্বাস্থ্যকর মাংস জব্দ করে জনসম্মুখে নষ্ট করা হয়।

সোমবার (০১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে একটি ফোন কলের মাধ্যমে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জানতে পারে ডিঙ্গেদহ বাজারে কিছু কসাই একটি অসুস্থ গরু বাইরে থেকে জবাই করে এনে মাংস বিক্রি করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্র ডালিম মিয়া নামে একজন কসাই দৌঁড়ে পালিয়ে যান।

সাথে থাকা অপর দু’জন কসাই খোকন মিয়া ও সুজন মিয়াকে মাংস বিক্রয়কালে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত হন।

মাংস ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে, একটি অসুস্থ গাভী গরু নিজেরাই জবাই করে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন।

সেই সাথে আরও একটি বড় প্রতারণার বিষয় হচ্ছে যে, সকালে তারা একটি ভালো এড়ে গরু জবাই করে সেই মাংস সব বিক্রির পর ওই এড়ে গরুর মাথা ও জেন্ডার নির্দেশক অন্যান্য অংশগুলি এই অসুস্থ গাভী গরুর মাংশের সাথে রেখে উচ্চ মূল্যে এড়ে গরুর মাংশ বলে বিক্রি করছিলেন।

পরবর্তীতে বাজার কমিটির মাধ্যমে কসাই ডালিমকে হাজির করা হয়। অসুস্থ গাভী গরু জবাই করে মাংস বিক্রি ও এড়ে বলে অসুস্থ গাভীর মাংস বিক্রয়ের প্রতারণা হাতেনাতে প্রমাণিত হয়।

এসব অপরাধে তাদেরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৩ ও ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় প্রায় ২ মণের অধিক অস্বাস্থ্যকর মাংস জব্দ করে বাজার কমিটির সহায়তায় জনসম্মুখে কেরোসিন তেল দিয়ে ও মাটিতে পুতে ফেলে নষ্ট করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, পূর্বেও তারা এ ধরণের কার্যকলাপ করেছেন। মানুষের খাদ্যদ্রব্যের সাথে প্রতারণা মেনে নেয়ার মতো না। এ জন্য তিন কসাইকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বাজারের অন্য মাংস ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহর থাকবে।

অভিযান পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।

;

পাহাড় ধসে বান্দরবান-রুমা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
পাহাড় ধসে বান্দরবান-রুমা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

পাহাড় ধসে বান্দরবান-রুমা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা বর্ষণে পাহাড় থেকে মাটি ধসে সড়কের ওপর পড়ায় বান্দরবানের সঙ্গে রুমা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে রুমা-বান্দরবান সড়কের দলিয়ান পাড়া এবং খুমী পাড়ায় মাটি ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে।

সড়কটি যান চলাচলের জন্য সচল করতে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের বান্দরবান জেলা ও রুমা উপজেলার দুটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে।

রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, দুদিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে বান্দরবান-রুমা সড়কের দুটি স্থানে। এর ফলে রুমার সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সড়ক যোগগাযোগ স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীর ২৬ ইসিবির সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা কাজ করছেন। শিগগিরই সড়কটি আবার সচল করা সম্ভব হবে।

;