চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্ত থাকায় এর নির্বাচন বাতিল এবং প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের কয়েকজন সদস্য।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দেওয়া অভিযোগে তারা জানিয়েছেন, কতিপয় নেতার অধীনে থাকা কর্মচারীদের স্যালারি টিআইএন ব্যবহার করে সংগঠনের সদস্য নন, এমন কাউকে কাউকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের কোনো ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান নেই। সবাই কর্মচারী। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পিওন, ড্রাইভার, সেলসম্যান ও ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তারা।
অভিযোগে জানা যায়, ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের জন্য ৩ জুন প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী ৬শ ৯৯ জন সাধারণ ভোটারের মধ্যে ২শ ৬৭ জন অসঙ্গতিপূর্ণও ভুয়া ভোটারের নাম রয়েছে।
এ ছাড়া ২শ ৫০ জন সহযোগী ভোটারের মধ্যে ১শ ৪৭ জন অসঙ্গতিপূর্ণও ভুয়া ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন চেম্বার সদস্য সাইফুল হাসান জোয়াদ্দার, আলাউদ্দিন হেলা ও মুন্সি আলমগীর হান্নান।
তারা জানিয়েছেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বৈধ কোনো কাগজপত্র ছাড়াই কর্মচারীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা বলছেন, এ তালিকায় ৩ শতাধিক ভুয়া ভোটারের নাম যুক্ত করা হয়েছে।
প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সংগঠনে ভুয়া ভোটারের অন্তর্ভুক্তি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের নির্বাচন বাতিল ও প্রশাসক নিয়োগের দাবি করেছেন।
চেম্বারের এ তিন সদস্য সংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানান, গত ১০ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয় না। ১৫ মে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বিবার্ষিক সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় ৩ জুন এবং ৫ জুন খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি দাখিলের সময় নির্ধারণ করা হয়। তফসিলে আগামী ৩ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দিতে সবরকম আইনি ব্যবস্থাও নেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।