প্রতারণা করে ১৮ লাখ টাকার মালামাল হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্র



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: গ্রেফতার হওয়া প্রতারক চক্রের সদস্যরা

ছবি: গ্রেফতার হওয়া প্রতারক চক্রের সদস্যরা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা হতো ব্যবসায়ীদের মোবাইল নাম্বার। এরপর প্রবাসী সেজে ওইসব ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে দেয়া হতো লাখ টাকার রড, সিমেন্ট ঢেউটিন কেনার চাহিদা। প্রথমে কিছু টাকা অগ্রিম দিয়ে বাকী টাকা পণ্য পাওয়ার পর ব্যাংক মারাফত পরিশোধ করার আশ্বাস দিতেন প্রতারকরা। পণ্য পাওয়ার পর তাদের আর খোঁজ মেলেনা। ডিবির জালে ওই প্রতারক চক্রের তিন সদস্য ধরা পরার পর বেড়িয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

শনিবার যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ডিবি জানায় সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্র এখন পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারণা করে ১৮ লাখ টাকার বেশি মালামাল হাতিয়ে নিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা মাগুরা জেলার মিঠু মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোস্তাক ও রুবেল হোসেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রড, সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের সাথে এমন প্রতারণা করে আসছিলো। গত ১৩ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত যশোর পুলেরহাট বাজারের হীরা এন্টারপ্রাইজ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারক চক্র প্রতারণা করে ১ হাজার ৯৫৪ কেজি রড ও ১৩০ বস্তা সিমেন্ট সর্বমোট ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩০ টাকার মালামাল আত্মসাত করে। এঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইদ্রিস আলী থানায় মামলা করলে প্রতারকদের ধরতে অভিযানে নামে ডিবি।

তিনি আরও জানান, আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রতারক চক্রের মুল হোতা মিঠু এক সময় মাদক ব্যবসায়ী ছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বিগত ৬/৭ মাস যাবৎ মিঠু ও তার সহযোগীরা যোগসাজসে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করে ফোন করে রড-সিমেন্ট ও ঢেউটিন ক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীর সাথে প্রতারক চক্রের একজন প্রবাসী সেজে ব্রিলিয়ান্ট নাম্বার দিয়ে মালাই ভাষায় সালাম দিয়ে পরিচিত হয়ে মালামাল ক্রয়ের জন্য ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে টাকা পাঠানোর কথা বলে মোটা অংকের টাকার মালামাল নিয়ে আত্মসাৎ করে। তদন্তকালে মামলার বাদীসহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের টার্গেট করে জঙ্গি নাটক সাজানো হচ্ছে : হেফাজত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কওমি মাদরাসার ছাত্রদের টার্গেট করে জঙ্গিবাদের তকমা লাগানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে কয়েদিন গুম রাখে। পরে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে কল্পিত অভিযোগ দিয়ে গ্রেফতারের নাটক সাজিয়ে দেশ বিদেশে মাদ্রাসা ছাত্রদের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে-এমন অভিযোগ করেছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সম্প্রতি কওমি মাদরাসার ছাত্রদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার (১ জুলাই) গণমাধ্যমে হেফাজতের পক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে এমন অভিযোগ করেন আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।

এক বিবৃতিতে, কক্সবাজারে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার দুজনসহ গ্রেফতার তিন ছাত্রকে কোন অপরাধে জঙ্গি বানানো হয়েছে তা জাতি জানতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তারা।

তাদের দাবি, গত বুধবার ঢাকার সাইনবোর্ড থেকে হাতের লেখা প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে কুমিল্লা থেকে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার ছাত্র উজায়ের ও হামিমকে এবং লক্ষ্মীপুর থেকে নেয়ামতুল্লাহকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন। নিরীহ এই ছাত্রদের গ্রেফতারের তিন দিন পর তাদেরকে কক্সবাজারে জঙ্গি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে হেফাজত নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল মহল থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে যে, জঙ্গিবাদের সাথে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের দূরতম সম্পর্কও নেই। একাদশ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, কেউ কেউ বলবেন মাদ্রাসা হচ্ছে জঙ্গিবাদ সৃষ্টির কারখানা। কিন্তু আমি এটার সঙ্গে একমত নই। হোলি আর্টিজানে জড়িতরা ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করা উচ্চশিক্ষিত পরিবার ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া।

এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল একাধিকবার বলেছেন, মাদ্রাসার সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মাদ্রাসার ছাত্ররা জঙ্গি নয়। জঙ্গি হতে পারে না।

তিনি ২০২৩ সালে হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন, কওমি মাদ্রাসা দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেখানে ইসলাম শিক্ষা দেওয়া হয়। এখান থেকে কখনো জঙ্গি উত্থান হয়নি, হতেও পারেনা।

২০২৪ সালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, আমরা যত জঙ্গি ধরেছি, তার মধ্যে একজনও মাদ্রাসার ছাত্র নন।

হেফাজত আমীর ও মহাসচিব প্রশাসনের উদ্দেশ্য বলেন, এসব জঙ্গি নাটক অবিলম্বে বন্ধ করুন। আলেম ওলামা ও ছাত্রজনতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে সরকারের সঙ্গে সংঘাত তৈরির চেষ্টা করবেন না। এসব অন্যায় কর্মতৎপরতা বন্ধ করা না হলে দেশের আপামর তৌহিদী জনতা কখনোই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না।

;

দুর্নীতিতে জড়িতদের সহানুভূতি দেখানো হবে না : মন্ত্রিপরিষদ সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতিতে জড়িতদের কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিষয়ে কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না এবং দেখানো হচ্ছেও না। এটি গুরুত্ব দিয়ে অনুসরণ করা হচ্ছে।

সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি নিয়ে এখন সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হিসেবে এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চান সাংবাদিকরা।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জনপ্রশাসনের সব কর্মকর্তা দুর্নীতি করেন না। একটি অফিসের সবাই কি দুর্নীতিবাজ হয় কখনো? হাতেগোনা কয়েকজন দুর্নীতি করে এবং ওই কয়েকজনের জন্য বাকি সবাই বিব্রত হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে নানাভাবে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, যারা খুবই দুষ্ট চিন্তার মানসিকতার, দুষ্ট বুদ্ধির মানসিকতার, তারা এই কাজগুলো (দুর্নীতি) করতে চান। যখনই এসব বিষয় নজরে আসে, সরকারের তরফ থেকে কোনো প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের সব যন্ত্র, প্রশাসন যন্ত্র দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে কখনো কোনো রকমের বাধা কিংবা প্রশ্ন উত্থাপন করেনি। সরকারের সব মেকানিজম দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সব সময়ই সহযোগিতা করছে।

এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘মন্ত্রণালয়গুলো দুর্নীতির দেরাজ খুলে বসেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিবরা এ বিষয়ে ভালো জবাব দিতে পারবেন। দুর্নীতির অভিযোগ এলে নানাভাবে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। আমার কাছে এই তথ্য নেই যে, কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ার পরও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ রকম আমার নজরে এলে আমি আবার তদন্তের ব্যবস্থা করবো।

;

গাইবান্ধায় বজ্রপাতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বজ্রপাতে ফরহাদ সরদার (১৮) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (০১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি গ্রামের নবাবগঞ্জ বাজারে সংলগ্ন এলাকায় এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

নিহত ফরহাদ সরদার ওই গ্রামের জিন্না সরদারের ছেলে এবং ফুলছড়ি সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

বিষয়টি মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান।

তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই যুবক বাড়ির আঙ্গিনায় খোয়ারে হাঁস উঠাচ্ছিল। তখন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ছেলেটি।

;

সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় দম্পতি নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় এক দম্পতি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

সোমবার (০১ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেট সদর উপজেরার ধোপাগুল এলাকায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে তারা নিহত হন।

নিহতরা হলেন- মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার বড়ধামাই গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে আবদুস সবুর মিয়া (২৭) ও তার স্ত্রী রাহেনা আক্তার (২২)।

আহত তিনজন হলেন-আল ফরহাদ মতিন (৪০), আল ফরহাদ মতিনের স্ত্রী জেসমিন বেগম ও তাদের ১০ বছরের শিশুকন্যা ইকরা। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া।

তিনি জানান, পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

;