দুর্নীতিতে জড়িতদের সহানুভূতি দেখানো হবে না : মন্ত্রিপরিষদ সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতিতে জড়িতদের কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিষয়ে কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না এবং দেখানো হচ্ছেও না। এটি গুরুত্ব দিয়ে অনুসরণ করা হচ্ছে।

সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি নিয়ে এখন সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হিসেবে এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চান সাংবাদিকরা।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জনপ্রশাসনের সব কর্মকর্তা দুর্নীতি করেন না। একটি অফিসের সবাই কি দুর্নীতিবাজ হয় কখনো? হাতেগোনা কয়েকজন দুর্নীতি করে এবং ওই কয়েকজনের জন্য বাকি সবাই বিব্রত হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে নানাভাবে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, যারা খুবই দুষ্ট চিন্তার মানসিকতার, দুষ্ট বুদ্ধির মানসিকতার, তারা এই কাজগুলো (দুর্নীতি) করতে চান। যখনই এসব বিষয় নজরে আসে, সরকারের তরফ থেকে কোনো প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের সব যন্ত্র, প্রশাসন যন্ত্র দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে কখনো কোনো রকমের বাধা কিংবা প্রশ্ন উত্থাপন করেনি। সরকারের সব মেকানিজম দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সব সময়ই সহযোগিতা করছে।

এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘মন্ত্রণালয়গুলো দুর্নীতির দেরাজ খুলে বসেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিবরা এ বিষয়ে ভালো জবাব দিতে পারবেন। দুর্নীতির অভিযোগ এলে নানাভাবে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। আমার কাছে এই তথ্য নেই যে, কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ার পরও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ রকম আমার নজরে এলে আমি আবার তদন্তের ব্যবস্থা করবো।

জিয়া-খালেদা-এরশাদ দেশের জন্য কিছুই আনতে পারেননি: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী

সংসদ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়কার ভারত সফরে দেশের জন্য কোন কিছুই আনতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলগুলোর কূটনৈতিক ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর ভারত-বাংলাদেশের ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিচুক্তি, ছিটমহল বিনিময় ও তিন বিঘা করিডোর উন্মুক্ত হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়া, জেনারেল এরশাদ ও জিয়াউর রহমান কেউ এ সকল সমস্যার সমাধান করতে পারেননি, করেননি।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এ সব কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি কিছু লোক আমার ভারত সফর নিয়ে নানান কথা তুলেছে। ১৯৮১ সালে ছয় বছর পরে দেশে ফিরে আসার পর তখন এই একই কথা শুনতে হয়েছে (ভারতের কাছে দেশ বিক্রি)। এখন জানি না কেন সেই ভাঙা রেকর্ড বাজাতে শুরু করলো।

২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে না পারার কারণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে ভোট বেশি পেলেও ২০০১ সালে সিট বেশি পাইনি। এজন্য সরকার গঠন করতে পারলাম না। কারণ আমি গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি। তো বিক্রিটা করে কে দেশকে? করে গেছে তো খালেদা জিয়া, করেছে এরশাদ সাহেব। করেছে জিয়াউর রহমান। এরাই করে গেছে, আওয়ামী লীগ করে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজারটাকে ভারতীয় পণ্যের বাজারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ৪০টি পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশ অধিকার দিয়ে দেয়। ১৯৮০ সালে গ্যাস বিক্রির চুক্তিও করে আসে। ১৯৯২ সালে ভারতে গেলো খালেদা জিয়া। সেখানে যৌথ ইশতেহার ঘোষণার ১১ অনুচ্ছেদে বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক হারে ভারতে অনুপ্রবেশ করার কথা স্বীকার করে নেয়। তারপরে পুশইন শুরু হয়েছিল। সেখানে আমাদের বহু মানুষ কষ্ট পেয়েছিল। এ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের জন্য আমরা সংসদে দাবিও করেছিলাম, কিন্তু কর্ণপাত করা হয়নি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়কার ভারত সফরে দেশের জন্য কোনও কিছুই আনতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন সরকারপ্রধান। দলগুলোর কূটনৈতিক ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর ভারত-বাংলাদেশের ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিচুক্তি, ছিটমহল বিনিময় ও তিন বিঘা করিডোর উন্মুক্ত হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়া, জেনারেল এরশাদ ও জিয়াউর রহমান কেউ এ সকল সমস্যার সমাধান করতে পারেননি, করেননি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। এতদিন তো গণতন্ত্র সেনানিবাসে বন্দি ছিল। সারা রাত হতো কারফিউ। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পরেই গণতান্ত্রিক অধিকার মানুষের হাতে ফিরে এসেছে। জনগণ আমাদের ভোট দিচ্ছে, আমরা জয়ী হচ্ছি। অত্যাচার-নির্যাতনের কথা শুনি। আমাদের কোন নেতা-কর্মী বাকি ছিল নির্যাতনের হাত থেকে জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে? তিনি বলেন, সবাই কথা বলছে, জনসভা করছে, মিছিল করছে, বক্তৃতা করছে। আমরা রেডিও, টেলিভিশন উন্মুক্ত করে দিয়েছি বেসরকারিভাবে। ইচ্ছামতো টকশো করছি। আমরা তো কারও মুখ চেপে ধরছি না, গলা চিপেও ধরছি না। যে যা পারছে, বলতে পারে বলুক। আমরা রাষ্ট্র চালাচ্ছি, জনগণের কল্যাণে কাজ করছি।

আমলাদের নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকে অনেক দোষ দেয়। কিন্তু আমি দেখেছি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সময়ে যারা একেবারে তরুণ (কর্মকর্তা), তাদের ভেতরে যে আন্তরিকতা, তাদের কাজ করার যে আগ্রহ, সেটা সত্যিই আমাকে আশার আলো দেখায়। সবাই মন-প্রাণ ঢেলে দিয়ে কাজ করেছে। এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এ ধরনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী তো দরকার। এ ধরনের অফিসার তো আমাদের দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার হারানোর কিছু নেই। পাওয়ারও কিছু নেই। আমার একটাই লক্ষ্য, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অন্ন, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেশকে উন্নত করে দেওয়া। সেটাই আমি করতে চাই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমরা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো। এজন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই। আমাদের নবযাত্রায় আরো সাফল্য আসুক। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বাংলাদেশের মানুষ আরো উন্নত সুন্দর জীবন পাবে।

;

আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছায় না বন্যার্তদের কাছে



কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদ

উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদ

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চর দক্ষিণ বালাডোবা চরের বাসিন্দা ইবাত আলী। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইতোমধ্যে তার থাকার ঘরের চাল পর্যন্ত পানি উঠেছে। একটি টিলায় ৪ টি গরু রাখলেও গত ৩ দিনের ধারাবাহিক পানি বৃদ্ধির ফলে সেই টিলাতেও পানি উঠেছে। গত দুই দিন ধর গরুগুলো অন্যত্র নেয়ার জন্য নৌকা খুঁজছিলেন তিনি। ৩ দিন গরুগুলো হাটু পানিতে থেকে পায়ে পচন ধরা শুরু হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে নৌকা ভাড়া নিয়ে গরুগুলো পাশের বাজারের উঁচু ভিটায় রাখতে যাওয়ার পথে তিনি বলছিলেন, ‘ভাবছিলাম আগের বারের মতো পানি আর বেশি উঠবেনা। কিন্তু ৩ দিন ধরে যা পানি বাড়তেছে তাতে বাড়িতে থাকা সম্ভব না। কখন পানি বাড়বে কখন কমবে সেই খবর আমরা পাইনা। মাঝে মধ্যে বাজার গেলে শুনি।’ 

শুধু ইবাত আলী একাই নন। কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিত চরাঞ্চলের হাজার হাজার পরিবারগুলোর অধিকাংশ পরিবারগুলোর কাছেই পৌঁছায় না বন্যার আগাম সতর্কবার্তা। চরাঞ্চল গুলোতে নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হলেই যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নৌকার অভাবে অধিকাংশ পরিবারগুলোকে নির্ভর করতে হয় অন্যের নৌকার উপর। অথবা বেশি ভাড়া দিয়ে নৌকা নিয়ে জরুরী কাজ সারতে হয়। বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন থাকায় মোবাইল ফোন গুলোতেও চার্জ করা সম্ভব হয়না। জরুরী কোনো প্রয়োজনেও যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয় বন্যা কবলিত লোকদের। চরের লোকজনদের স্থানীয় বাজারে প্রতিদিন যাওয়ার প্রবণতাও কম। সপ্তাহে দু'দিন হাটে গিয়ে কেনাকাটা করে দ্রুত দিনের আলোতে বাড়ি ফেরার তাগিদ থাকে সবার। তাই বাজারে থাকা টিভিতে চোখ বুলানোর সুযোগও হয়না অনেকের।

সংকটের পাশাপাশি রয়েছে বন্যার আগাম সতর্কবার্তা না পাওয়ার আক্ষেপ

বুধবার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি বন্য কবলিত চর ঘুরে দেখে বার্তা ২৪.কম। বিভিন্ন সংকটের পাশাপাশি বন্যার আগাম সতর্কবার্তা না পাওয়ারও আক্ষেপ করেন অনেকে। তারা জানিয়েছেন, বন্যার কয়েকদিন আগে পানি বৃদ্ধির খবর জানলে ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কম হতো। বিশেষ করে গবাদিপশু গুলোকে নিরাপদে উঁঁচু স্থানে রেখে আসা যেত। 

বতুয়াতুলি মুসার চরের মন্টু মিয়া বলেন, ‘সরকারের ঘোষণা তো পাইনা। বাজারে যাই, চায়ের দোকানে টিভিতে যা খবর পাই তা নিয়ে থাকি। প্রতিদিন তো বাজারে যাই না। সপ্তাহে দুই দিন হাটে যাই। টিভিতে খবর দেখেছি পানি বাড়তেছে। কিন্তু এতটা বাড়বে জানা ছিল না। কিছু জিনিসপত্র ভেসে গেছে। মুরগি মারা গেছে কয়েকটা। আগে জানলে আত্মীয়র বাড়িতে রেখে আসতাম।’

বন্যাকালীন পরিস্থিতে জরুরী ভিত্তিতে লোকজনের কাছে খবর পৌঁছে দেয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে থাকে স্থানীয় প্রশাসন। বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, ‘আমাদের ইউপি সদস্যদের কাছে নিয়মিত আপডেট পৌঁছে দেয়া হয়। এছাড়াও, দূর্যোগ মোকাবেলা কমিটি, গ্রামভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে আমরা খবর পৌঁছে দেই। কি কারণে চরাঞ্চলের লোকদের কাছে তথ্য পৌঁছায় না আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’ 

কুড়িগ্রামের প্রায় ৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা বন্যায় প্লাবিত

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, ‘বন্যাকবলিত লোকদের কাছে সময়মতো পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা না পৌঁছানোর দায় কোনোভাবেই স্থানীয় প্রশাসন (ইউনিয়ন পর্যায়ের) এড়াতে পারেনা। এটি একটি সম্মিলিত কাজ। তথ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আরও কিভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে তথ্য পৌঁছে দেয়া যায়, সে ব্যাপারে আমরা কাজ করব।’ 

ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে এই নদের পানি বিপৎসীমার যথাক্রমে ৩৪ সেন্টিমিটার ও ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে এর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়ে কয়েকটি উপজেলার হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়ছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। এ অবস্থায় জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। 

জেলার দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা জানিয়েছে, কুড়িগ্রামের প্রায় ৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ৪০৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬১ মেট্রিকটন চাল, ২হাজার ৯৬৭ প্যাকেট শুকনা খাবার ও নগদ ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জরুরী স্বাস্থসেবার জন্য নিয়োজিত রয়েছে ৮৩ টি মেডিকেল টিম। 

;

ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। নিম্নমানের ও ভেজাল ওষুধের অব্যাহত স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হলে এর কোন বিকল্প নেই।

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক (এসইএআরএন) হচ্ছে ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

অনুষ্ঠানে ডা. সামন্ত লাল সেন আরো বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সমাবেশে বক্তব্য দেয়াটা আমার জন্য সম্মানের। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এই সমাবেশ আমাদেরকে একত্রিত করে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ এনে দিয়েছে।

তিনি বলেন ‘আমরা সবাই জানি, ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। এই প্রচেষ্টায় যে সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হই, তার মধ্যে রয়েছে নিম্নমানের এবং ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কে কাজ করার মাধ্যমে আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে পারি। এই জন্য আমরা আমাদের যৌথ দক্ষতা, সম্পদ এবং সর্বোত্তম অনুশীলনকে কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারি।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর বক্তৃতা করেন।

এতে সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং পূর্ব তিমুরের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

;

সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে কুতুব‌দিয়ার এক জেলে নি‌খোঁজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগ‌রে বৈ‌রি আবহাওয়ায় মাছ ধর‌তে গি‌য়ে কুতুব‌দিয়ার ম‌নির উ‌দ্দিন (২০) না‌মের এক জে‌লে নি‌খোঁ‌জের খবর পাওয়া গে‌ছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) গভীর রাতে কোন এক সময় ম‌নির বোট থে‌কে প‌ড়ে ডু‌বে যায় ব‌লে জানা গে‌ছে। ম‌নির উ‌দ্দিন উপ‌জেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আকবর বলী পাড়ার মৃত নুরুল আল‌মের পুত্র।

চট্টগ্রা‌মের বো‌টের মা‌লিক কাইছার জানান, গত সোমবার নোয়াখালীর উত্তর হা‌তিয়া চেয়ারম‌্যান ঘাট থে‌কে সাগ‌রে মাছ ধর‌তে যায়। ওই বো‌টে ম‌নির উ‌দ্দিন (২০) চাকরি করত। বো‌টের মা‌ঝি মঙ্গলবার মোবাই‌লে জানায়, রা‌তের বেলা দূুর্যোগ আবহাওয়ায় অজ্ঞা‌তে ম‌নির বোট থে‌কে প‌ড়ে যায়। তা‌কে এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়‌নি। খবর‌টি প‌রিবা‌রের কা‌ছে ফো‌নে জা‌নি‌য়ে উদ্ধার তৎপরতা চালা‌চ্ছে ব‌লেও জানান তি‌নি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউ‌পি) সদস‌্য মোহাম্মদ ই‌লিয়াছ ব‌লেন, ম‌নির উ‌দ্দি‌নের নি‌খোঁ‌জের খবর পে‌য়ে তার প‌রিবা‌রের সদস‌্যদের সা‌থে থানায় আসেন। সাধারণ ডা‌য়েরি করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

;