কর্তৃপক্ষের ভুলে পরীক্ষা দেয়া হলো না ১৬ পরীক্ষার্থীর
![ছবি: শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Jun/30/1719757147956.jpg)
ছবি: শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) কারিগরি বিএম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ১৬ জন পরীক্ষার্থী।
রোববার (৩০ জুন) কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের ১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি।
জানা গেছে, উপজেলার চরবলা ইউনিয়নে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রতি বছর ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করে আসছে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে যথা সময়ে প্রতিষ্ঠানটির এইচএসসি প্রথম বর্ষের ১৬ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরন করেন।
ফরম পূরন করা পরীক্ষার্থীরা যথা সময়ে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রবেশ পত্র সংগ্রহের জন্য গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র পৌছে দেয়া হবে। এমন আশ্বাসে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন সহায়তা বা প্রবেশপত্র পায়নি। ফলে ফরম পূরন এবং প্রস্তুতি নিয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। কেন্দ্রে পৌছেও পরীক্ষা দিতে না পেয়ে হতাশা নিয়ে ফিরে গেছে ১৬জন পরীক্ষার্থী।
প্রতিষ্ঠানটির পরীক্ষার্থী বিপুল চন্দ্র ও আবু হাসান লিমন জানায়, পরিবারের কাছে টাকা নিয়ে কলেজে দিয়ে যথা সময়ে ও যথানিয়মে ফরম পূরন করেন প্রথম বর্ষের ১৬জন পরীক্ষার্থী। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল কেন্দ্রেই প্রবেশ পত্র পৌছে দেয়া হবে। সেই আশায় কেন্দ্রে গিয়েও পরীক্ষা দিতে পারেননি তারা ১৬জন পরীক্ষার্থী। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেলো শিক্ষা জীবনের একটি বছর। এটি ন্যায় বিচার দাবি করেন তারা।
পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বাবুল বলেন, সন্তানদের জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে এমন শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। তাদের অবহেলায় ১৬ জন পরীক্ষার্থীর জীবন থেকে হারিয়ে গেলো একটি বছর। তিনিও ন্যায় বিচার দাবি করেন।
শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক সুকুমার বলেন, ১৬জন পরীক্ষার্থীর সকলের ফরম পূরন করা হয়েছিল। অনলাইন জঠিলতায় তাদের প্রবেশ পত্র পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ঢাকায় কয়েক দফায় গিয়েও কোন কাজ হয়নি। এর বাহিরের তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জহির ইমাম বলেন, আমি মোবাইল ফোনে সংবাদ পেয়েছি। অতি দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি করে তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।