চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু, যুবক আহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু/ছবি: বার্তা২৪.কম

চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় বিষধর সাপের কামড়ে শীলা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) বেলা দুইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত শীলা খাতুন জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পেয়ারাতলা গ্রামের আবু নাসেরের স্ত্রী। এর আগে, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে তাকে সাপে কামড় দেয়।

ওই গৃহবধূর চাচা আবুল হোসেন খান জানান, শিলা খাতুন বাবার বাড়ি রঘুনাথপুরে ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রান্না করার জন্য পুকুরের ধারে পাটকাঠি নিয়ে আনতে গেলে তার হাতে সাপে কামড় দেয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর কিছুক্ষণ পর বেলা দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

অপর দিকে, আলমডাঙ্গায় সাপের কামড়ে মারফত আলী (২৫) নামের এক যুবক আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে কাঠের কাজ করার সময় কিছুতে কামড়ের বিষয়টি বুঝতে পারেন মারফত আলী। পরে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক আলামত দেখে সাপের কামড় দিয়েছে বলে জানান।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন বলেন, সাপের কামড়ে শিলা খাতুন নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া সাপের কামড়ে মারফত আলী নামের এক যুবক আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাকে আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধের মৃত্যু, আহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধের মৃত্যু/ছবি: সংগৃহীত

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধের মৃত্যু/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ভীস্ম দেব রায় (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বিকেলে ওই বৃদ্ধ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে নীলফামারীর সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া ইন্দ্রমোহনপাড়া এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বৃদ্ধ ভীস্ম দেব রায় ওই এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ভীস্ম দেব রায়ের ভাই ফুল কুমার রায় ও ভাতিজা মিলন চন্দ্র রায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার জাহিদুল ইসলাম, পিয়ারুল ইসলাম ‍ও মো. হুমায়ুন সঙ্গে এক খণ্ড জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল নিহত ভীস্ম দেব রায়ের। পরে ভীস্ম দেব রায় বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক উক্ত মামলার রায় তার পক্ষে প্রদান করে জাহিদুলদেরকে জমিটি ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে সেই জমিতে ভীস্ম দেব রায় স্থানীয় কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ধান রোপণ করতে যায়। সেই সময় জাহিদুল আরও লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে জমিতে এসে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় জাহিদুল কাঁঠের পাড় দিয়ে ভীস্ম দেব রায়ের মাথা আঘাত করেন ও হুমায়ুনের লোহার রড দিয়ে ভীস্ম দেব রায়ের ভাতিজা মিলন চন্দ্র রায়ের মাথায় আঘাত করেন। আর পিয়ারুল ইসলাম ভীস্ম দেব রায়ের ভাই ফুল কুমার রায়ে হাত ভেঙ্গে দেন। এরপর বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তারা।

শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক ভীস্ম দেব রায়কে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আহত রয়েছেন আরও দুইজন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

ব্যর্থতার মধ্যেই নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে হাত জিইডির



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়/ছবি: সংগৃহীত

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ, সরকারের রাজস্ব আহরণ ও ব্যয় বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতার মধ্যেই নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজে হাত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।

নতুন পরিকল্পনায় সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা পুনরুদ্ধারের বিষয়টিকে শীর্ষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের অংশ হিসেবে জিইডির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে উচ্চ পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে জিইডির সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহাম্মদ বলেন, আগামীতে আমাদের প্রধান ফোকাস হবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বাড়ানো। এটা করা না গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উচ্চ আয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়তে হলে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন। বেসরকারি বিনিয়োগ টানতে হলে অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যয় বাড়তে হবে। আর এর জন্যে প্রয়োজন হবে সরকারের বাড়তি রাজস্ব।

অবকাঠামো ছাড়াও বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা ও উৎসাহ দিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর ভর্তুকি ও প্রণোদনা কমিয়ে দিতে হবে। এই অবস্থায় আগামীতে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও রফতানিতে ভর্তুকি ও প্রণোদনার বিকল্প হিসেবে কী ধরনের সুযোগ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগামী পরিকল্পনায় দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়কে বিশেষভাবে প্রধান্য দিয়ে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

ড. মো. কাউসার আহাম্মদ বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর নমনীয় ঋণ পাওয়ার সুযোগ কমে আসবে। রফতানিতে প্রণোদনা বন্ধ করে দিতে হবে। কৃষি ও শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকিও কমাতে হবে। মেধাস্বত্বের রেয়াতি সুবিধাও থাকবে না। অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা (জিএসপি) কমে আসবে। এ সব সমস্যার সমাধানে করণীয় সংক্রান্ত একটি আলাদা চ্যাপ্টার নতুন পরিকল্পনায় থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

শিল্পায়নে আগামীতে চামড়া ও চামড়াজাত, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষি নির্ভর শিল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জিইডি সদস্য।খাতভিত্তিক সিএমএসএমই শিল্প প্রাধান্য পাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

আগামীতে ব্লু ইকোনমি ও স্পেস ইকোনমিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ানো হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সভা করেছেন পরিকল্পনা কমিশনে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ব্লু ইকোনমিতে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এ সব নির্দেশনার প্রতিফলন থাকবে বলেও তিনি জানান।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০ সাল থেকে বাস্তবায়নে আসা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৩২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য থাকলেও গত অর্থবছরে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রাথমিক হিসাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

চলতি অর্থবছরে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সাড়ে আট শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থাকলেও নতুন বাজেটে ৬.৭৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিদায়ী অর্থবছরে মুল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ৭০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য থাকলেও গত মে মাস পর্যন্ত আগের এক বছরের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িযেছে ৯.৭৩ শতাংশে।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় ২০২০ সালে বেসরকারি বিনিয়োগ ছিল জিডিপির ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা জিডিপির ২৬.১ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য থাকলেও পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে তা ২৩.৫১ শতাংশে নেমে এসেছে।

বিনিয়োগের মত রাজস্ব আহরণ এবং সরকারি বিনিয়োগেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিএস। রাজস্ব আহরণ ২০২০ সালে জিডিপির ৯ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে গত অর্থবছরে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য থাকলেও তা ৯ দশমিক ৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রয়েছে।

২০২০ সালে সরকার জিডিপির প্রায় ১৫ শতাংশ ব্যয় করলেও গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তা জিডিপির ১৪ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। অথচ এ সময়ে সরকারি ব্যয় জিডিপির প্রায় ১৮ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য ছিল।

;

বিশেষ ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাবেন স্পিকার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
বিশেষ ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাবেন স্পিকার।

বিশেষ ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাবেন স্পিকার।

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা বিশেষ ট্রেনে চড়ে পর্যটন নগরীতে ভ্রমণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এজন্য ঈদ স্পেশাল ট্রেন-৯’ -এ সুপার সেলুন কোচ সংযোজনের অনুরোধ জানিয়ে রেলের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (০৩ জুলাই) দেওয়া এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপককেও পাঠানো হয়েছে। রেলমন্ত্রীর পর সরকারের এই প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই রুটে ট্রেনে ভ্রমণ করবেন।

স্পিকারের একান্ত সচিব (অতিরিক্ত সচিব) এম এ এ কামাল বিল্লাহর সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, 'জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (এমপি) আগামী ১৮-২০ জুলাই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা সফর করবেন। সে লক্ষে স্পীকার বিমানযোগে ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম গমন করবেন এবং পরবর্তীতে ১৯ জুলাই চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার রেলওয়ের সুপার সেলুন কোচে ভ্রমণের সদয় অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। এতপ্রেক্ষিতে আগামী ১৯ জুলাই সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার অভিমুখী 'ঈদ স্পেশাল ০৯' ট্রেনে একটি সুপার সেলুন কোচ সংযোজন করা প্রয়োজন। উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।'

চট্টগ্রাম রেলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'স্পিকার মহোদয় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনে কক্সবাজার যাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। নির্ধারিত দিনে বিশেষ সেলুন কোচ সংযোজন করা হবে।'

;

বিমানের টিকেটে অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ চায় সংসদীয় কমিটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন সেবার, টিকিটের মূল্য অনিয়ম প্রক্রিয়া বন্ধকরণের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমানের ফ্লাইট সিডিউলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং মানোন্নয়নে কার্যক্রম বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪র্থ বৈঠকে এই রিপোর্ট জানতে চেয়েছে। বৈঠক কমিটির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, আনোয়ার হোসেন খান, আশেক উল্লাহ রফিক, শেখ তন্ময়, মাহমুদ হাসান ও মো. খসরু চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড এর অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী জনবল কাঠামো, অনুমোদিত জনবল, শূন্য পদের বিবরণ ও নিয়োগ কার্যক্রম, আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের বিধি বিধান সম্পর্কে আলোচনা হয়।

এসময় স্থায়ী কমিটি বিমানের যেসব ভূমি বা ভূসম্পত্তি অব্যবহৃত রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়। পাশাপাশি যে সমস্ত এয়ারক্রাফটের ত্রুটি আছে তা শনাক্ত করে ত্রুটি অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করা হয়।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;