‘ডেঙ্গু মোকাবেলায় পরিকল্পিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভায়/ছবি: বার্তা২৪.কম

ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভায়/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম সিটি (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীতে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোধে আমাদের সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনার মতো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুরে চসিকের টাইগারপাসস্থ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, নগরীর প্রত্যেক সংস্থা, সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, মসজিদে জুমার নামাজে মাধ্যমে নাগরিকদের সচেতন করতে পারলে করোনার মতো ডেঙ্গুও প্রতিরোধ সম্ভব।

তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে যে সমস্ত জায়গায় এডিস মশা জন্মায়, সেই সমস্ত জায়গায় যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সেই ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে। নালা-নর্দমায় এডিস মশা জন্মায় না। পরিস্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বসা-বাড়ির আশে-পাশে ডাব ও নারকেলের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ছাদ বাগান ও ফ্রিজে জমানো পানি তিন দিনের বেশি যাতে জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসা বাড়ি, ছাদ-আঙ্গিনা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব। তিনি চট্টগ্রাম নগরীকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ ডেঙ্গু প্রতিরোধে তাদের মতামত প্রদান করেন।

চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাইরেক্টর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল তসলিম, ফৌজদার হাট বিআইটিআইডি পরিচালক ডা. মো. সাখওয়াত উল্লাহ্, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েল ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার ডা. হোসাইন সরোয়ার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার(রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. মো. নরুল হায়দার, ভারপ্রাপ্ত জেলা কীটতত্ববিদ সৈয়দ মো. মঈন উদ্দীন।

উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ।

ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তিস্তা, রংপুরে ৫ হাজার পরিবার পানি বন্দি



আমিনুল ইসলাম জুয়েল,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বর্ষণে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে রংপুরের ৩টি উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেক বাড়ি ঘর ছেড়ে গবাদি পশুসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। বর্তমানে পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্যসহ বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের তালপট্টি, আলফাজ টারী, নরশিং, হরিণ চরা কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর মটুকপুর, চর ছিলাখাল, মধ্য চিলাখাল, লক্ষ্মিটারী ইউনিয়নের চর ইচলি, পশ্চিম ইচলি, চল্লিশসাল ও নোহালী ইউনিয়নের বাগডহরা, মিনার বাজার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বানভাসি ও বন্যায় ঘর-বাড়ি ভেঙে যাওয়া পরিবারগুলোর দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। গবাদিপশু-পাখি সঙ্গে নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন রাস্তার ধারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও বিভিন্ন খোলা স্থানে। ভাঙন হুমকিতে থাকায় আগে-ভাগেই অনেক পরিবার তাদের বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে টিউবওয়েল, রান্নার চুলা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট। পানিবন্দি পরিবারগুলো দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে বাদাম খেত ও আমন ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন শাকসবজির খেত।

চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। মর্ণেয়া ইউনিয়নের আলফাছটারী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনে গত চারদিনে ওই এলাকায় অন্তত অর্ধশত পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে পানিবন্দি পরিবারগুলোর। ভাঙন আতঙ্কে অনেকে বাড়িঘর-আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, এবার গঙ্গাচড়ায় তিস্তায় বিলীন হয়েছে শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি। কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি আর ভারতের সিকিম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। এতে রংপুরের গঙ্গাচড়ার চারটি ইউনিয়নের প্রায় ১০০টি পরিবারের ঘর-বাড়ি তিস্তায় বিলীন হয়েছে। ২৫০ টিরও বেশি পরিবার ভাঙন আতঙ্কে তাদের ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে গঙ্গাচড়া উপজেলার প্রায় ৫ হাজার পরিবার।

মর্ণেয়া ইউনিয়নের বানভাসী আফসার আলী (৪৮) বলেন, ১০ দিন থাকি পানিবন্দি হয়্যা (হয়ে) আছি। হামার চেয়ারম্যান, মেম্বার, সরকারি লোক কায়ো (কেউ) একনা (একবার) দেখপার আইসে নাই (দেখতে আসেনি)।

কোলকোন্দ ইউনিয়নের খালেদা বেগম জানান, নদী থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে হামার বাড়িটি আছিলো। বুধবার রাতে রান্নাঘরসহ তিনটি ঘর নিমেষেই তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

এদিকে মর্ণেয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জানান, গত কয়েকদিনে তার ইউনিয়নে অর্ধশত পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এক হাজারের বেশি পরিবার।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, ‘আমাদের কাছে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া মর্ণেয়া ইউনিয়নের এখন পর্যন্ত ২০টি পরিবারের তালিকা আছে। আমরা আরও খোঁজখবর নিয়ে তালিকা করছি। তবে ভাঙন হুমকিতে থাকায় কোলকোন্দ, নোহালী, মর্ণেয়া, লক্ষ্মিটারী ইউনিয়নের প্রায় দুইশ ৫০টির মতো পরিবার তাদের বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য নদীখনন, সংরক্ষণ ও তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এসময় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুব রহমান বলেন, প্রবল বর্ষণ আর উজানের ঢলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিস্তায় পানি বাড়া-কমায় গঙ্গাচড়ায় কিছু স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

ছেলের বিয়েতে ৫০০ টাকা করে দিতে অধ্যক্ষের নোটিশ!



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রধান ফটক।

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রধান ফটক।

  • Font increase
  • Font Decrease

ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কর্মচারীদের দাওয়াত দিয়ে বাধ্যতামূলক ৫০০ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মোহসীন কবীর!

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) কলেজের প্রধান সহকারী মামুনের স্বাক্ষর করা একটি নোটিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন নেটিজেনরা।

২৪ জুনের সেই নোটিশে বলা হয়েছে, 'কলেজের সব কর্মচারীর জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১২ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবে অধ্যক্ষের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত আয়োজনে আপনি নিমন্ত্রিত।'

আরও উল্লেখ রয়েছে, 'অনুষ্ঠান উপলক্ষে সব কর্মচারীকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে ৫০০ টাকা কলেজের ক্যাশ সরকার মো. আবুল হোসেনের কাছে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে জমাদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।'

ফেসবুকে এমন নোটিশ দেখে জাকির হোসাইন নামের একজন লিখেন, ‘স্মার্ট চাঁদাবাজির নমুনা সত্যিই নিদারুণ; এই মুহূর্ত থেকে নিজেকে সত্যি স্মার্ট দেশের নাগরিক মনে হচ্ছে!’

বিয়ের দাওয়াতে যেতে টাকা দেওয়ার নোটিশের বিষয়ে প্রধান সহকারী মামুনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কর্মচারীদের দাওয়াত দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও টাকা নেয়ার এমন তথ্য জানতেন না বলেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহসীন কবীর।

তিনি বলেন, ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কলেজ সংশ্লিষ্ট অনেক অতিথিকে কার্ড এবং মুখে দাওয়াত দিয়েছি। সবাইকে খালি হাতে আসার অনুরোধ করেছি।’

তবে যে বা যারা টাকা নেওয়ার নোটিশ দিয়েছেন, তাদের কারণ দর্শনোর নোটিশ দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধ্যক্ষ।

;

সিএমপিতে ৩২তম কমিশনার সাইফুল ইসলামের যোগদান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
উপ-মহাপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম।

উপ-মহাপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৩২তম কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছেন উপ-মহাপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) সিএমপির সদর দফতরে তিনি যোগদান করলে সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নবনিযুক্ত কমিশনারকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন।

পরবর্তীতে দামপাড়ার সিএমপি সদর দফতরে পুলিশের একটি চৌকশ দল সশস্ত্র সালাম প্রদান করেন। এরপর নবনিযুক্ত সিএমপি কমিশনার দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের জনক চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ প্রমুখ।

এর আগে ২৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. সাইফুল ইসলামকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়।

সিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম পাবনা জেলার একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০০১ সালে ২০তম বিসিএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। সিএমপিতে যোগদানের পূর্বে তিনি এমআরটি পুলিশের ডিআইজি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি বরিশাল ও বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

;

দুই দেশের সম্পর্ক এখন অভূতপূর্ব উন্নত হয়েছে: ভারতীয় নৌপ্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
পদক তুলে দিচ্ছেন ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার।

পদক তুলে দিচ্ছেন ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার।

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করেছে। দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যকার অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় মহড়াসমূহ পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কেরই প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন, ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমিতে ‘মিডশিপম্যান ২০২১ বি ব্যাচ’ এবং ‘ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৪’ ব্যাচের গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এসময় তিনি তার বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান দীনেশ কুমার তার বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেই সঙ্গে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয়দের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করেছে। দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যকার অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় মহড়াসমূহ পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কেরই প্রতিফলন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২১ বি ব্যাচের ৫৭ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২৪-এ ব্যাচের ১২ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৬৯ নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন। তাদের মধ্যে ৯ জন নারী মিডশিপম্যান এবং একজন নারী ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার রয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারীদের হাতে পদক তুলে দেন।

মিডশিপম্যান ২০২১ বি ব্যাচের মিডশিপম্যান মুনকাসীর আবেদীন আলভী সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী সেরা চৌকশ মিডশিপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ অর্জন করেন।

এছাড়া মিডশিপম্যান মো. তাওসিফ উল হক, (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ প্রধান স্বর্ণপদক’ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৪এ ব্যাচের অ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট মোনাজাত-ই জান্নাত সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ পান।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, ভারতীয় প্রতিনিধি দল এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

;