দুই কন্যাসহ বেনজীর দম্পতির সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জিসান মির্জা

বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জিসান মির্জা

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী এবং দুই কন্যার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিতে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নোটিশে সম্পদের হিসাব জমা দিতে ২১ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, আপনারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। নিজ ও আপনাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন।

এ আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রের তথ্যানুসারে বেনজীর আহমেদ সপরিবারে বিদেশে রয়েছেন, এখনও দেশে ফেরেননি।

এর আগে, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

তবে বেনজীর আহমেদের দাবি ছিল, কিছু তথ্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানায়, বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের জব্দ জমি বিক্রি, হস্তান্তর বন্ধে আদালতের আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার ও সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়। জমি অন্য কারোর নামে যাতে নামজারি না করা হয়, সেজন্য আদালতের রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড অফিসে পাঠানো হয়। এছাড়া, কোম্পানির মালিকানা হস্তান্তর বন্ধে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরে আদালতের ওই আদেশ পাঠানো হয়। একইসঙ্গে ব্যাংকে জমা থাকা টাকা উত্তোলন বন্ধে অবরুদ্ধের আদেশ সোনালী ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যাংকে পাঠানো হয়।

গত ২৩ মে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন আদালত। অন্যদিকে, গত ২৬ মে আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। গত ২৩ মে তাদের নামীয় ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৩টি হিসাব জব্দ ও অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৬২৭ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়।

এরই ধারবাহিকতায় বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।

পাঁচ বছরেও কার্যক্রম শুরু হয়নি ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান/ছবি: বার্তা২৪.কম

ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিত্তি স্থাপনের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ও উচাখিলা ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বিশাল চরাঞ্চলে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রস্তাবনা ছিল।

জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চলটির অবস্থান হলেও ব্রহ্মপুত্র নদটি ত্রিশাল উপজেলা সীমানায় থাকায় এর কিছু অংশ ত্রিশাল সীমানায় রয়েছে। আর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে ত্রিশাল উপজেলা হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেতে সহজ যাতায়ত এবং ঢাকার সাথে অন্তত ৩০কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসবে। এর ফলে দুই উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়নে অগ্রগতি না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা হতাশ হচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিনিয়োগ আকর্ষণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নতুন করে ৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান চূড়ান্ত করে। এর মধ্যে সরকারিভাবে পাঁচটি ও বেসরকারি উদ্যোগে বাকি চারটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। এই ৯টির একটি ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল, যেটি সরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস ময়দানে আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে ময়মনিসংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নামফলক উদ্ধোধন করেছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ২০১৬ সালের ১৬ মে ৪৮৭ দশমিক ৭৭ একর জমি নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে ৪৫৪ দশমিক ৮৪ একর বন্দোবস্ত ও ৩২ দশমিক ৯৩ একর অধিগ্রহণ করার কথা। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট ভূমি মন্ত্রণালয় বেজার অনুকূলে সেই জমি বন্দোবস্ত করে দিতে ও প্রয়োজনী কিছু তথ্য চেয়ে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়। একই মাসে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটির স্থান পরিদর্শন করে।

তারা কিছু জমি ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে যাওয়ায় নতুন করে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেয়। পরে ওই বছরের ২৪ অক্টোবর ৪৯২ দশমিক ৩৬ একর জমি নিয়ে নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-২ থেকে ২০২০ সালের ১ মার্চ পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চররামমোহন মৌজায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত বিভিন্ন দাগের ৪২৩ দশমিক ৬১ একর খাস জমি ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও প্রস্তাবিত জমি নিয়ে মামলা চলছে। তাই বন্দোবস্ত দেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই।

পরে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নতুন একটি চিঠি দেওয়া হয়। তাতে মামলার কারণে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার সুযোগ না থাকায় ২০০ একর জমি নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী ২০২২ সালের ৫ জুন তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিকল্প হিসেবে ২০০ একর জমির প্রস্তাব জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেন। তারপর অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্বাচিত স্থানে ব্র‏হ্মপুত্র নদ খনন করে বালু ফেলে উঁচু করা হয়েছে। এর বাইরে দৃশ্যমান আর কোনো অগ্রগতি নেই। বর্তমানে এখানে কোনো কার্যক্রম নেই।

উচাখিলা গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে ইপিজেড হলে ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পারের মানুষের জীবন পাল্টে যেত। মানুষের কর্মসংস্থান হলে বেকারত্ব কমতো এবং জীবনমান আরো উন্নত হতো। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন চাচ্ছি।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাইল হোসাইন বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ২শ একর জমির বন্দোবস্তের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী অধিগ্রহণ করতে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। মন্ত্রণালয় থেকে নিদের্শনা আসলে আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।

ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর সাহা বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। আমরা বার বার এই অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের জন্য চেম্বারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি। কিন্তু অগ্রগতি হয়নি। এটি বাস্তবায়ন হলে শিল্পায়নের পাশাপাশি বহু মানুষের কর্মসংস্থান হতো। অর্থনৈতিকভাবে ময়মনসিংহ জেলার গুরুত্ব আরো বাড়তো। আমরা চাই দ্রুত এটি বাস্তবায়ন হোক।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ জানান, ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে নতুন কোনো তথ্য নেই। এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে ত্রিশাল থেকে ঈশ্বরগঞ্জ যোগাযোগ সহজ হবে। এখানকার মানুষের জীবন মান উন্নত হবে।

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে নতুন কোনো অগ্রগতি নেই। জায়গাটি মাটি ভরাট করে রাখা আছে। নতুন কোনো নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

;

৫৮ প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি টাকা দিলেন বাহাউদ্দিন নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এক কোটি টাকা টাকার একাউন্ট পে চেক প্রদান বাহাউদ্দিন নাছিমের

এক কোটি টাকা টাকার একাউন্ট পে চেক প্রদান বাহাউদ্দিন নাছিমের

  • Font increase
  • Font Decrease

অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের (টি আর) জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত নিজ আসনের ৫৮টি মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সামাজিক সংগঠনকে ১ কোটি টাকা টাকার একাউন্ট পে চেক প্রদান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে নিজ অফিসে এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি চেক হস্তান্তর করেন।

ঢাকা-৮ আসনের আওতাধীন মতিঝিল, রমনা, পল্টন, শাহবাগ ও শাহাজাহানপুরের ৫৮টি ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের মধ্যে ঢাকা কমলাপুর পুরাতন বাজার জামে মসজিদ, রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদ, বি আর টি সি বাস ডিপো জামে মসজিদ, মতিঝিল ঝিলপাড় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জামে মসজিদ, ইডেন জামে মসজিদ, টি অ্যান্ড টি কালানী মসজিদ, গাউসুল আযম রেলওয়ে জামে মসজিদ, বাইতুল মদিনা রেলওয়ে জামে মসজিদ, শাহজাহানপুর পুলিশ ফাঁড়ি জামে মসজিদ,পর্ব মালিবাগ আল আকসা জামে মসজিদ, হাজী আব্দুল কাদির জামে মসজিদ,নয়াপল্টন জামে মসজিদ, দক্ষিণ কমলাপুর কবরস্থান মাদ্রাসা, দারুল জামিয়া উলুম মসজিদ ও মাদ্রাসা,মদিনাতুল উলুম আদর্শ মহিলা মাদ্রাসা,মিসবাহুল উলুম কামিল মাদ্রাসা,জামিয়া মাহমুদিয়া রেলওয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানা রয়েছে।

এছাড়াও কমলাপুর শেরে বাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়, আরামবাগ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পোস্ট অফিস হাই স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শান্তিবাগ উচ্চ বিদ্যালয়,শহীদ ফারুক ইকবাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা সরকারী বধির হাই স্কুল, শ্রী শ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির, বুড়া শিব মন্দির (শিববাড়ী), ফকিরাপুল মাছ বাজার ও কাচাবাজার, টি অ্যান্ড টি ক্লাব, এ.জি.বি কলোনী আইডিয়াল জোন প্রগতি মাট, রাজারবাগ পি ডব্লিউ ডি স্টাফ কোয়ার্টার, শান্তিনগর বাজার রয়েছে।

এ বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় এদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে। তারা জনগণের উন্নয়নে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা চায় যাতে এদেশের জনগণ ভালো থাকে। তাই তিনি দেশের মানুষের জন্য ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রসা, সামাজিক সংগঠনের জন্য নানা বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। তারই একটি অংশ যা আমি আমার আসনের জন্য বরাদ্দ পেয়েছি তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রদান করেছি। আগামী দিনেও যাতে এ আসনের প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য আমি কাজ করে যাব।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা ৮ আসনের জনগণ আমাকে ভরসা করে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি আমার জায়গা থেকে তাদের যে স্বপ্নগুলো রয়েছে তা পূরণ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এ আসনের জনসাধারণের যে সমস্যাগুলো রয়েছে আস্তে আস্তে সবগুলোরই নিরসন হবে ইনশাল্লাহ। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। কেউ আমাদের এই অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে পারবেনা। ঢাকা ৮ হলো ঢাকার হার্ট, হবে স্মার্ট।

;

ওয়াকওয়েতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল চালক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় এক পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে পালানোর সময় সমুদ্র সৈকতের ওয়াকওয়েতে ধাক্কা লেগে মন্জুর আলম সিপন (২২) নামের এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও দু’জন।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে পতেঙ্গা সৈকত জোনে ওয়াকওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আশীষ দে।

নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম মন্জুর আলম সিপন ডবলমুরিং থানার ধনিয়ালাপাড়ার আব্দুল মতিনের ছেলে। আহত শিশুর নাম মাইমুন আক্তার কোতোয়ালীর চাক্তাই চামড়ার গুদাম এলাকার মামুনুর রশিদের মেয়ে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন বলেন, মোটরসাইকেল আরোহী ওই যুবক পথচারী এক শিশুকে মেরে দিয়ে পালানোর সময় সমুদ্রসৈকতের ওয়াকওয়েতে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মারা যায়। মোটরসাইকেল আরোহী ও আহত পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

পরিচয় নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, পতেঙ্গা সি বীচে বাইক দুর্ঘটনা গুরুতর আহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত শিশুকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেয়।

;

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজধানীতে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে পাঁচ ঘণ্টা ধরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে সায়েন্স ল্যাব, মিরপুর সড়ক, মতিঝিলের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অনেকেই হেঁটে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা মোড় অবরোধ করে রেখেছেন।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। পরে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দ্য সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, উপাচার্যের বাসভবন, রাজু ভাস্কর্য ঘুরে শাহবাগ এসে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

স্বাভাবিক সময়ে মোটরসাইকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট যেতে পনের মিনিটের মতো সময় লাগে। কিন্তু আজ বিকেল ৩টার দিকে এই পথ যেতে দেড় ঘণ্টার মতো সময় লাগার কথা জানালেন এক ভুক্তভোগী। রাজধানীর অন্যান্য অংশের অবস্থাও একই রকম বলে কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান। অবশ্য মোটরসাইকেল আরোহীদের চেয়ে বাসের যাত্রীদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।

হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থী অনামিকা বলেন, পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হয়ে দেখি রাস্তায় তীব্র যানজট। ইচ্ছে ছিল দ্রুত বাসায় গিয়ে রেস্ট নেবো। যানজটের কারণে সেটা হচ্ছে না।

আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রাকিব হাসান বলেন, সকাল থেকে প্রচণ্ড যানজট শুরু হয়েছে। হয়তো শাহবাগের প্রভাবে যানজট সারা রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এত যানজট আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।

কাওরানবাজারে বিকল্প পরিবহনের বাসচালক বাবু বলেন, কয়েক দিন ধরে শাহবাগ আন্দোলনের কারণে রাস্তায় জ্যাম বাড়ছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি আমাদের আয় কম হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে থাকতে হয়। অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটেই চলে যাচ্ছেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সালমান বলেন, আমরা দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। সারাদেশের ছাত্রসমাজ আজ জেগে উঠেছে। শাহবাগ, সাইন্সল্যাব রোড এবং মেট্রোরেল বন্ধ করতে পারলে এই আন্দোলন সফল হবে।

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ৫ জুন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত। ওই দিন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। এ অবস্থায় আদালতের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়।

সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, তাদের দাবি মূলত তিনটি ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পুনর্বণ্টন বা সংস্কার; চাকরির পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনে ছাত্রলীগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার অভিযোগ করেন।

ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন।

;