বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে প্রতারণা, দুই ভুয়া চিকিৎসককে জরিমানা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৈধ কাগজপত্র ও যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে নাক, কান, গলা ও দাঁতের সেবা দেয়ার অপরাধে দুই ভুয়া চিকিৎসককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের চেম্বারও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুমারখালী পৌরসভার হলবাজার এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল আরাফাত জানান, বৈধ কাগজপত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আবুল বাসার সেতু মেডিসিন, নাক, কান ও গলা রোগের চিকিৎসা দেয়ার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। তিনি প্রায় এক বছর ধরে হলবাজার এলাকায় ডক্টর ভেলি নামক চেম্বার খুলে এ কাজ করছিলেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভুয়া চিকিৎসক সেতুকে ৫০ হাজার টাকা এবং একই এলাকায় বৈধ কাগজপত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়ায় দন্তজনিত রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও প্যাড ব্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করায় ভুয়া চিকিৎসক তারেক মাহমুদ তরুকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। ভুয়া চিকিৎসক তারেক মাহমুদ তরু প্রায় তিন বছর ধরে জনসেবা ডেন্টাল কেয়ার নামক চেম্বার খুলে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, তাদের চেম্বার দুটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এসময় তাকে সহায়তা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রিফাত হিমেল।

এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

যমুনার পানিতে ভেঙে গেল রাস্তা, হাজারো মানুষের দুর্ভোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
যমুনার পানিতে কয়েড়ায় রাস্তা ভাঙন, ছবি: বার্তা২৪.কম

যমুনার পানিতে কয়েড়ায় রাস্তা ভাঙন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কয়েড়ায় নতুন ব্লক ইটের রাস্তা ভেঙে গেছে। ফলে কমপক্ষে কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম জনদুর্ভোগে পড়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে পানির তীব্র স্রোতে রাস্তাটি ভেঙে যায়। মুহূর্তেই পুরো এলাকায় পানি প্রবেশ করে। রাস্তাটির ভাঙন দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।

এদিকে, কয়েড়ার রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার ফলে চর কয়েড়া, কয়েড়া, আকালু ও নলুয়া গ্রামসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। যার কারণে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে কয়েড়া এলাকার পুঁইশাক, ঢেঁড়শ, কাঁচা মরিচ, ধুন্দুল, কলমি শাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি-ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

রোববার (৭ জুলাই) স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কয়েড়া পূর্বপাড়া, দক্ষিণপাড়া, চর কয়েড়া, আকালু ও নলুয়া যাওয়ার একমাত্র সংযোগ রাস্তা। কয়েক মাস আগে রাস্তার পিচ উঠিয়ে যত্রতত্রভাবে ঠিকাদার ব্লক ইটের রাস্তা পাকাকরণের কাজ করে। এনিয়ে স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এছাড়া রাস্তাটিতে আগে বেশ কয়েকটি কালভার্ট থাকলেও জমির মালিকরা সেটি বন্ধ করে দেয়। যার ফলে অল্প পানি হলেই রাস্তা তলিয়ে যায় এবং প্রতি বছর বন্যায় রাস্তা ভেঙে যায়। এরই ন্যায় গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে পানির ব্যাপক স্রোতের কারণে নতুন ব্লক ইটের রাস্তাটি প্রায় ১৫ মিটার অংশজুড়ে ভেঙে যায়। রাস্তাটি ভেঙে গেলেও এখন পর্যন্ত মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়নি।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, সুমন সরকার, রাশেদ আলীসহ অনেকেই জানান, কালভার্ট না থাকায় প্রতি বছর বন্যায় রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানেও ভাঙন দেখা দেয়। ফলে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল, মাদরাসা, কলেজগামীরা বেশি বিপাকে পড়েন। এসময় ভেঙে যাওয়া রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করার জোর দাবি জানান তারা।

কয়েড়া ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার বলেন, ‘ভেঙে যাওয়া রাস্তায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউএনও মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। এছাড়াও একই গ্রামের উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সামনেও আরও বেশি ভেঙেছে। আপাতত মানুষের যাতায়াতের জন্য অতি দ্রুতই বাঁশের সাঁকো নির্মাণের কাজ শুরু হবে’।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশীদ জানান, ‘গোবিন্দাসী কয়েড়া গ্রামের রাস্তাটি পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি এবং ভাঙনের কারণে কয়েক এলাকার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তা করে অতি দ্রুত বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমে যাতায়াতের জন্য উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

এদিকে, একইদিন শনিবার সকালে যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে উপজেলার একই ইউনিয়নের গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া-চিতুলিয়াপাড়ার সংযোগ রাস্তা প্রায় ৩০ মিটার অংশ ভেঙে যায়। সেখানেও প্রায় একই চিত্র। চারটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এতে বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের চলাচল। ফলে আশপাশের এলাকায় পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

;

বাংলা ব্লকেডে অচল রাজধানী, সীমাহীন ভোগান্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যানজটে অচল রাজধানীবাসী

যানজটে অচল রাজধানীবাসী

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, শাহবাগ, নীলক্ষেত, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় ও চানখারপুলে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। একদিকে দীর্ঘ যানজট অন্যদিকে গরমে হাঁসফাঁস করছে নগরবাসী।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়গুলো অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

যান চলাচল স্থবির হয়ে আছে

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দিয়েছি তো রক্ত আরও দেব রক্ত’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে’, লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা না মেধা মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে. সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোস্তাফিজুর রহমান বিকেল ৫টার দিকে প্রাইভেটকারে মতিঝিল থেকে খিলক্ষেতের দিকে যাচ্ছিলেন। এই দূরত্ব যেতে তার সাধারণত ৩০-৪০ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু আজ সপ্তাহের শুরুর দিনে শাহবাগ থেকে ফার্মগেট রুটে ব্যাপক যানজটে পড়েন তিনি। পরে রুট বদলে অন্য পথে এক ঘণ্টার বেশি সময় পর তিনি গন্তব্যে পৌঁছান।

আজওয়াদ রহমান নিহান। খিলক্ষেত থেকে বাসে বাংলামোটর আসতে তার এক ঘণ্টা লাগলেও আজকে তিনি ২ ঘণ্টাতেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। শুধু আজওয়াদ রহমান নয়; এ চিত্র বের হওয়া প্রতিটি মানুষের।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে পথশিশুরা

গন্তব্যে পৌঁছানোর প্রায় দেড় থেকে ২ ঘণ্টা হাতে সময় নিয়ে বেরিয়েছিলেন রাসেল আহমেদ। বিমানবন্দর থেকে মহাখালী আসতেই তার ২ ঘণ্টা শেষ। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দিনের বেশিরভাগ সময় এখন রাস্তাতেই কেটে যাচ্ছে। বাসা থেকে অফিস যেতে আর অফিস থেকে বাসায় ফিরতে প্রতিদিন পথেই সময় যায় ৫ ঘণ্টা।

ব্যক্তিগত গাড়ি করে বাসায় ফিরছিলেন আল্পনা আক্তার। তিনি তার এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘ জ্যাম ঠেলে ধানমন্ডি এসেছেন। সাধারণ মানুষের খুব ভোগান্তি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দুপুর দুইটা থেকে রাস্তায় বসে আছি, এখন সাড়ে তিনটা বাজে।

গান আর স্লোগানে মুখর বাংলামোটর মোড়

এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহনের বাসচালক রুবেল বলেন, গাড়ি নিয়ে বাংলামোটর আসতেই দেখি রাস্তা বন্ধ। এখানেই প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। কখন ছাড়বে জানি না।

ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) নবকুমার বিশ্বাস বলেন, কলাবাগান সাইন্সল্যাব, ধানমন্ডি, নীলক্ষেত আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পুরো সড়ক বন্ধ হয়ে আছে। কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। তবে ধানমন্ডি থেকে গাবতলীর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

যানজটে নাকাল বাস ও সিএনজি চালকরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের কয়েকদিন ধরে চলা আন্দোলনে যানজটের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে অসহনীয় পর্যায়ে।

;

বগুড়ায় ডোবার পানিতে ডুবে দু’বোনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় ডোবার পানিতে ডুবে দু’বোনের মৃত্যু/ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় ডোবার পানিতে ডুবে দু’বোনের মৃত্যু/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় ডোবার পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (০৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের বারোপুর উত্তর মধ্যপাড়া বড়বাড়ী এলাকায় একটি ডোবা থেকে দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মারা যাওয়া দুই বোন হিমা আকতার (৫) জান্নাতি (আড়াই)। তারা বারপুর উত্তরপাড়া গ্রামের অটোরিকশা চালক হাবিব ইসলামের মেয়ে।

ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাবিবের মা বিপা বেগম বলেন, সকাল ১০টার দিকে দুই বোন খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। আমরা তাদের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করি। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির পেছনের একটি ডোবায় দুই বোনকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে খেলার সময় অসাবধানতাবশত তারা ডোবার পানিতে পড়ে মারা গেছে। পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় দুই বোনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

আগুনের সুযোগে লুটপাট, অভিযোগের তীর ব্যবসায়ী নেতার দিকেই!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিকে আগুনে জ্বলছে মার্কেট। বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন সেখানে আটকা পড়া অনেকেই। অন্যদিকে তখন চলছিল লুটপাট! চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারে অগ্নিকাণ্ডের সময় এক ব্যবসায়ী নেতার বিরুদ্ধে লুটপাটের এই অভিযোগ তুলেছেন অন্য ব্যবসায়ীরা। গত ২৮ জুন রাতের ওই অগ্নিকাণ্ডে তিনজন নিহত হন, পুড়ে যায় বেশকিছু দোকান।

রোববার (৭ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করে রিয়াজউদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের বিরুদ্ধে লুটপাটের এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী নেতা মো. আবুল কালামসহ আরও ৪০-৪৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলা করেন বাজারের ব্যবসায়ী জিতু কুণ্ডু। আবুল কালাম রিয়াজউদ্দিন বাজার ইউনিট আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে শিল্প পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জিতু কুণ্ডের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান তার মামা নারায়ণ কুণ্ডু। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২৮ জুন রাতে ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ অজ্ঞাতনামা ৪০-৪৫ জন লাঠিসোঁটা, রামদা নিয়ে তিনটি গোডাউন ও ২টি বড় দোকানে ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে। দোকানদার তাদের বাধা দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। এ সময় কামাল মিয়ার দোকান থেকে ২০ বস্তা চিনি, মটর ১০ বস্তা, ১০ বস্তা মসুর ডাল, চনার ডাল ১০ বস্তাসহ মোট ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকরা মালামাল লুট করা হয়। জিতু কুণ্ডুর দোকান থেকে ৫ বস্তা চিনি, মসুর ডাল ৬ বস্তা ও চালের বস্তাসহ ৬ লাখ টাকার বেশি মালামাল লুট করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্য আরও বলা হয়, ‘যখন আগুনে পুড়ে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে চোখের সামনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছেন। তখন থানা পুলিশের আচরণ ছিল রহস্যজনক। পুলিশের সহযোগিতা চাইলেও তারা যথাযথ সহযোগিতা করেনি।’

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রিয়াজউদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। আমি লুটপাট করেছি-এরকম কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারবে না। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’

সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী প্রণব কুমার চক্রবর্তী, তার মেয়ের জামাতা টুটুল দাশ, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কামাল মিয়া, মো. খোরশেদ উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;