বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চান না বন্যার্তরা



কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
বন্যায় ঘর ডুবে গেলেও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে নারাজ এই নারী।  ছবি: বার্তা২৪

বন্যায় ঘর ডুবে গেলেও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে নারাজ এই নারী। ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর অববাহিকা প্লাবিত হয়ে জেলার ৭ উপজেলার ৪১ টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের প্রায় ৮২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারাও বন্যার কবলে পড়েছে। এ অবস্থায় সরকারি ত্রাণ কার্যক্রম বাড়িয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

তবে, বন্যায় বাড়ি ডুবে গেলেও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষদের যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছেনা। সংসারের শেষ সম্বলটুকু হারানো ও ভেসে যাওয়ার ভয়ে ডুবে থাকা বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতেও নারাজ পরিবারগুলো। চেষ্টা করছেন ভেসে থাকা টিনের চালা আকড়ে ধরে বাঁচার।

উলিপুরে বন্যার্ত এক খামারির বাড়িতে রাখা গবাদি পশু। 

জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান শাখা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কুড়িগ্রামের প্রায় ৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ৪০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে। কিন্তু সরকারি হিসেব মতে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি মাত্র আশ্রয়কেন্দ্রে কিছু পরিবার থাকার কথা জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলার দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান শাখা। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের প্রথম আলোর চর আলোর পাঠশালা নামের ঐ আশ্রয়কেন্দ্রে ১২টি পরিবার ও কিছু গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রিত ঐ পরিবারগুলো নদী ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়ে সেখানে উঠেছেন। অপরদিকে, বন্যায় কবলিত পরিবারগুলোর আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রবণতা নেই বললেই চলে।

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের কয়েকটি বন্যা কবলিত চরে সরেজমিনে গিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে না যেতে চাওয়ার ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করে বার্তা ২৪. কম। দেখা যায়, যাদের বাড়ি সম্পূর্ণ ডুবে গিয়েছে তারা নিকটবর্তী কোন উঁচু স্থানের আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এবং যাদের বাড়ির টিনের চালা সহ কিছুটা অংশ ভেসে আছে সেখানে কোনমতে কষ্ট করে দিন পার করছেন চরাঞ্চলের বাসীন্দারা। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন টিনের চালায়, কেউবা নৌকাতেই কাটাচ্ছেন দিনরাত।

উলিপুর উপজেলার বতুয়াতুলি মুসার চরের বাসীন্দা নূর জামাল মিয়া। দুজন শ্রমিক ডেকে এনে ঘরের ভেতর গলা পর্যন্ত ওঠা পানিতে আসবাবপত্র ও বিভিন্ন জিনিসপত্র আরও উঁচুতে বেঁধে রাখছেন তিনি। পাশের উঁচু একটি টিলায় হাঁটু পানিতে গবাদিপশু গাদাগাদি করে রাখা। সারাদিন আঙিনায় বেঁধে রাখা নৌকায় বসে কাটছে তার দিন।

মুসার চর এলাকার বন্যা কবলিত এক বাসিন্দা। 

আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বাড়ির সব মালামাল নিয়ে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। পানি বাড়লে জিনিসপত্র আরও উঁচুতে তুলতে হয়। বাড়িতে না থাকলে সব ভেসে যাবে। সেখানে গরু গুলোর যায়গা হবে কিনে কে জানে। মালামাল রক্ষা করতে আমাদের বাড়িতেই থাকতে হয়।

একই চরের বাসিন্দা ফাতেমা বেগমের কন্ঠেও একই ব্যাখ্যা। বাড়ির ৩ টি ঘরে বুক পর্যন্ত পানি ওঠার পর ৬টি গরুসহ ৫ জন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ির একটি উঁচু টিলায় আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। সেখানেই চলে রান্নার কাজ। তিনি বলছিলেন, খাওয়ার কষ্ট, টয়লেট যাওয়ার কষ্ট, থাকার কষ্ট। তারপরেও চোখের সামনে বাড়িটা আছে এটাই শান্তি। এগুলো ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে সবসময় টেনশন হবে। সেখানেও থাকার ব্যবস্থা কেমন সেটা নিয়েও চিন্তা হয়।

কুড়িগ্রামের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে দুই একটি করে পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন এবং মানুষের থেকে গবদি পশুর সংখ্যাই বেশি। উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান জানিয়েছেন, উলিপুরের চর বাগুয়াতে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এর আশেপাশের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে গবাদিপশুর পাশাপাশি দু-একটি করে পরিবার উঠেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার বলেন, আমরা সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় মোট ৪০৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। সেখানে মানুষদের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের আসার জন্য বারবার বলা হচ্ছে। সাধারণত চরম ঝুঁকি না মনে করলে লোকজন আসতে চায়না। তবে আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি।

এদিকে, সরকারি ত্রাণ কার্যক্রম বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলায় মোট ১০৫ মে. টন চাল, ৪ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও নগদ ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে এই ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার যথাক্রমে ৭১ সেন্টিমিটার ও ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি আগামী ৩ দিন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধির হার অব্যহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র।

কোনো সুবিধাই পাচ্ছেন না পদকজয়ী কৃষকরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা এআইপি সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে ২০২০ সাল থেকে। এবারও পাঁচ ক্যাটেগরিতে সিআইপি মর্যাদার এ পুরস্কার পেয়েছেন ২২ জন।

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ সম্মাননা তুলে দেন। তবে ২০২০ সালের পদকজয়ী ১৩ জন পড়েছেন বিপাকে।

২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, তাদের যেসব সরকারি সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই জোটেনি। এদিন সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসে বেশ কয়েকজন এ হতাশা প্রকাশ করেন।

সমকালের কাছে এই কৃষি উদ্যোক্তারা অভিযোগ করেন, কৃষি মন্ত্রণালয় পদক হাতে তুলে দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। যেসব সরকারি সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো এসব সুবিধা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। নীতিমালা শুধু কাগজেই আছে, বাস্তবে নেই। নতুন করে যারা এই পদক পেয়েছেন, তারাও সুবিধা নিতে গিয়ে নানা হেনস্তার শিকার হবেন বলে শঙ্কা অনেকের।

রবিবারের অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। এ সময় এআইপিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে এআইপি নীতিমালা প্রণয়ন করে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সালে ১৩ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়।

এতে বলা হয়েছিল, এআইপি পদকপ্রাপ্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, সচিবালয়ে প্রবেশ পাস, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ; বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার এবং নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধাপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার থাকবে।

এ ছাড়া তারা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পান। তবে ইতোমধ্যে যারা এ পদক পেয়েছেন, তাদের কেউই এমন সুবিধা পাননি।

নাটোরের সফল কৃষি উদ্যোক্তা সেলিম রেজা ২০০ বিঘা জমিতে ‘দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্ম অ্যান্ড নার্সারি’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০২০ সালে এআইপি পদক পেয়েছেন। পদকপ্রাপ্তির সুবিধাগুলো নিতে এক বছরের জন্য তাঁকে একটি কার্ডও দেওয়া হয়েছিল। তবে এই কার্ড দেখিয়ে সুবিধা নিতে গেলে উল্টো তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সেলিম রেজা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পদকজয়ী বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কখনোই কোনো সুবিধা পাওয়া যায়নি, বরং হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে গেলে কর্তৃপক্ষ বলছে, এ রকম কোনো নির্দেশনা নেই। সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কোনো কর্তৃপক্ষই কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনার কথা জানে না।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এআইপি পদকপ্রাপ্তরা কী কী সুবিধা পাবেন, তা জানা নেই। যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, তা কেন পাচ্ছেন না, তা খতিয়ে দেখব। এ বিষয়ে পুনরায় কোনো নির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজন হলেও তা করব। পদকজয়ী কৃষকদের সম্মানিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

;

‘চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করা যায়’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা ১১ আসনের সংসদ সদস্য এম ওয়াকিল উদ্দীন এম.পি।

রবিবার (৭ জুলাই) মাদানী হসপিটাল লিমিটেড এর বৃহৎপরিসরে ইনডোর, আইসিইউ ও এনআইসিইউ সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওয়াকিল উদ্দীন বলেন, ‘চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করা যায়। চিকিৎসা সেবাকে বাণিজ্য না বানিয়ে সেবার মানুষের কাজ করে সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। মাদানী হসপিটালের ম্যানেজম্যান্টের মনোভাব দেখে আমি আশান্বিত হয়েছি। এই মান ধরে রেখে মাদানী হসপিটাল সেবা প্রার্থীদের আস্থার ঠিকানা পরিণত হওয়ার প্রতিদান দিতে হবে।’

হসপিটালের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাঈন উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. ইব্রাহিম মাসুম বিল্লাহর পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আমিন খন্দকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক নর্থ ব্রংকস ইসলামিক সেন্টারের খতিব ও পরিচালক শাইখ সাইফুল আজম বাবর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪০ নং ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম ঢালী, ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের অগে অতিথিবৃন্দ হসপিটালের সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করে সেবামান ও পরিচ্ছনতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

;

চাল আমদানি নয় ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করবো : খাদ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে চাল আমদানি নয় বরং রপ্তানি করবে। তিনি বলেন, বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবেনা।

তিনি রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি হয়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।

তিনি বলেন, পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না। দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা।

উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ওএমএস ও টিসিবির ভর্তূকি মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।

এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ৩ দিনব্যাপী ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা’ উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন এবং শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন।

পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ/২০২৪-২৫ মৌসুমে আমন প্রণোদনা হিসাবে ১২১০ জন কৃষকের প্রত্যেকে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা বিতরণ করা হয়।

;

সহপাঠীর হাতে শিক্ষার্থী খুন, ঘাতক রাজিন র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮) হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চৌধুরী রাজিন ইকবাল (১৮)কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

রবিবার (৭ জুলাই) রাতে হবিগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এই ঘটনায় রাজিন ও তার বাবা ইকবাল হোসাইনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত রাফিতের বাবা আবুল বাশার।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে র‍্যাবের একাধিক সূত্র বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে সহপাঠী রাফিতকে কোচিং শেষে বাসায় ডেকে নিয়ে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাসার সামনে ফেলে রাখেন রাজন।

এই ঘটনা জানাজানি হলে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

;