গাইবান্ধায় বন্যা কবলিত চার উপজেলা, ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি



মাসুম বিল্লাহ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টির ফলে গাইবান্ধায় তিস্তা নদী ছাড়া সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে জেলার সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসহ চার উপজেলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চার উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের অন্তত ২০ হাজার পরিবার। পানিতে তলিয়ে গেছে আউশ ধান, পাট, ভুট্টা ও আমন বীজতলা। এছাড়া তলিয়ে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জেলার ৮০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার সকাল ছয়টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জেলার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ সেন্টিমিটির বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৩৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে, জেলার করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার ১৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং তিস্তা নদীর ২৮ সে.মি কমে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধার যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় ইতোমধ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। চার উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার (সরকারি হিসেবে) মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত গাইবান্ধার সদর উপজেলার ২টি ইউনিয়ন, সুন্দরগঞ্জে ৭টি, সাঘাটা উপজেলায় ৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পানবন্দি হয়ে পড়েছে। এই ২৪ ইউনিয়নে পানিবন্দি ১৭ হাজার ৮২০টি পরিবার। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২ হাজার ১৫০টি , সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৪ হাজার ৭০০টি, সাঘাটা উপজেলায় ৫ পাঁচ হাজা ১৭০টি ইউনিয়ন ও ফুলছড়ি উপজেলার ৬ হাজার ৮০০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। যদিও স্থানীয়দের দাবি বাস্তবে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা আরো অনেক বেশি।

পানিবন্দি মানুষের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ১৮১টি আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমধ্যে সাঘাটা উপজেলায় রয়েছে ৩৬টি, সুন্দরগঞ্জে ৪৮টি, ফুলছড়িতে ২৩টি, সদরে ২৪টি, সাদুল্লাপুরে ৩৩টি, পলাশবাড়ীতে ০৬টি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১১টি আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা রয়েছে।

এদিকে, চার উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে ও বিদ্যালয়ের ভেতরে বন্যার পানি ওঠায় ইতোমধ্যে সদর উপজেলার ১৭টি বিদ্যালয়, ফুলছড়িতে ১৪টি, সাঘাটায় ২১টি এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ জেলার মোট ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। এছাড়াও সাতটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং তিনটি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পানিবন্দি এসব এলাকার মধ্যে ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি, কঞ্চিপাড়া, উড়িয়া ও ফজলুপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্যায় পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি। এসব এলাকার চারদিকেই পানি থৈ থৈ করছে। নিম্নাঞ্চলের সাথে নদী তীরবর্তী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে। শিশু-বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে তারা ধীরে ধীরে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন। পানিবন্দি মানুষদের নৌকা যোগে চলাচল করতে দেখা গেছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি এসব পরিবারগুলো। এসব এলাকার পাট, আউশ ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গনে পাট, ভুট্টা, বাদাম, আউশক্ষেত সহ বিভিন্ন ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ সময় ফজলুপুর ইউনিয়নের মালেক মিয়া বলেন, গত তিনদিন থেকেই নদীতে পানি বাড়ছেই। পানিবন্দি হয়ে গবাদি পশু, শিশু-বৃদ্ধদের নিয়ে নানা সংকটে দিন যাচ্ছে আমাদের। বন্যায় পাট, ভুট্টা আউশ ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। টিউবয়েল পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বর্তমানে বিশুদ্ধ পানির সংকট পড়েছি আমরা।

গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান বলেন, বর্তমানে এই ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। শুধু গজারিয়ায় নয় পানিবন্দি সকল এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট হয়েছে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে জানান, চলমান বন্যায় ইতোমধ্যে চার উপজেলায় ২ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, বীজতলা ও শাক-সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। যদি দ্রুত পানি নেমে যায় তাহলে সেসব ক্ষতির আশঙ্কা কম রয়েছে। আর যদি বন্যা স্থায়ী হয় কিংবা আরো বাড়ে তাহলে কী পরিমাণ ফসল নষ্ট হবে তা পরবর্তীতে জানা যাবে।

গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে মোবাইল ফোনে বলেন, জেলার বন্যা কবলিত চার উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারদিকেই থৈ থৈ পানি। এরমধ্যে কিছু স্কুলের মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে এবং কিছু এলাকায় রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফলে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউই স্কুলে যেতে পারছে না। যার কারণে সেইসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই বা পানি নেমে গেলেই পূর্বের ন্যায় সকল বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু হবে।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক জানান, উজানের ঢলে অব্যহত পানি বৃদ্ধির ফলে ঘাঘট ও ব্রহ্মূত্রের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরো কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্বিক পরিস্থিতির উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

কোনো সুবিধাই পাচ্ছেন না পদকজয়ী কৃষকরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা এআইপি সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে ২০২০ সাল থেকে। এবারও পাঁচ ক্যাটেগরিতে সিআইপি মর্যাদার এ পুরস্কার পেয়েছেন ২২ জন।

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ সম্মাননা তুলে দেন। তবে ২০২০ সালের পদকজয়ী ১৩ জন পড়েছেন বিপাকে।

২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, তাদের যেসব সরকারি সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই জোটেনি। এদিন সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসে বেশ কয়েকজন এ হতাশা প্রকাশ করেন।

সমকালের কাছে এই কৃষি উদ্যোক্তারা অভিযোগ করেন, কৃষি মন্ত্রণালয় পদক হাতে তুলে দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। যেসব সরকারি সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো এসব সুবিধা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। নীতিমালা শুধু কাগজেই আছে, বাস্তবে নেই। নতুন করে যারা এই পদক পেয়েছেন, তারাও সুবিধা নিতে গিয়ে নানা হেনস্তার শিকার হবেন বলে শঙ্কা অনেকের।

রবিবারের অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। এ সময় এআইপিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে এআইপি নীতিমালা প্রণয়ন করে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সালে ১৩ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়।

এতে বলা হয়েছিল, এআইপি পদকপ্রাপ্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, সচিবালয়ে প্রবেশ পাস, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ; বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার এবং নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধাপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার থাকবে।

এ ছাড়া তারা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পান। তবে ইতোমধ্যে যারা এ পদক পেয়েছেন, তাদের কেউই এমন সুবিধা পাননি।

নাটোরের সফল কৃষি উদ্যোক্তা সেলিম রেজা ২০০ বিঘা জমিতে ‘দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্ম অ্যান্ড নার্সারি’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০২০ সালে এআইপি পদক পেয়েছেন। পদকপ্রাপ্তির সুবিধাগুলো নিতে এক বছরের জন্য তাঁকে একটি কার্ডও দেওয়া হয়েছিল। তবে এই কার্ড দেখিয়ে সুবিধা নিতে গেলে উল্টো তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সেলিম রেজা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পদকজয়ী বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কখনোই কোনো সুবিধা পাওয়া যায়নি, বরং হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে গেলে কর্তৃপক্ষ বলছে, এ রকম কোনো নির্দেশনা নেই। সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কোনো কর্তৃপক্ষই কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনার কথা জানে না।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এআইপি পদকপ্রাপ্তরা কী কী সুবিধা পাবেন, তা জানা নেই। যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, তা কেন পাচ্ছেন না, তা খতিয়ে দেখব। এ বিষয়ে পুনরায় কোনো নির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজন হলেও তা করব। পদকজয়ী কৃষকদের সম্মানিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

;

‘চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করা যায়’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা ১১ আসনের সংসদ সদস্য এম ওয়াকিল উদ্দীন এম.পি।

রবিবার (৭ জুলাই) মাদানী হসপিটাল লিমিটেড এর বৃহৎপরিসরে ইনডোর, আইসিইউ ও এনআইসিইউ সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওয়াকিল উদ্দীন বলেন, ‘চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করা যায়। চিকিৎসা সেবাকে বাণিজ্য না বানিয়ে সেবার মানুষের কাজ করে সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। মাদানী হসপিটালের ম্যানেজম্যান্টের মনোভাব দেখে আমি আশান্বিত হয়েছি। এই মান ধরে রেখে মাদানী হসপিটাল সেবা প্রার্থীদের আস্থার ঠিকানা পরিণত হওয়ার প্রতিদান দিতে হবে।’

হসপিটালের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাঈন উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. ইব্রাহিম মাসুম বিল্লাহর পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আমিন খন্দকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক নর্থ ব্রংকস ইসলামিক সেন্টারের খতিব ও পরিচালক শাইখ সাইফুল আজম বাবর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪০ নং ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম ঢালী, ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের অগে অতিথিবৃন্দ হসপিটালের সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করে সেবামান ও পরিচ্ছনতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

;

চাল আমদানি নয় ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করবো : খাদ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে চাল আমদানি নয় বরং রপ্তানি করবে। তিনি বলেন, বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবেনা।

তিনি রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি হয়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।

তিনি বলেন, পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না। দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা।

উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ওএমএস ও টিসিবির ভর্তূকি মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।

এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ৩ দিনব্যাপী ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা’ উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন এবং শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন।

পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ/২০২৪-২৫ মৌসুমে আমন প্রণোদনা হিসাবে ১২১০ জন কৃষকের প্রত্যেকে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা বিতরণ করা হয়।

;

সহপাঠীর হাতে শিক্ষার্থী খুন, ঘাতক রাজিন র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮) হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চৌধুরী রাজিন ইকবাল (১৮)কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

রবিবার (৭ জুলাই) রাতে হবিগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এই ঘটনায় রাজিন ও তার বাবা ইকবাল হোসাইনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত রাফিতের বাবা আবুল বাশার।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে র‍্যাবের একাধিক সূত্র বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে সহপাঠী রাফিতকে কোচিং শেষে বাসায় ডেকে নিয়ে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাসার সামনে ফেলে রাখেন রাজন।

এই ঘটনা জানাজানি হলে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

;