বরেণ্য চিকিৎসক ব্যক্তিত্ব ডা. মাজহারুল হকের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ভাষা সৈনিক ডা. এ.এ. মাজহারুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর)। ২০২৩ সালের এই দিনে রাজধানীর উত্তর কাফরুলের বাসায় মারা যান তিনি। তাকে ইব্রাহিমপুর বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরে দাফন করা হয়। গত জানুয়ারি মাসে (২০২৩) না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো স্ত্রী নূরজাহান বেগমও সেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

কিশোরগঞ্জের গৌরাঙ্গ বাজারের চেম্বারে তিনি দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দী স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির সঙ্গে শহীদদের স্মরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের নির্মিত প্রথম ইটের শহীদ মিনার তৈরিতে যুক্ত হন।

বিজ্ঞাপন

১৯৪৬-৪৭ সালে ছাত্রাবস্থায় ব্রিটিশ হটাও আন্দোলনে প্রবলভাবে সম্পৃক্ত থেকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখেন ডা. মাজহার। সরাসরি অংশগ্রহণ করেন ভাষা আন্দোলনে, এজন্য তাকে সংক্ষিপ্ত কারাবাস এবং পুলিশের নির্যাতন-নিপীড়নও ভোগ করতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মহান মুক্তিসংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় অবদান রাখেন তিনি।

গ্রামে আধুনিক চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারি চাকরির মোহ ত্যাগ করে ১৯৫৭ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ শহরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেন ডা. মাজহারুল হক।

বিজ্ঞাপন

প্রায় ৭০ বছর ধরে রাজনীতির পাশাপাশি কিশোরগঞ্জে মানুষের কল্যাণে নিরবচ্ছিন্নভাবে ভূমিকা রেখেছেন। ডা. এ.এ. মাজহারুল হক ও সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক সমীক্ষাধর্মী মাজহারুল-নূর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে গেছেন তিনি।

তিনি কিশোরগঞ্জ শহরে স্থায়ীভাবে পেশাজীবন অতিবাহিতকারী প্রথম এমবিবিএস চিকিৎসক। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সেবা দিয়ে তিনি জেলার বহু মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন।

এ ছাড়া বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসাসহ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি।

ডা. মাজহারুল হক ১৯৩২ সালে তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার কুলিয়ারচর থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামের প্রসিদ্ধ বিটি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম নোয়াব আলী। তিনি ১৯৪৮ সালে ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে মেট্রিক ও ১৯৫০ সালে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।

ডা. মাজহারুল হকের বড় ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. মাহফুজ পারভেজ পরিবারের পক্ষে তার মাগফেরাত কামনায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।