তীব্র গরমে হাঁসফাঁস রংপুর চিড়িয়াখানার প্রাণীদের

  • বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরে রেকর্ড পরিমান টানা গরমে জনজীবনের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা রংপুর চিড়িয়াখানার প্রাণীদের।

অতিরিক্ত তাপে গরম পানিতে স্বস্তি না পেয়ে স্থলে বিচরণ করছে জলহস্তি ও কুমির। চাঞ্চল্যতা কমে গেছে বানরগুলোরও। সেই সাথে খানিকটা বাতাস পেতে পাখা মেলছে ময়ুর। অন্যান্য শেডে প্রখর রোদের তাপে ছোটাছুটি করছে বিভিন্ন পাখি। বাঘের খাঁচায় দেয়া হয়েছে ফ্যান। অন্যান্য শেডে গাছপালার ছায়ায় বাতাসে স্বস্তিতে বিশ্রাম পাচ্ছে গাঁধা, ঘোড়া, ভাল্লুক, উটপাখি, অজগর, বনোবিড়াল, টিয়া। আবার বেশকিছু শেডে উত্তপ্ত আকাশের নিচে বালিগুলো গরম হওয়ায় যেন নাজেহাল অবস্থা চিড়িয়াখানার প্রাণীদের। রংপুর চিড়িয়াখানা ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

কয়েকদিন ধরে রংপুরে ৩৮-৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। একদিকে প্রচন্ড গরম আরেকদিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিরাও। গরমের দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে । তবে বিকেলে রোদের তাপ কমার সাথে সাথে বাড়তে থাকে দর্শনার্থী। বিনোদন প্রেমীদের সাথে খেলাধুলায় চাঞ্চল্যতা নেই প্রাণীদের। সুযোগ পেলেই স্বস্তি খুঁজছেন বিভিন্ন কৌশলে। কখনো শেডের ভিতরে ছায়াযুক্ত স্থানে, কখনো মাটিতে গর্ত বানিয়ে, আবার ট্যাপকলের মুখে ঠুকে ঠুকে পানি পান করে। গরমে এই পরিস্থিতিতে অসুস্থতা ঠেকাতে নেয়া হচ্ছে বাড়তি যত্ন।

ছবি: বার্তা২৪.কম

শিশুদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা অভিভাবকরা বলেন,এ বছর রংপুরে প্রচুর গরম বাসায় শিশুদের নিয়ে অস্থির অবস্থা। স্কুল, কোচিং সব জায়গায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পরছে। তাই একটু বিনোদন দিতে এবং অনেক গাছপালার মাঝে তাদের স্বস্তি দিতে চিড়িয়াখানায় এনেছি। প্রায় আসা হয় তবে গরমে দেখছি প্রাণীদের অবস্থাও খারাপ। খেলাধুলা করছেনা, তারাও চাচ্ছে একটু জিরাতে।

এ বিষয় রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আমবার আলী তালুকদার বলেন, প্রচন্ড গরমে বাঘ ও সিংহের শেডে ফ্যান লাগানো হয়েছে। স্যালাইন ও ভিটামিন সি খাওয়ানো হচ্ছে প্রাণীদের। রোদের তাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পানি ছিটানো হচ্ছে। কিছু কিছু প্রানীদের গাছের ছায়াযুক্ত স্থানে বেঁধে রাখা হচ্ছে। চিড়িয়াখানায় নকল পশুপ্রাণী এখন পর্যন্ত সুস্থ আছে। তাদের সুস্থতায় অধিক যত্ন নেয়া হচ্ছে।