পার্বত্য চট্টগ্রামে সহিংসতার ঘটনায় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য চট্টগ্রামে সহিংসতা/ছবি: সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রামে সহিংসতা/ছবি: সংগৃহীত

গেল ১৮ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পার্বত্য জনপদ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংগঠিত সহিংসতার ঘটনায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রধান ও আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীকে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন এবং বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।

কমিটিকে ২ সপ্তাহের মধ্যে সংঘটিত ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতকরণ এবং ভবিষ্যতে একই জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ প্রদান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি হামলার ঘটনায় গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান বাস্তবতায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান ও অংশগ্রহণে তদন্তের দাবি জানান ইউপিডিএফ’র সহ-সভাপতি নূতন কুমার চাকমা।

প্রসঙ্গত, গেল ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে গণপিটুনিতে মো. মামুন নামে একজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরের দিন দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলের একপর্যায়ে দীঘিনালার লারমা স্কয়ার বাজারে পাহাড়ী বাঙ্গালী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জেরে খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।