লক্ষ্মীপুর তথ্য বাতায়নে নেই সরকারি ১২ দফতর প্রধানের নাম

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জেলার তথ্য বাতায়নে (lakshmipur.gov.bd) ৫৯টি সরকারি দফতরের প্রধানের মধ্যে ১২ জনের নাম হালনাগাদ নেই। এতে তথ্য বাতয়ানে প্রবেশ করে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে তথ্য গ্রহীতাদের।

আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবসে লক্ষ্মীপুরে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও টিআইবির উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় টিআইবির লক্ষ্মীপুরের এরিয়া কোঅর্ডিনেটর আবদুর রব খান জানান, তথ্যবাতায়নে গত ১০ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনসহ ৫৯ টি দপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। অফিস প্রধানের তথ্যে ৪৭ জনের সঠিক তথ্য পাওয়া গেলেও ১২ জনের তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। একইভাবে নোটিশ বোর্ড বিষয়ক তথ্যে ২৭ দফতরের তথ্য পাওয়া গেলেও ২২টি দফতরে ছিল না। খবর বিষয়ক তথ্যে মাত্র ১৫টি দফতরের তথ্য পাওয়া যায়। বাকি ৪৪টি দফতরের তথ্য হালনাগাদ হয়নি। সেবার তালিকা সংক্রান্ত তথ্য ও কর্মকর্তা/কর্মচারীর তথ্যে ৫৭টি হালনাগাদ ছিল, ২টি দফতর হালনাগাদ করেনি। তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা/দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিও) সম্পর্কিত তথ্যে ৪০টি দফতরের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়। ১৯টি দফতরের তথ্য হালানাগাদ করা হয়নি। যোগাযোগ সম্পর্কিত তথ্যে ৫৩টি দপ্তরের হালনাগাদ থাকলেও ৬টিতে ছিল না।

সচেতন নাগরিক কমিটির লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর জেড এম ফারুকীর সভাপতিত্বে ও টিআইবির লক্ষ্মীপুরের এরিয়া কোঅর্ডিনেটর আবদুর রব খানের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন সনাকের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবুল মোবারক ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল, সাবেক সভাপতি আ হ ম মোশতাকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল প্রমুখ।

সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৬ মে সদর মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর আরও ৩ জন ওসি বদলি হয়েছেন। বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন ইয়াছিন ফারুক মজুমদার। কিন্তু এখনো ওয়েবসাইট থেকে জসিমের নাম পরিবর্তন হয়নি। সদরের বর্তমান ওসি এরআগে রায়পুর থানায় ছিলেন। ১৫ জুলাই তাকে বদলি করা হয়। কিন্তু এখনো রায়পুরের ওয়েবসাইট থেকে তার নাম সরানো হয়নি। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাইটগুলোতে তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি।