গোপালগঞ্জে গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিবাদ সমাবেশ

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গোপালগঞ্জে গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিবাদ সমাবেশ, ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিবাদ সমাবেশ, ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পর দখলদার ইসরায়েল লেবাননে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। সম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আধুনিক অস্ত্র দিয়ে মুসলিম হত্যাযজ্ঞে প্রকাশ্যে সহযোগিতা করছে। ইঙ্গ-মার্কিনীদের অপপরাষ্ট্রনীতি পৃথিবীতে অশান্তির আগুন জালিয়ে রেখেছে। জাতিসংঘ ও ওআইসিকে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধে জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর অবমাননাকারীদের বিচার করতে হবে ভারত সরকারকে।

বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার উদ্যোগে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি মাওলানা কবিরুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্রের এক পুরোহিত রামগিরি মহারাজ গত আগস্ট মাসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নামে জঘন্য কটুক্তিমূলক বক্তব্য দেন। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। রামগিরির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ৫০টিরও বেশি মামলা হয়। রামগিরির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য দিতে থাকেন মহারাষ্ট্রের বিজেপির হিন্দুত্ববাদী বিধায়ক নিতেশ রানে। নবী কারিম (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি বা অবমাননাকর বক্তব্য বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে গভীর ক্ষোভ ও ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। এমন আপত্তিকর মন্তব্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। বাংলাদেশ সরকারকে এ কাজের আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানাতে হবে।

বক্তারা বলেন, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন ইতিপূর্বে উল্লেখিত বিষয়ে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে ‘ধর্ম অবমাননারোধ ও মহানবী সা.-এর মর্যাদা সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন ও পাশের দাবি করে আসছেন। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের মুসলিম জনসাধারণ ও ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের এই দাবি রক্ষার্থে সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

মুফতি মাকসূদুল হক ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান খানের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আব্দুচ্ছালাম, মাওলানা হাসমতুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা নিজামুদ্দিন, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা ইব্রাহীম, মাওলানা হায়াত আলী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন ও মাওলানা কারামাত আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।