স্বনামধন্য শিক্ষকদের ক্লাস প্রচারে ‘শিক্ষা টিভি'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালো ও স্বনামধন্য শিক্ষকদের ক্লাস প্রচারে `শিক্ষা টিভি' করার চিন্তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।

তিনি বলেন, `বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় ভালো স্কুল হয়েছে। সেখানে ভালো শিক্ষকও রয়েছেন, তাদের অনেকের সুনামও রয়েছে। প্রস্তাব আছে বিভিন্ন জায়গায় তাদের অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিয়ে যাওয়ার। আমরা বলেছি এখন টেলিভিশনের দাম খুব কম। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব বিদ্যালয়ে টেলিভিশনের মাধ্যমে ভালো ভালো শিক্ষকদের ক্লাসগুলো একইসঙ্গে দেখাতে পারি। সেজন্য জাতীয় শিক্ষা টিভির বিষয়ে চিন্তা রয়েছে।’

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ডিসিদের সঙ্গে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা টিভি করা গেলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের যে শিক্ষকরা আছেন, তারাও ভালো শিক্ষকদের শেখানো পদ্ধতি থেকে উপকৃত হবেন। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা যেখানেই থাকুক উন্নতমানের শিক্ষকদের পাঠদানের বিষয়ে জেনে উপকৃত হবে।’

ডিসিরা বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় চান, সে বিষয়ে জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রক্রিয়ার বিষয়। প্রস্তাব আসলে সেটি নিয়ে কি করা যায় সেটি আমরা ভেবে দেখব। তারা কিছু পরিকল্পনা ও প্রস্তাবও করেছেন। এর মধ্যে যেগুলো নিয়ে কাজ করা দরকার, সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি ভার্সন চালুর প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য আমাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা বাংলা এবং ইংরেজি পড়তে, লিখতে, বলতে এবং শুনতে পারছে কিনা সেটি দেখতে হবে। যাতে তারা দক্ষতা অর্জন করতে পারে। গণিত বিজ্ঞানসহ সাধারণ যে বিষয়গুলো প্রয়োজন, সেগুলো যেন তারা শিখতে পারে। আর প্রাথমিক থেকেই মূল্যবোধ শিখে ভালো নাগরিক হতে পারে সেটি নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’

সরকারি কর্মকর্তারা বিদ্যালয়গুলোতে কোটা চেয়েছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোনো কর্মকর্তা বদলি হয়ে কোথাও গেলে, তাদের সন্তানরা সরকারি স্কুলে পড়ার সুযোগ পায়। সেখানে কোটার কোনো বিষয় নেই। কোটা ধরে রাখলে যেখান থেকে চলে আসবেন, সেখানকার জায়গাগুলো নষ্ট হয়। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কোটা ব্যবহার হয় না। সেটার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা সেটি বিচার বিবেচনা করা যেতে পারে।’

এছাড়া শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।

   

পাইলট সংকট কাটিয়ে উঠতে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ মন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ঘাটতি কাটিয়ে উঠার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

বুধবার (২৬ জুন) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদর দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে বিমান নতুন নতুন আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালু করেছে এবং আরো কিছু নতুন রুটের চাহিদা রয়েছে সুতরাং বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা নির্বিঘ্ন করার জন্য বিদ্যমান নিয়োগ নীতিমালার আলোকে যথাযথ স্বচ্ছতা বজায় রেখে দ্রুততার সাথে পাইলট ও কেবিন ক্রু নিয়োগের মাধ্যমে ঘাটতি কাটিয়ে উঠার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, বিমানের সেবাকে আরো বেশি যাত্রীবান্ধব করতে হবে। দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিয়ে কল সেন্টার গুলোকে ২৪ ঘণ্টা সচল রাখতে হবে যাতে যাত্রীরা যেকোনো সময় তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারেন। এছাড়াও বর্তমানে ওয়েবসাইট ও দেশীয় সেল সেন্টারগুলোতে নগদ টাকার পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে টিকেট কাটা গেলেও বিদেশের বিভিন্ন স্টেশনের সেল সেন্টারে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অতি দ্রুত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে হবে।

ফারুক খান বলেন, প্রতিটি উড়োজাহাজের যথাযথ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর মেনে নিয়মিত ও যথাসময়ে মেইনটেনেন্স কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। ফ্লাইটের ইনফ্লাইট সেবা ও অভ্যন্তরীণ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে আরো বেশি যত্নবান হতে হবে। বিমানের প্রতিটি বিভাগের মধ্যে নিবিড় আন্ত-সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যবসা উন্নয়নের সময়োপযোগী কৌশল গ্রহণ করতে হবে। সেবা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য যাত্রী ও জনগণের কাছে যথাসময়ে পৌঁছে দিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা।

;

টাঙ্গাইলে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অজ্ঞাত একটি গাড়ির ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রীজের উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোটরসাইকেল চালক কালিহাতী গ্রামের মৃত হাফেজ উদ্দিনের ছেলে দুলাল মিয়া (৬৫)।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট সায়রুল ইসলাম স্থানীয়দের বরাতে জানান, দুলাল মিয়া ঘাটাইলের সাফিয়াচালা থেকে মোটরসাইকেল যোগে আউলিয়াবাদ হয়ে কালিহাতী তার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডের ব্রীজে পৌঁছলে পিছন থেকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

এসময় নিহতের মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৪ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখেছে। বকেয়া বিল পরিশোধের একাধিক চিঠির জবাবে সাড়া না দিলে পৌরসভার গোডাউন রোডের পানির পাম্পের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

তবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) লাইন বিচ্ছিন্নকরণের ১ দিন পর বুধবার (২৬ জুন) ২৭ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ এবং ১ মাসের মধ্যে পুরো বিল পরিশোধের আশ্বাস মিললে আবার সংযোগ দেওয়া হয়। এতে প্রায় ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল পানির পাম্প ও লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপনি বিতান।

লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ১ হাজার ৩৮ টাকা। যার মধ্যে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর সরকারি দফতরগুলোতে ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ ও বেসরকারি পর্যায়ে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫৮ টাকা।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আওতাধীন পানির পাম্প, নগর পাম্প, আধুনিক বিপনি বিতান, পৌর সুপার মার্কেট, পুরাতন পৌরসভা অফিস, রাস্তার বাতিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অফিসের বকেয়া বিল পরিশোধ করছে না। সবশেষ গত ২৬ মে ও ১লা জুন বকেয়া পরিশোধের জন্য লক্ষ্মীপুর পৌরসভাকে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্ত নানা অজুহাত দিয়ে বিল পরিশোধ করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। এই জন্য মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রকৌশলীরা গিয়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লাইন কেটে দেন।

যারমধ্যে পানির পাম্পের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল ৮৯ লাখ ৭ হাজার ১৮৪ টাকা ও পৌর আধুনিক বিপনি বিতানের বকেয়া ১৮ লাখ ৯০ হাজার ২৯৭ টাকা। এছাড়া পৌর সুপার মার্কেটের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ৪০ লাখ টাকা।

এছাড়া এইদিন লক্ষ্মীপুর পিডিবি পৌরসভা ব্যতিত আরোও ৯টি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। জরিমানা আদায় করে ৪৫ লাখ ১৩২ টাকা। আর বুধবার (২৬ জুন) ১১টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ও বকেয়া বিল আদায় করে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৭ টাকা।

লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার বিষয়ে আমরা কয়েক দফা চিঠি দিয়েছি। এরপরেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সেজন্য লাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল। পরে বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর আবার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা বকেয়া বিল রয়েছে। এর মধ্য ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বকেয়া। ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ টাকা সরকারি অফিস এবং বেসরকারি (আবাসিক ও বানিজ্যিক) ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার ভূঁইয়া মাসুম বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর কিছু কিছু বিল পরিশোধ করা হয়েছে। দ্রুতই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হবে বলে জানান তিনি।

;

ছাগলকাণ্ডের থাবা সাদিক এগ্রোতেও



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছাগলকাণ্ডের থাবা পড়েছে সাদিক এগ্রোতে

ছাগলকাণ্ডের থাবা পড়েছে সাদিক এগ্রোতে

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত ছাগলকাণ্ডের থাবা পড়েছে সাদিক এগ্রোতেও। রাজধানীর মোহাম্মপুরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া কথা জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবারই এই অভিযান শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

সংস্থাটি বলছে, সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড অবৈধভাবে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে আছে।

অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে দেওয়া এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে। বুধবার (২৬ জুন) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ডিএমপিকে দেওয়া হয়।

জানা যায়, সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন। সদ্য শেষ হওয়া কোরবানির ঈদে তিনি আলোচনায় আসেন কোটি টাকার বংশীয় গরু ও ১৫ লাখ টাকার খাসি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মারফতে খবর বের হয় খাসিটি ১২ লাখ টাকায় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক যুবক কিনেছেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রেতাকে নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। শেষ মুহূর্তে জানা যায় বুকিং মানি দিলেও খাসিটি নেননি ক্রেতা।

সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক ইমরান হোসেন গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি। আলোচনা আছে, মাঝারি খামারিদের প্রলোভন দেখিয়ে কোরবানির সময় গরুর দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকে। ফলে ক্রেতারা গরু কিনতে অনুৎসাহিত হয়ে পড়েন। এতে প্রান্তিক খামারিদের অনেক গরু অবিক্রিত থেকে যায়। পড়ে এই মাঝারি খামারিরা ওই গরু কিনে এনে এক বছর পর বেশি দামে বিক্রি করে।

তবে আলোচনা আছে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি করে বিক্রি করতেন বাংলাদেশি কাউবয় নামে খ্যাত ইমরান হোসেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে ব্রাহামা গরুর বীজ এনে অন্যান্য গাভীর সঙ্গে ‘ক্রস’ করানো হয়। তাতে যে গরুর জন্ম হয়, তা ব্রাহামা জাতের ৪০-৫০ শতাংশের কাছাকাছি হয়। তাহলে শতভাগ ব্রাহামা সাদিক এগ্রোর ইমরান কীভাবে পেলেন, আর শতভাগ ব্রাহমা জাতের গরু হলেও তার দাম কি কোটি টাকা হওয়া সম্ভব।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, কোটি টাকা একটি গরুর দাম হতেই পারে। তবে তা কোনোদিনই মাংসের গরুর জন্য হতে পারে না। যদি সেই গরুটি প্রজননের জন্য ব্যবহার করা হয়, তাহলেই শুধু কোটি টাকা হতে পারে দাম।

ক্রেতাদের অভিযোগ, দেশের বাজারে কোরবানির সময় গরুর দাম বৃদ্ধির পেছনে সাদিক এগ্রোর হাত রয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, কি করে একটি মাংসের গরুর দাম কোটি টাকা হয়। তাই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ছিল তাদের।

এদিকে, ছাগলকাণ্ডে সব হারানো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংবাদমাধ্যমে একের এক মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের খবর বেরিয়ে আসতে থাকলে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি দেশ ছেড়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, রোববার (২৩ জুন) বিকেলের দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মতিউর ভারত পালিয়ে গেছেন।

ইতোমধ্যে মতিউর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিন সদস্যের একটি কমিটিও কাজ শুরু করেছে।

এর মধ্যেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানাল সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। তাই মনে করা হচ্ছে ভাইরাল হতে গিয়ে নিজের ফাঁদে আটকে গেল প্রতিষ্ঠানটি।

;