আইন সচিবের দায়িত্ব পেলেন গোলাম সারোয়ার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মো. গোলাম সারোয়ার, ছবি: সংগৃহীত

মো. গোলাম সারোয়ার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পেলেন মো. গোলাম সারওয়ার ।

আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সচিব পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ গত বুধবার (৭ আগস্ট) শেষ হওয়ায় মো. গোলাম সারওয়ারকে সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে আইন ও বিচার বিভাগে কর্মরত তিনিই জ্যেষ্ঠ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা।

বুধবার (০৭ আগস্ট) আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত আদেশ জারি করা হয়।

গোলাম সারওয়ার দশম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে জুডিসিয়াল ক্যাডারে যোগদান করেন। ১৯৯১ সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা জজ আদালতে প্রবেশন সহকারী জজ পদে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে সিনিয়র সহকারী জজ, ২০০৩ সালে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ২০০৭ সালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি পান তিনি।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কিশোরগঞ্জ জেলায় বিচারক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া গোলাম সরোয়ার ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

   

ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের আড়াই বছরে আয় বেড়েছে দ্বিগুণ, সম্পদ ৭ গুণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপে ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। ২০২১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বিকমের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে প্রথমবার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

পরপর দুই নির্বাচনী হলফনামা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত আড়াই বছরে তার আয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। পাশাপাশি সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৭ দশমিক ৭০ গুণ। শুসেন চন্দ্র শীল তার হলফনামায় আয়ের উৎস হিসেবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, আমদানি ও রপ্তানি ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন।

২০২১ সালে উপনির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় বার্ষিক আয় ২ কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৯২ টাকা উল্লেখ করলেও এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার ২২১ টাকায়। সে হিসেবে আড়াই বছরের ব্যবধানে ১ দশমিক ৮০ গুণ আয় বেড়েছে।

দুটি হলফনামায় উল্লেখিত তথ্যে দেখা গেছে, ২০২১ সালে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৫২ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৯ টাকায়। সে হিসেবে আড়াই বছরের ব্যবধানে শুসেন চন্দ্র শীলের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৭ দশমিক ৭০ গুণ।

২০২১ সালের হলফনামায় কৃষি, শেয়ার-সঞ্চয়পত্র থেকে কোনো আয় ছিল না শুসেনের। নিজের একমাত্র আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবসা হতে উক্ত টাকা বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন তিনি। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার ২২১ টাকা দেখানো হয়েছে। উক্ত আয়ের খাত হিসেবে ব্যবসা হতে ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৯ হাজার ২২১ টাকা ও অন্যান্য খাতে (সম্মানি ভাতা) ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। হলফনামায় প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের কোন আয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

২০২১ সালের হলফনামায় একমাত্র স্থাবর সম্পদ হিসেবে ৩৫ দশমিক ২৫ শতাংশ অকৃষি জমি (অর্জনকালীন সময়ের আর্থিক মূল্য) ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকার তথ্য উল্লেখ করেছিলেন শুসেন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, স্থাবর সম্পদের মধ্যে শুসেন চন্দ্র শীলের ১৬৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ অকৃষি জমি (অর্জনকালীন সময়ের আর্থিক মূল্য) ২ কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ৭০০ টাকা, একটি দালান ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, দুইটি বাড়ি ৪২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং এক দশমিক ৭৭ শতাংশ জায়গায় একটি পুরাতন বিল্ডিং ৩২ লাখ ২ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।

এবারের হলফনামা অনুযায়ী, শুসেনের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ ২৯ হাজার ৮৬৩ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৪১ হাজার ২৯৮ টাকা, ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি জিপ, ২৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার দুটি ডাম্প ট্রাক, উপহার হিসেবে পাওয়া ৭০ হাজার টাকার ১০ তোলা স্বর্ণালংকার (তৎকালীন মূল্য), ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৫০ হাজার টাকা, ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ২৮ টাকা ব্যবসায়ের পূর্বের পুঁজি এবং পূর্বের রোলার ও শর্টগান ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২১ সালে দাখিলকৃত হলফনামায় দেখা গেছে, শুসেনের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ১ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ টাকা, ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি জিপ, ২৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার দুইটি ডাম্প ট্রাক, উপহার হিসেবে পাওয়া ৭০ হাজার টাকার ১০ তোলা স্বর্ণালংকার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা, উপহার হিসেবে পাওয়া আসবাবপত্র ৫০ হাজার টাকা ও ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার রোলার ও শর্টগান ছিল। একই হলফনামায় স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজার টাকা জমার কথা উল্লেখ ছিল।

রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতিতে যুক্ত হন শুসেন চন্দ্র শীল। পরবর্তী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০২১ সালের ১৩ আগস্ট ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকমের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন শুসেন চন্দ্র শীল। বর্তমানে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

;

কবি নজরুল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান বলেছেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য সেই চেতনাকে ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সাম্যের কবি, দ্রোহের কবি, বিদ্রোহী কবি, সর্বোপরি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার পর স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করেছেন।’

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নজরুল’ এ বিষয়কে ধারণ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নজরুলের ওপর একসময় অভিযোগ ছিল তিনি বিশেষ সময়ের কবি। কবি নজরুল এর জবাব দিয়েছেন তার জীবনের শেষ ভাষণে ১৯৪১ সালের ৬ এপ্রিল বঙ্গীয় মুসলমান সমিতির রজত জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠানের অভিভাষণে।

দূরারোগ্য ব্যাধিতে চিরজীবনের জন্য বাকরূদ্ধ হয়ে যাওয়ার পূর্বে এই ছিল তার সর্বশেষ কালজয়ী ভাষণ। কবি আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, ‘বিংশ শতাব্দীর অসম্ভবের সম্ভাবনার যুগে আমি জন্ম গ্রহণ করেছি। আমি এই দেশে এই সমাজে জন্মেছি বলে শুধু এই দেশরই, এই সমাজেরই নই, আমি সকল দেশের-সকল মানুষের।’

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় নজরুল জন্মবার্ষিকীতে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ, সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল, সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান, সংসদ সদস্য নিলুফার আনজুম পপি, ট্র্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম মহিবুল রশিদ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহফুজুল আলম মাসুম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল মোমেন। স্মারক বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক সরকার।

এছাড়াও সকালে কবির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ ত্রিশালে বই মেলার উদ্বোধন করেন।

;

সালিশের নামে উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার অর্থ আত্মসাৎ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নৌ বন্দরের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা ভূমি ও অবকাঠামোর জন্য পাওয়া ৬ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের না দিয়ে শালিসের বাহানায় আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি ও উপজেলা বিএনপি নেতা মো. জাকির হোসেনের কাছে রেখে দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নাছির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার চর চারতলা গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে হাসি আক্তার জুঁই।

লিখিত বক্তব্যে জুঁই বলেন, জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা মৌজার ৪৪০/৩৩১৮ দাগের এক একর ভূমি নৌ বন্দরের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করে সরকার। অবকাঠামো বিলসহ অধিগ্রহণ মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২৬ কোটি ৮৪ লাখ, ৪১ হাজার ৯৫৩ টাকা। আমরা উক্ত ভূমির বৈধ মালিক হলেও উপজেলার মৈশাইর গ্রামের শাহজাহান মিয়াসহ আরো কয়েকজন জাল দলিল ও ভুল বিএস খতিয়ানের মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত ভূমি তাদের নামে খারিজ করে নেয়। নামজারি করতে গিয়ে ২০.১২.১৯৫২ সালে সম্পাদিত ৪৩৬৪ নং একটি দলিলের জাল অনুলিপি প্রদর্শন করা হয়। অথচ রেকর্ড রুমে তল্লাসী দিয়ে পাওয়া যায় ৪৩৬৪ দলিলাদি সরাইল উপজেলার বেহাইর মৌজার যা ০৪.১২.১৯৫২ সালে সম্পাদিত হয়েছে। অথচ আমরা উক্ত ভূমির প্রকৃত ওয়ারিশের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে বৈধ মালিক হওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করি। ফলে অধিগ্রহণের টাকা আটকে যায়। যা কোন পক্ষের মাধ্যমেই তা উত্তোলন করা যাচ্ছিল না।

এমতাবস্থায় আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি ও উপজেলা বিএনপি নেতা জাকির হোসেন ২৮.১১.২০২১ তারিখে আমাদের ডেকে নিয়ে উভয় পক্ষকে সমঝোতার মাধ্যমে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করে সমবন্টনের প্রস্তাব দেয়। আমরাও সরল বিশ্বাসে মীমাংসার স্বার্থে তাদের কথা বিশ্বাস করে আমাদের দায়ের করা মামলা ৪১০/২০১৯ তুলে নেই। একই তারিখে হানিফ মুন্সি ও জাকির হোসেন আমাদের ৪ জনের কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল খালি স্ট্যাম্পে এবং স্ব স্ব একাউন্টের ব্যাংক চেকে টাকার অংক না বসিয়ে স্বাক্ষর নেয়। পরে মিমাংসার স্বার্থে আমাদের আপত্তি না থাকায় শাহজাহান মিয়ার মাধ্যমে অধিগ্রহণের টাকা উঠানো হয়। উঠানো টাকার মধ্যে ৬ কোটি টাকা হানিফ মুন্সির কাছে জমা রাখে। যা পরবর্তীতে সমঝোতার ভিত্তিতে বণ্টন করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু হানিফ মুন্সি এই টাকা আমাদের না দিয়ে ৩ বছর যাবত তার কাছে আটকে রেখেছে। যা এলাকার সকলেই জানেন। আমরা এই বিষয়ে তার কাছে বার বার গেলেও সে আমাদের টাকা না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন। অথচ আমরা মামলা মোকাদ্দমা করে টাকা পয়সা খরচ করে অতিকষ্টে আমরা দিনে পার করছি। এই টাকার শোকে আলম খা স্টোক করে মৃত্যুবরণ করেন। তার ছেলেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এসব ঘটনা সুরাহা না হওয়ায় আমরা আবারো আদালতে পি২৮৮/২০২৪ একটি মামলা দায়ের করেছে।

এসব বিষয়ে মৃত আলম খার ছেলে জামাল খা বলেন, ৬ কোটি টাকা আমরা পাওয়ার কথা থাকলেও শালিসের নাম করে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি ও উপজেলা বিএনপি নেতা জাকির হোসেন তা নিজেদের কাছে আটকে রাখছে। আমরা গরিব মানুষ একদিকে জমি ও বাবাকে হারিয়েছি, অন্যদিকে টাকা। আমরা এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব। আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকা চাই।

ভুক্তভোগীদের ওয়ারিশ মো. কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমরা এই টাকার জন্য বার বার হানিফ মুন্সিও জাকির হোসেনের কাছে গেলেও তারা আমাদের পাত্তাই দিচ্ছে না। এনিয়ে উপহজলায় বেশ কয়েকবার চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। আমরা আমাদের অধিকারের টাকা চাই।

এসব বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.হানিফ মুন্সি বলেন, যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের মধ্যে কেউ এই টাকা পাওনা না। তারা উদ্যেশ্যমূলকভাবে ও আমাকে হয়রানি করার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সবকিছু মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা কারো প্রাপ্য টাকা আমাদের কাছে রাখিনি। যারা অভিযোগ করেছে তাদের মামলা আদালতে খারিজ করে দিয়েছে। তাই কোন ভাবেই তারা টাকা পাওনা না। একটি মহল আমাকে নির্বাচনে ঘায়েল করার জন্য এই নাটক সাজিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আলম খার ছেলে জামাল খা, রাজন খা, ওমর খার স্ত্রী খালেদা বেগম, কুদ্দুস মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম, কুদ্দুস মিয়া প্রমূখ।

;

সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে দুই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার শাজাহানপুরে টয়লটের সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে বিমল বাঁশফোঁড় (৫০) ও লাঠিয়াল বাঁশফোড় (৪৫) নামে দুইজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তারা বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর সুইপার কলোনীর বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের আগড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোহাইল আগড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের বাড়িতে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে ওই দুইজন বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ট্যাংকের ভিতর আটকা পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে সেপটিক ট্যাংক থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

;