সার্টিফিকেট বাণিজ্যের দায় শিকার করলেন কারিগরির সাবেক চেয়ারম্যান
‘কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হিসেবে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের দায় অবশ্যই আমি এড়াতে পারি না’ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী আকবর খান বলেন, ‘একটি ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত’!
স্ত্রীকে গ্রেফতারের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা কী তথ্য পেয়েছে, তাও কিছুই জানি না’।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশিকিছু জানি না। সার্টিফিকেটের কাগজ ওয়েবসাইটে পাইনি’।
২০ লাখ টাকা ঘুষের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে’।
কী পরিমাণ সার্টিফিকেট বাণিজ্য হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আলী আকবর খান বলেন, ‘মিডিয়াতে শুনতে পেয়েছি, পাঁচ কী সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই, কতগুলো হয়েছে’।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হিসেবে আপনার দায় আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অবশ্যই এর দায় আমি এড়াতে পারি না’।
আপনার স্ত্রী বিনা অপরাধে জেল খাটছে বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বিনা অপরাধেই জেল খাটছেন’।
আপনাকে ওএসডি করা হয়েছে কেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে’।
এর আগে সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে স্ত্রী সেহেলা পারভীন গ্রেফতারের পর আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে গোয়েন্দা পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক এই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেফতার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কজেলের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।
পদ্মায় গোসলে নেমে তিন কিশোরের মৃত্যু
রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পবা উপজেলার চরশ্যামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- রেন্টুর ছেলে যুবরাজ, নূর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান এবং লিটনের ছেলে আরিফ। তারা সবাই কাটাখালী পৌরসভার বাখরাবাজ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুল পড়ুয়া সাত বন্ধু পদ্মা নদীতে গোসল করতে আসে। গোসলের এক পর্যায়ে বাকিরা পাড়ে উঠতে পারলেও তিনজন পানির নিচে তলিয়ে যায়। পরে অন্যান্যরা স্থানীয়দের খবর দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের দলে এসে তাদের উদ্ধার করে।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনায়স্থলে ডুবুরি দল পাঠানো হয়। পরে ফায়াস সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে এক এক করে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মৃতরা সবাই কিশোর। তাদের সবার বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এদিকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যের ৪ নির্দেশনা
চলমান তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো—
>> তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।
>> প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।
>> গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।
>> গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এর আগে, হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করে। সেগুলো হলো- বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে।
বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।
সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা, রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি বহিষ্কার
সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানের রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বান্দরবান পার্বত্য জেলা শাখার জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হলো।
উল্লেখ্য, ভান মুন নোয়াম বমের বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীতে তথ্য প্রচার, চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।