'দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখে কৃষিখাত'
দেশের অর্থনীতিতে কৃষিখাত বড় অবদান রাখে। কৃষির উন্নতি হলে দেশের সার্বিক উন্নতি হবে। কৃষির উন্নতি হলে এর সঙ্গে যুক্ত দেশের ৪০ শতাংশ লোকের জীবন বদলে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) রাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ‘বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হল নায্যতাভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশ। এ আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়তে হবে।
কৃষির উন্নয়ন নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন। এখন তা তিন কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। গত বছর দেশে ৪৬ লাখ টান ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে। কৃষির বিপুল উন্নতির ফলে স্ট্রবেরির মতো বিদেশি ফলও বাংলাদেশে ব্যাপক হারে চাষ হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ব্যাপক আরও বলেন, এখন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। খাদ্যে উদ্বৃত্ত বাংলাদেশে দানাদার খাদ্যের উৎপাদন চার কোটি ৩০ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে চায়। এ অঞ্চলের গবেষকদের লবণাক্তা ও পানি স্বল্পতা সমস্যা সমাধানে গবেষণা করতে হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রায়হান আলী, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদার, প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান, প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম।
এর আগে সকালে কৃষিমন্ত্রী খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বারি) আয়োজিত উপকূলীয় এলাকার ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে গবেষণা কার্যক্রমের ওপর মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এ সময় তিনি বারি গবেষণা প্লট ও নিরাপদ সবজি গ্রাম পরিদর্শন এবং বটিয়াঘাটা উপজেলার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।