অকারণে সাধারণ মানুষকে হয়রানি নয়: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসসাধারণ মানুষ প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে অকারণে হয়রানি সঠিক নয় উল্লেখ করে মাঠ পর্যায়ের পুলিশকে হয়রানি না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে তথ্যমন্ত্রী নিজ বাসভবনে ফেসবুক লাইভে সমসাময়িক বিষয়ে বক্তব্যকালে এ কথা জানান।
রাস্তায় নামলে সাধারণ মানুষকে পুলিশের লাঠিপেটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশতো লকডাউন করা হয়নি। সুতরাং রাস্তায় অহেতুক ঘোরাফেরা না করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যে কেউ প্রয়োজনে যেতেই পারেন এবং গেলেই হয়রানির শিকার হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি করার জন্য পুলিশকে বলা হয়নি। গতকালও পুলিশের হেডকোয়ার্টার থেকে মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে যে মানুষ প্রয়োজনে অবশ্যই রাস্তায় বের হতে পারে, কিন্তু অপ্রয়োজনে যাতে কেউ বের না হয়। যদি কেউ অপ্রয়োজনে বের হয় তাহলে তাদের বুঝিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সুতরাং কেউ ঘর থেকে বের হলেই হয়রানি করা সঠিক নয়। এ ব্যাপারে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
খালেদার মুক্তির সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জমায়েতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সমস্ত দেশের মানুষ যখন ঘরের মধ্যে অবস্থান করছেন, এই বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবিলায় যে যার জায়গা থেকে কাজ করছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন তখন আমরা দেখতে পেলাম বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি লাভের সময় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের সামনে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছে। গুলশানে যে বাড়িতে তিনি উঠেছেন সেখানে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত। যেখানে স্বাধীনতা দিবসের সমস্ত অনুষ্ঠানমালা এমনকি জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে সেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে এই ধরনের হাজার হাজার মানুষের জমায়েত করা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়। আমরা আশা করব বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের পাশে থাকব এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সমর্থ হবো।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত পরশু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণে বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এবং একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশবাসী কার্যত ঘরেই অবস্থান করছেন এবং সরকার ও ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যেসব ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন সেগুলোতে ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছেন। এই দুর্যোগের কারণে অর্থনীতির যে পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে সে বিষয়ে সরকারের প্রস্তুতির কথা প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন এবং ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।
এ সময় করোনা মোকাবিলায় নিম্নবিত্তের মানুষের জন্য কেজিপ্রতি ১০ টাকা হারে চাল বিক্রয়ের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি।